কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায়। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
জুনিয়র চিকিৎসকদের অবস্থান চলছে দিনভর। রাজ্য সরকার ও আন্দোলনকারীদের তরফে কয়েক বার বার্তা আদানপ্রদান হলেও জট এখনও খোলেনি। তাই অবস্থান অব্যাহত রয়েছে। বুধবার সাংবাদিক বৈঠকে আন্দোলনরত চিকিৎসকেরা স্পষ্ট জানান, অপরাধীদের যত ক্ষণ না ধরা হচ্ছে, কর্মবিরতি অব্যাহত থাকবে। আন্দোলনের জেরে রোগীরা পরিষেবা পাচ্ছেন না, এমন দাবি তুলেও বার বার কটাক্ষ করা হয়েছে জুনিয়র চিকিৎসকদের। সেই দাবি খুব একটা ধোপে টেকেনি। এই বিষয়ে এ বার বিস্ফোরক কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায়।
পরিচালক নিজেও পেশায় চিকিৎসক ছিলেন। সমাজমাধ্যমে তিনি স্পষ্ট জানালেন, চিকিৎসকদের ধমক দিয়েও কোনও লাভ হবে না। এই পেশায় আসার প্রথম দিন থেকেই তাঁর নানা রকম প্রতিকূলতার মধ্যে থাকতে অভ্যস্ত।
কমলেশ্বর তাঁর পোস্টে লেখেন, “এ বিশ্বে প্রাণ এলে বা গেলে, মড়ক লাগলে বা কাটলে চিকিৎসকেরাই তার সাক্ষী থাকেন। ক’বছর আগেই করোনা অতিমারির সময় তার প্রমাণ পেয়েছে মানুষ। আইএমএ-র হিসাব অনুযায়ী করোনা প্রতিরোধে এই রাজ্যে প্রায় ২০০ জন চিকিৎসক শহিদ হয়েছেন। বেসরকারি হিসেব বলে প্রায় ৫০০ জন।” পরিচালক প্রশ্ন তোলেন, “ক’জনের পরিবার সরকারি ক্ষতিপূরণ পেয়েছেন? বেসরকারি হিসেব বলে, এক জন (ভুল হলে শুধরে দেবেন)।”
কটাক্ষ করে কমলেশ্বর লেখেন, “ন্যায্য দাবি তোলার জন্যে চিকিৎসকদের পথে বসিয়ে, রাত জাগিয়ে বা ধমকে চমকে কোনও লাভ হবে না। পেশায় আসার দিন থেকেই প্রাকৃতিক, সামাজিক ও প্রশাসনিক প্রতিকূলতার মধ্যে বাঁচা তাঁদের অভ্যেস হয়ে যায়।”