তর্কাতর্কির পরেও উরফি জাভেদের প্রতি ‘বন্ধুত্বপূর্ণ’ বার্তা কঙ্গনা রানাউতের। ফাইল চিত্র।
শিল্পীর ধর্ম নিয়ে তত ক্ষণে একপ্রস্ত কথা কাটাকাটি হয়ে গিয়েছে সমাজমাধ্যমের পাতায়। যখন ‘পাঠান’ ও দেশের মুসলিম অভিনেতাদের নিয়ে একের পর এক বিতর্কিত টুইট করছেন কঙ্গনা রানাউত, তখনই উরফির জবাবে টুইট, ‘‘শিল্পী আবার হিন্দু-মুসলমান হয় নাকি?’’ তার উত্তর দিতেও ভোলেননি কঙ্গনা। তবে তর্কাতর্কিতেই শেষ নয়। মতবিরোধ সত্ত্বেও উরফির প্রতি ‘ভালবাসা’র বার্তা কঙ্গনা রানাউতের। উরফিকে কঙ্গনার পরামর্শ, ‘‘কখনও কাউকে তোমায় অপদস্থ করার সুযোগ দেবে না, তুমি পবিত্র ও সুন্দর।’’
‘‘এ দেশে খান ও মুসলিম তারকাদের প্রতি ভালবাসার মাত্রা যে একটু বেশি, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। এই দেশ একমাত্র খানেদের ভালবেসেছে, যত সময় গিয়েছে সেটাই স্পষ্ট হয়েছে।” টুইটে লেখেন কঙ্গনা। পদ্মশ্রীজয়ী অভিনেত্রীর এই টুইটের উত্তরে উরফির পাল্টা টুইট, “এ সব কী বলছেন! মুসলিম অভিনেতা-হিন্দু অভিনেতা, এই বিভাজনের অর্থ কী? ধর্ম দিয়ে শিল্পের বিচার হয় না। তাঁরা শুধুই অভিনেতা।”
উরফির মন্তব্যের জবাবে কঙ্গনা লেখেন,‘‘একমাত্র ইউনিফর্ম সিভিল কোড থাকলে আদর্শ দেশে এমনটা সম্ভব, তা না হওয়া পর্যন্ত দেশে বিভাজন থাকবেই।’’ সঙ্গে ইউনিফর্ম সিভিল কোড চালুর জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে আর্জির জানানোর প্রস্তাবও দেন ‘মণিকর্ণিকা: দ্য কুইন অফ ঝাঁসি’ খ্যাত অভিনেত্রী। কঙ্গনার বক্তব্যে উরফি মজার ছলে লেখেন, ‘‘আমার জন্য ইউনিফর্ম খুব একটা আদর্শ হবে না, আমি আমার পোশাকের জন্যই বিখ্যাত।’’
এ কথার উত্তর হিসাবে কঙ্গনার টুইটেই স্পষ্ট হয়, উরফির ফ্যাশন সম্পর্কে যথেষ্ট ওয়াকিবহাল তিনি। কন্নড় সাহিত্যের মহাদেবী অক্কার কাহিনির কথা স্মরণ করে কঙ্গনার টুইট, ‘‘পোশাক নির্বাচন নিজেকে মেলে ধরার একটা উপায়। কাউকে কখনও সুযোগ দেবে না যাতে তারা তোমায় অপদস্থ করতে পারে, তুমি পবিত্র এবং সুন্দর।’’ টুইটের শেষে উরফির জন্য ভালবাসার বার্তা দিতেও ভোলেননি কঙ্গনা। টুইটার সাক্ষী রইল সেই বন্ধুত্বপূর্ণ আদানপ্রদানের।