Kangana Ranaut

‘মাছ-মাংস ছুঁয়ে দেখেন না’, দাবি কঙ্গনার, নেটপাড়ায় ‘মিথ্যাবাদী’ তকমা পেলেন অভিনেত্রী

মাছ-মাংস ত্যাগ করেছেন বহু বছর হল। তিনি সাত্ত্বিক জীবন যাপন করেন। যদিও কঙ্গনার দাবি মানতে নারাজ নেটপাড়া।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৯ এপ্রিল ২০২৪ ১৬:১০
Share:

কঙ্গনা রানাউত। ছবি: সংগৃহীত।

কঙ্গনা রানাউত গরুর মাংস খেতে ভালবাসেন, এক্স হ্যান্ডেলে এমনটাই দাবি করেছেন মহারাষ্ট্রের কংগ্রেস নেতা বিজয় ওয়াদেত্তিওয়ার। তাতেই প্রায় হইহই পড়ে গিয়েছে নেটাপড়ায়। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে হিমাচল প্রদেশের মান্ডি কেন্দ্রের প্রার্থী তিনি। স্বাভাবিক ভাবেই ভোটের আগে বিরোধী দলের এ হেন মন্তব্যকে রাজনৈতিক অভিসন্ধি হিসেবে দেখছেন কঙ্গনা। তিনি দাবি করেছেন, জীবনে কখনও গরুর মাংস ছুঁয়ে দেখেননি তিনি। গোটাটাকেই অপপ্রচার বলেছেন। শুধু তা-ই নয়, এই ধরনের ঘটনা ‘লজ্জাজনক’ বলে জানিয়েছেন অভিনেত্রী। যদিও কঙ্গনা যে নিরামিষাশী, এ হেন দাবি মানতে নারাজ নেটপাড়া। কঙ্গনাকে ‘মিথ্যাবাদী’ তকমা দিয়েছেন নেটাগরিকদের একাংশ।

Advertisement

সদ্য পদ্মশিবিরে যোগ দিয়ে লোকসভা নির্বাচনের প্রার্থী হয়েছেন কঙ্গনা। জোরকদমে প্রচার চালাচ্ছেন অভিনেত্রী। এর মধ্যেই তাঁর গোমাংস ভক্ষণের খবর। যদিও কঙ্গনা জানিয়েছেন, গত আট বছর ধরে তিনি নিরামিষাশী। মাছ-মাংস ত্যাগ করেছেন বহু বছর হল। তিনি সাত্ত্বিক জীবন যাপন করেন। যদিও তাঁর ভাই আমিষ খান বলেই জানান কঙ্গনা। অভিনেত্রী নিজের এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, ‘‘খুবই দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা। কংগ্রেস আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে। গত কয়েক বছর ধরে আমি যোগ ও আয়ুর্বেদকে বেছে নিয়েছি। আমি গরুর মাংস কেন, অন্য কোনও ধরনের আমিষই খাই না। আমার ভাবমূর্তি নষ্ট করার চেষ্টা চলছে। আমাকে যাঁরা চেনেন, তাঁরা জানেন, আমি গর্বিত হিন্দু। জয় শ্রী রাম।’’

যদিও অভিনেত্রীর কথা বিশ্বাস করছেন না নেটাগরিকরা। ২০২৩ সালেই অভিনেত্রী একটি কাজের জন্য হাত মেলান অভিনেতা আর মাধবনের সঙ্গে। সেই সময় তাঁদের মধ্যাহ্নভোজের ছবি দেন অভিনেত্রী। সেখানেই দেখা যায়, তাঁরা সামুদ্রিক প্রাণী (স্কুইড) খাচ্ছিলেন। প্রায় বছরখানেক পর নেটাগরিকরা সেই পুরানো ছবি খুঁজে বের করেছেন। সে সূত্র ধরেই কঙ্গনাকে ‘মিথ্যাবাদী’ তকমা দিয়েছেন তাঁরা। শুধু তা-ই নয়, মহারাষ্ট্রের এই কংগ্রেস নেতা দাবি করেছেন, কঙ্গনা এক সময় নিজের মুখেই স্বীকার করেছিলেন, তিনি গরুর মাংস খেতে ভালবাসেন। লোকসভার ভোটের আগে এই ধরনের বিষয় নিয়ে বাড়ছে রাজনৈতিক চাপানউতর।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement