Kanchan Mallick

ধর্মের রাজনীতি করে ভোট জেতা যায় না; বাংলায় ঘাসফুলের জয়ে উচ্ছ্বসিত কাঞ্চন

বাম দলের ৩৪ বছরের রাজত্বে পাঁচ নয়া পয়সাও রাজ্যবাসী পাননি। এখন নানা প্রকল্প কেবল সাধারণের মুখ চেয়ে, বক্তব্য কাঞ্চনের।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৪ জুন ২০২৪ ১৯:০৬
Share:

দলের জয়ে খুশি কাঞ্চন মল্লিক। নিজস্ব চিত্র।

সর্বশেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী ৩০টি আসনে এগিয়ে থেকে ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনে একাই দাপট দেখাচ্ছে শাসকদল তৃণমূল। মঙ্গলবার সকাল থেকেই টান টান উত্তেজনা। কী বলছেন উত্তরপাড়ার বিধায়ক কাঞ্চন মল্লিক?

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন যোগাযোগ করতেই খুশির আমেজ ধরা পড়ল বিধায়ক-অভিনেতার গলায়। এই দিন কি কাঞ্চন মল্লিকের? প্রশ্ন শুনেই ফোনের ও পার থেকে দরাজ উত্তর, “আমার দিন নয়। বলুন আমাদের দিন। তৃণমূল কংগ্রেসের দিন।” জানালেন, চারদিকে উৎসবের মেজাজ। আরও কয়েকটি ফলপ্রকাশ বাকি। তার পর সবাই উদ্‌যাপনে শামিল হবেন।

২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি পেয়েছিল ১৮টি আসন। সর্বশেষ খবর অনুযায়ী ২০২৪-এ মাত্র ১১টি আসনে এগিয়ে রয়েছে তারা। একে একে জয়ী হচ্ছেন তৃণমূলের প্রার্থীরা, আসছে খবর। বাংলায় শাসকদলের সাফল্য আর বিজেপির ব্যর্থতার তুল্যমূল্য আলোচনা করতে বললে কী বলবেন কাঞ্চন?

Advertisement

প্রশ্ন রাখতেই স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে শাণিত জবাব, “দেখুন, সাম্প্রদায়িক রাজনীতিতে ভোট জেতা যায় না। হুমকি, ধমকি দিয়েও কিছু হয় না। সাধারণের কাছে আসতে হয়। তাদের অনুভূতি বুঝতে হয়। তবে এই ফলাফল সম্ভব।” উদাহরণ হিসেবে তিনি জানান, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, স্বাস্থ্য সাথী, সবুজ সাথী, কন্যাশ্রী প্রকল্পের মতো একাধিক প্রকল্প কেবল রাজ্যবাসীর মুখ চেয়ে মুখ্যমন্ত্রী চালু করেছেন। সুফল ভোগ করছেন অর্থনৈতিক দিক থেকে তুলনায় দুর্বল যাঁরা। এ ভাবেই তৃণমূল কংগ্রেস মা-মাটি-মানুষের কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছে। যার ছাপ পড়েছে ইভিএম যন্ত্রে।

বিরোধীরা যে একে ভিক্ষান্ন বলছে! দাবি, চাকরি কেড়ে হাজার টাকা ভিক্ষা দিয়ে রাজ্যের ভোটারদের কিনেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়!

প্রশ্ন শুনেই কিঞ্চিৎ উত্তেজিত কাঞ্চন। তাঁর দাবি, “কিছু মানুষের স্বভাব চাল থেকে অকারণ কাঁকর বেছে বার করা। যা পাচ্ছেন, তাতে খুশি হতে পারেন না। উল্টে ভুল কথা বলেন।” তাঁর পাল্টা প্রশ্ন, ৩৪ বছরের বাম জমানায় সাধারণ মানুষের জন্য কোনও প্রকল্প ছিল না। কেউ কানাকড়ি পাননি। রাজ্যবাসীর কথা ভেবেই মুখ্যমন্ত্রী বাংলায় এক মুঠো প্রকল্প চালু করেছেন। এখন তা নিয়ে অযথা সমালোচনা হচ্ছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement