কঙ্গনা রানাউত। ছবি: সংগৃহীত।
অভিনেতারা প্রায়ই প্রযোজনায় আসেন। ছবির ব্যবসা সংক্রান্ত নানা দিকেই নিজেদের ছড়িয়ে দিতে চান তাঁরা। অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাউতও তাঁর নিজস্ব প্রযোজনা সংস্থা খুলেছেন। মণিকর্ণিকা ফিল্মসের ব্যানারে তাঁর প্রযোজিত ছবি ‘টিকু ওয়েডস শেরু’ প্রাইম ভিডিয়োতে মুক্তি পাবে আগামী ২৩ জুন। তবে অভিনেত্রীরা প্রযোজকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হলেই যেন একটু অন্য রকম চোখে ব্যাপারটা দেখা হয় বলে মনে করেন কঙ্গনা।
পরিচালকের ভূমিকায় অবশ্য ২০১৯ সালে ‘মণিকর্ণিকা: দ্য কুইন অফ ঝাঁসি’ দিয়েই হাতেখড়ি হয়ে গিয়েছিল তাঁর।‘টিকু ওয়েডস শেরু’একটি রোম্যান্টিক কমেডি। পরিচালনায় সাই কবীর। ২০১৪ সালে ‘রিভলভার রানি’ ছবিতে প্রথম একসঙ্গে কাজ করেন কবীর আর কঙ্গনা। আবারও একসঙ্গে কাজ করতে চলেছেন তাঁরা।
কঙ্গনা সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে বলেন, “শাহরুখ, অজয়, অক্ষয়ের মতো নায়করা তাঁদের অভিনীত ছবিতে প্রযোজক হিসাবে থাকেন, সৃজনশীল ভূমিকা থাকে তাঁদের। কিন্তু এক জন মহিলা এমনটা করলেই লোকে ভাবে, এটা নতুন কিছু ব্যাপার।”
কর্মক্ষেত্রে লিঙ্গবৈষম্য নিয়ে এর আগেও কথা বলেছেন কঙ্গনা। প্রযোজনার ক্ষেত্রেও পুরুষ এবং নারীদের এই আলাদা চোখে দেখা পছন্দ নয় তাঁর। বললেন, “আমার ছবির পরিচালকেরা সব সময়ই আমার মত নিয়ে কাজ করতে চান। কারণ যাঁরা পারস্পরিক সহযোগিতার ভিত্তিতে মিলেমিশে কাজ করেন, তাঁদের সঙ্গেই আমি কাজ করতে পছন্দ করি।”
‘টিকু ওয়েডস শেরু’ ছবিতে সৃজনশীল ভূমিকা আছে কঙ্গনার। তিনি বলেন, “আমি এই ছবির জন্য তিনটে খসড়া বানিয়েছিলাম, সাই বানিয়েছিল পাঁচটা। এমনকি, গানের ব্যাপারেও আমি তিনটে লাইন লিখেছি, ও তিনটে লাইন লিখেছে, এই ভাবে এগিয়েছে। আমরা যখন ফ্লোরে গিয়েছি, ছবির অভিনেত্রী হিসাবে কিছু কিছু দৃশ্য নিজের মতন করে ভেবেছি। যদিও সাই খুবই দক্ষ পরিচালক, সেই ‘রিভলভার রানি’-র সময় থেকেই।”
অবশ্য, পরিচালক, চিত্রনাট্যকারদের কাজে হস্তক্ষেপ করার অভিযোগ আগে উঠেছে কঙ্গনার বিরুদ্ধে। ‘মণিকর্ণিকা’-র পরিচালক কৃষকে সরিয়ে দেওয়ার দায় বর্তেছিল তাঁর উপর। আবার ২০১৭ সালে হনসল মেহতার ছবি ‘সিমরন’-এ অতিরিক্ত কাহিনি, চিত্রনাট্য, সংলাপের কৃতিত্ব নিয়েছিলেন তিনি। আপত্তি জানিয়েছিলেন মূল রচয়িতা অপূর্ব আসরানি।
‘ইমার্জেন্সি’ ছবির পরিচালক এবং প্রযোজকও কঙ্গনা। সে ছবির কাজ সদ্য শেষ হয়েছে। ১৯৭৫ সালে প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর সময়কার রাজনৈতিক ইতিহাস, জরুরি অবস্থার প্রেক্ষাপটে নির্মিত সেই ছবি।
আসন্ন ছবি ‘টিকু ওয়েডস শেরু’র গল্প চয়ন নিয়েও যত্ন ছিল কঙ্গনার। মুম্বই ইন্ডাস্ট্রির ছোট ছোট চরিত্রে অভিনয় করা শিল্পীদের, ছোট শহর থেকে আসা অভিনেতাদের স্বপ্ন দেখার গল্প নিয়ে এর চিত্রনাট্য তৈরি। মূল চরিত্র দু’টি করার কথা ছিল কঙ্গনা এবং ইরফান খানের। আট বছর আগে ছবিটি তৈরি হওয়ার কথা ছিল। পরে ২০২০ সালে নির্মাণের দায়িত্ব নেন কঙ্গনা। ছবিতে আসেন নওয়াজ়উদ্দিন সিদ্দিকি এবং অবনীত কুমার।