কঙ্গনা রানাউত। ছবি: ফেসবুক।
অভিনেত্রীদের নিরাপত্তার উদ্দেশে পদক্ষেপ করছে দক্ষিণী থেকে বলিউড ইন্ডাস্ট্রি। এমন আবহে নতুন চর্চা কঙ্গনা রানাউতের ‘ইমার্জেন্সি’ ছবি ঘিরে। ছবির প্রচার করতে গিয়ে প্রায় সারা দেশ চষে ফেলেছেন সাংসদ-প্রযোজক-অভিনেত্রী। তাঁর অভিযোগ, তিনি নাকি ছবি বাতিলের হুমকি পাচ্ছেন। একই সঙ্গে খুনের হুমকিও পাচ্ছেন তিনি। এই মর্মে ইতিমধ্যেই কঙ্গনা মহারাষ্ট্র, পঞ্জাব এবং হিমাচল প্রদেশের প্রশাসনের কাছে তাঁর বাড়তি নিরাপত্তার আর্জি জানিয়েছেন। তাঁর মতে, প্রচারে বেরিয়ে যে কোনও সময় তিনি হামলার মুখোমুখি হতে পারেন, এমনই হুমকি দেওয়া হয়েছে তাঁকে। তাই তিনি বাড়তি নিরাপত্তা চাইছেন।
কঙ্গনার আগামী ছবি প্রথম দিন থেকেই আলোচনার কেন্দ্রে। ছবির নাম এবং কঙ্গনার ‘লুক’ বলে দিচ্ছে, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর জীবনের বেশ কিছু অংশ-সহ অন্তিম পর্ব দেখানো হবে। এখানেই নাকি আপত্তি শিখ সম্প্রদায়ের। শিরোমণি গুরুদ্বার প্রবন্ধক কমিটির (এসজিপিসি) সভাপতি হরজিন্দর সিং ধামি ইতিমধ্যেই আওয়াজ তুলেছেন, নায়িকা ছবিতে ভুল চিত্রায়ণ করতে চলেছেন। ছবি প্রদর্শনের বিরোধিতায় জোর দিয়েছেন তিনি।
এখানেই শেষ নয়। সমাজমাধ্যমে ভাইরাল একটি ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, পঞ্জাবের প্রভাবশালী ভিকি থমাস সিংহ কঙ্গনাকে সরাসরি বলেছেন, “ইতিহাস বদলানো যায় না। যদি ছবিতে শিখদের সন্ত্রাসবাদী হিসাবে দেখানো হয়, তা হলে মনে রাখতে হবে যাঁকে নিয়ে এই ছবি তাঁর অন্তিম দশা কী হয়েছিল। মনে রাখবেন, সতবন্ত সিংহ এবং বিয়ন্ত সিংহ কে ছিলেন। আমাদের দিকে আঙুল তুললে সেই আঙুল আমরা ভেঙে দিই।” একই ভিডিয়োয় শিখ সম্প্রদায়ের আরও এক ব্যক্তি কঙ্গনাকে উদ্দেশ্য করে অশ্রাব্য গালিগালাজ করেন।
ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসার পর বেশ কিছু নেটাগরিক সমাজমাধ্যমে কঙ্গনার নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে নায়িকার প্রতি অশ্রাব্য কটূক্তি শুনে বিস্মিত তাঁরা।