‘ইমারজেন্সি’ ছবিতে জগজীবন রামের ভূমিকায় সতীশ কৌশিক।
কঙ্গনা রানাউত পরিচালিত এবং অভিনীত ‘ইমারজেন্সি’ ছবি নিয়ে প্রত্যাশার পারদ চড়ছে। ছবিতে বাবু জগজীবন রামের ভূমিকায় অভিনয় করছেন সতীশ কৌশিক। এই চরিত্রের জন্য এমন এক জনকে প্রয়োজন ছিল, যাঁর মধ্যে রসবোধ রয়েছে, যিনি বুদ্ধিদীপ্ত এবং একই সঙ্গে ব্যঙ্গাত্মক বোধও রয়েছে। আর তেমনই বৈশিষ্টের খোঁজ মিলেছে সতীশ কৌশিকের মধ্যে। আর তাই তাঁকেই এই চরিত্রের জন্য বেছে নিতে দু’বার ভাবেননি কঙ্গনা।
‘ইমারজেন্সি’ ছবি মুক্তি পাওয়ার আগেই জগজীবন রামের চরিত্রে অভিনয় করা সতীশ কৌশিকের ‘ফার্স্ট লুক’ প্রকাশ্যে আনলেন কঙ্গনা। এক বিবৃতি দিয়ে কঙ্গনা বলেন, “জগজীবন রাম জনপ্রিয় নেতা ছিলেন। তাঁর সময়ের অন্যতম সম্মাননীয় এবং আদরণীয় নেতা ছিলেন তিনি। যখন জরুরি অবস্থা তুলে নেওয়ার জন্য শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধীকে অনুরোধ করেছিলেন জগজীবন রাম, তিনি সেই অনুরোধ ফিরিয়ে দিয়েছিলেন। তার পরই কংগ্রেস ছেড়ে বেরিয়ে যান জগজীবন রাম।”
কঙ্গনা জানান, জগজীবন রামের সেই ব্যক্তিত্ব, সেই মনের জোর, বুদ্ধি এবং ব্যঙ্গাত্মক চরিত্র প্রয়োজন ছিল এই ছবির জন্য। সতীশ কৌশিকই এই চরিত্রের জন্য তাঁদের প্রথম পছন্দ ছিল। তাঁর কথায়, “এই ছবিতে এমন কিছু কিছু দৃশ্য আছে যেগুলির জন্য সতীশজিকেই প্রয়োজন ছিল। আর সে কারণেই তাঁকে বেছে নেওয়া।”
জগজীবন রামের চরিত্রে অভিনয় করার সুযোগ পেয়ে খুশি সতীশও। তাঁর কাছে এই প্রস্তাব আসার পরই জগজীবন রাম নিয়ে বিস্তর পড়াশোনা এবং গবেষণা করেছেন, এমনটাই দাবি করছেন সতীশ। পরিচালকের ভূয়সী প্রশংসা করে তাঁর মন্তব্য, “এই ধরনের কোনও ঐতিহাসিক বা রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের চরিত্রে অভিনয় করতে গেলে তাঁর সম্পর্কে ভাল ভাবে জানা প্রয়োজন, গবেষণা করা প্রয়োজন। আমি ভাগ্যবান যে, দেশের প্রাক্তন প্রতিরক্ষামন্ত্রী জগজীবন রামের চরিত্রে অভিনয় করার সুযোগ পেয়েছি। কঙ্গনা রানাউত ছাড়া এটা সম্ভব হত না।”
১৯৭১-এ বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় ইন্দিরা গান্ধী সরকারের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ছিলেন জগজীবন রাম। পরে কংগ্রেস ছেড়ে দেন।