স্পষ্ট কথা বলা তাঁর পছন্দের। আর সেটা বলতে গিয়ে যদি বিতর্ক হয় তাতেও কোনও পরোয়া করেন না কঙ্গনা রানাউত। বিভিন্ন সময় বহু বিতর্কে জড়িয়েছেন তিনি। এ বার তাঁর বাক্যুদ্ধ কর্ণ জোহরের সঙ্গে।
সম্প্রতি কর্ণের দাবি ছিল, ‘ভিকটিম কার্ড’ আর ‘ওম্যান কার্ড’ ব্যবহার করে নাকি কেরিয়ারে সুবিধা পেতে চাইছেন কঙ্গনা। জবাবে বেশ কোমর বেঁধেই লড়াইয়ে নেমেছেন নায়িকা। তাঁর প্রশ্ন, ‘ওম্যান কার্ড’ আর ‘ভিকটিম কার্ড’ ঠিক কী? কর্ণ কি একজন মহিলাকে তাঁর অস্তিত্ব নিয়ে লজ্জা দিচ্ছেন? উইম্বলডন বা অলিম্পিক পদক জয়ে ‘ওম্যান কার্ড’ সাহায্য করবে না ঠিকই। কিন্তু ভিড়ে ঠাসা বাসে লেডিজ সিটে জায়গা পেতে কোনও অন্তঃসত্ত্বাকে ওই কার্ড সাহায্য তো করেই। কঙ্গনার বোন রঙ্গোলির উপর যখন অ্যাসিড হামলা হয়েছিল, তখন বিচার পেতে আদালতে ‘ভিকটিম কার্ড’ ব্যবহার করা কি অন্যায় ছিল?
আরও পড়ুন, রেস্তোরাঁয় গিয়ে খাবারের বদলে যৌনতা চাইলেন রিয়া!
কঙ্গনার কথায়, ‘‘আমি যখন কফি উইথ করণ-এ গিয়েছিলাম তখন কর্ণ আমাকে এমন কিছু অ্যাটিটিউড দেখিয়েছিল যার কোনও প্রয়োজন ছিল না। তাও আমি কিছু বলিনি। আর সত্যি বলতে কি, আমি তো কর্ণ জোহরের সঙ্গে লড়াই করছি না। আমার লড়াইটা উগ্র পুরুষবাদের বিরুদ্ধে। একটা নির্দিষ্ট মানসিকতার বিরুদ্ধে।’’
কঙ্গনা জানিয়েছেন, তিনি প্রয়োজন মত প্রতিটি কার্ড ব্যবহার করেন। কাজের ক্ষেত্রে কড়া প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখে ব্যবহার করেন ‘ব্যাডঅ্যাস কার্ড’। বিশ্বের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে ব্যবহার করেন ‘ডিগনিটি কার্ড’। আবার পরিবারে তাঁর কাজে লাগে ‘লাভ কার্ড’।
‘কফি উইথ করণ’-এ কঙ্গনা।
‘কফি উইথ করণ’-এ কঙ্গনার উপস্থিতি নিয়ে কর্ণ জানিয়েছিলেন, তিনি নাকি কঙ্গনাকে তাঁর বিরুদ্ধে কথা বলার জায়গা দিয়েছেন। চাইলেই কঙ্গনার বিভিন্ন মন্তব্য এডিট করে বাদ দিতে পারতেন। এতে কঙ্গনা অপমানিত বোধ করেন। তাঁর মনে হয় শিল্পী হিসেবে তাঁকে ছোট করে দেখানো হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘‘কর্ণের টিম আমার ডেট চেয়ে মাসের পর মাস অনুরোধ করে। আর প্রতিটি চ্যানেলই টিআরপি চায়। কর্ণ তো স্রেফ একজন পয়সা দিয়ে ভাড়া করা সঞ্চালক মাত্র!’’
কর্ণ বিভিন্ন সমস্যার কারণ দেখিয়ে কঙ্গনাকে ইন্ডাস্ট্রি ছেড়ে দেওয়ার কথাও বলেন। কিন্তু পরিচালকের কথায় প্ররোচিত হয়ে যে তিনি কোনও ভাবেই ইন্ডাস্ট্রি ছেড়ে চলে যাবেন না তা নিশ্চিত করেছেন কঙ্গনা। সব মিলিয়ে প্রকাশ্য ঝগড়ায় দু’পক্ষই। যা নিয়ে প্রচুর জল্পনা তৈরি হচ্ছে বলি মহলে।