কর্ণ জোহর। ছবি: সংগৃহীত।
নিজের কেরিয়ারে আকাশছোঁয়া সাফল্য। বলিউডের অন্যতম নামজাদা প্রযোজক তিনি। তারকা সন্তানদের গডফাদার। ইন্ডাস্ট্রির সকলেই সমঝে চলেন তাঁকে। তবু তীব্র অবসাদে ভুগেছিল কর্ণ জোহর। বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবসে সে কথা নিজেই জানালেন পরিচালক।
সালটা ২০১৫ প্রথম বার বুঝতে পারেন তিনি অবসাদে রয়েছেন। প্রথম বার ভয় পেতে শুরু করেন। প্রতিটা মুহূর্তে উদ্বেগ কাজ করত। তবে প্রথম প্রথম একেবারেই তা বুঝতে পারেননি। কর্ণের কথায়, ‘‘অন্যদের মতো আমিও ভেবেছিলাম। এটা হতে পারে না। আমার সঙ্গে এমন অসম্ভব।’’
তিনি জানান, বিষয়টি প্রথম বুঝতে পারেন ২০১৫ সালে। একটি মিটিং চলাকালীন হঠাৎ অস্বস্তি অনুভব করেন। মনে হতে থাকে, তাঁর হয়তো ‘হার্ট অ্যাটাক’ হতে পারে। মাঝপথে মিটিং ছেড়ে সে দিন বেরিয়ে যান। একটুও দেরি না করে চলে যান ডাক্তারের কাছে। ডাক্তার তাঁকে পরীক্ষা করে জানান, ‘হার্ট অ্যাটাক নয়, তাঁর অ্যাংজাইটি অ্যাটাক হচ্ছে। সঙ্গে ডিপ্রেশন।’ তার পর থেকে টানা ওষুধ খেয়েছেন। মনোবিদের কাছে একাধিকবার কাউন্সিলিং করাতে হয়েছে তাঁকে। তবে ওষুধ ও জীবনযাত্রার পরিবর্তনের ফলে ধীরে সুস্থ বোধ করতে শুরু করেন কর্ণ। তবে চলতি বছর ফের ফিরে আসে অ্যাংজাইটি। তবে এ বার সঙ্গে সঙ্গেই বুঝতে পেরেছেন। বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবসে কর্ণ লেখেন, ‘‘আমি সকলকে বলব যে ব্যক্তি অবসাদে ভুগছেন তাঁর সবার আগে দরকার চিকিৎসকের সাহায্য। অবসাদগ্রস্থ মানুষের মন ভাল করতে কোনও সহজ পন্থা নেওয়া। যেমন টুকে লং ড্রাইভে যাওয়া, কিংবা ভাল কোথায় খেতে যাওয়া, কেনাকাটা এ সব থেকে বিরত থেকে বরং তাঁকে সাহায্য করুন অন্য ভাবে। আমি বলব যাঁরাই এই পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন তাঁরা ভেঙে পড়বেন, সঠিক পদক্ষেপ নিন। কারণ, আপনার জন্য একটা নতুন জীবন অপেক্ষা করছে।’’