জয়জিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়, যশোজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং জয়জিতের স্ত্রী শ্রেয়া বন্দ্যোপাধ্যায়।
‘বডি শেমিং’ নিয়ে কবিতা লিখলেন অভিনেতা জয়জিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের নবম শ্রেণির ছেলে যশোজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই কবিতা নেটমাধ্যমে ভাগ করে নিলেন শ্রীলেখা মিত্র। অভিনেত্রী প্রায়ই তাঁর শরীর নিয়ে নেটাগরিক এবং সহ-অভিনেতাদের কটাক্ষের শিকার হয়েছেন। সে কথা নেটমাধ্যমে জানিয়েওছেন তিনি। তাই যশোজিতের কবিতা তিনি শেয়ার করবেন, এটাই স্বাভাবিক। তিনি সমর্থনও জানিয়েছেন যশোজিৎকে। মন্তব্যে লিখেছেন, ‘একটা বাচ্চা ছেলে যা জানে বড়রা তা জানে না!’ কিন্তু কী কারণে শরীর নিয়ে কটাক্ষকে তাঁর কবিতার বিষয় বানালেন? যশোজিৎ নিজেও অভিনেতা। তাই কি তিনিও ‘বডি শেমিং’-এর শিকার?
আনন্দবাজার ডিজিটালের কাছে অকপট যশোজিৎ, ‘‘আমার এখনও সেই সৌভাগ্য বা দুর্ভাগ্য কোনওটাই হয়নি। তবে অনেককে এই বডি শেমিং এর শিকার হতে দেখেছি। তার জন্যেই এই কবিতা। মনে হল, অনলাইনে হওয়া এই অন্যায়ের জবাব অনলাইনেই দিই।’’ আপনার লেখা শ্রীলেখা মিত্র শেয়ার করেছেন। কথা ফুরোনোর আগেই জবাব দিলেন যশোজিৎ, শুধু তারকা নন, নানা অনুষ্ঠানে সাধারণ মানুষও অন্যজনের শরীর নিয়ে অকারণ মন্তব্য করতে শুনেছেন। ক্রমাগত নেতিবাচক মন্তব্য শুনতে শুনতে অনেকে মানসিক বিপর্যয়ের শিকার হয়েছেন, এমনও জানেন তিনি। তাই কবিতায় তিনি বলে উঠেছেন, ‘দেহটা আমার! থাক না আমার মতো’। অথবা ‘দেহটা তোমারই, অন্য কারওর নয়’।
যশোজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা কবিতা
যশোজিতের বাবা জনপ্রিয় অভিনেতা জয়জিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়। কোনও দিন বাবাকে ‘ট্রোল’, ‘মিম’ বা ‘বডি শেমিং’-এর শিকার হতে দেখেছেন? যশোজিতের মতে, ‘‘এই শব্দগুলো একুশ শতকে খুবই পরিচিত। যদিও বাবার সঙ্গে এমন ঘটনা ঘটেনি।’’ তবে যশোজিৎকে নিয়ে নেটাগরিকেরা একটি মিম বানিয়েছিলেন। একটি ছবি দেওয়া হয়েছিল যশোজিতের সামাজিক পাতায় যেখানে তিনি বসে খাচ্ছেন। আর তাঁর পোষ্য বিড়াল তাঁর দিকে তাকিয়ে আছে। এই ছবি নিয়ে মিম বানানো হয়েছিল। যশোজিতের কথায়, ‘‘খুব মিষ্টি ছিল সেই মিম। আমি উপভোগ করেছিলাম।’’ তার পরেই তাঁর দাবি, একটা সময় পর্যন্ত কটাক্ষ সত্যিই উপভোগ্য। অনেক সময় মন ভাল করে দেয়। কিন্তু মাত্রা ছাড়ালেই গণ্ডগোল।