সাধারণ দেখতে ছেলেটি আইআইটি পাশ করেও অভিনেতা হতে অলওয়াল থেকে মুম্বই চলে এসেছিলেন। ভাগ্য বদলাতে সময় লাগেনি।
এখন ওয়েব সিরিজের পরিচিত মুখ তিনি। আইআইটি পাশ করে ভাল চাকরি খুঁজতে যে সময় লেগে যেত, তার অনেক কম সময়ে পরিচিতি এবং কোটি টাকার ব্যাঙ্ক ব্যালান্সও করে ফেলেছেন তিনি।
তিনি সকলের প্রিয় জিতু ভাইয়া। পুরো নাম জিতেন্দ্র কুমার। জিতু শুধু তাঁর বেশির ভাগ ওয়েব সিরিজের চরিত্রের নাম নয়, এই নামেই বাড়িতে সবাই ডাকেন তাঁকে।
১৯৯০ সালের ১ সেপ্টেম্বর রাজস্থানের অলওয়ারে জন্ম জিতেন্দ্রর। স্কুলজীবন রাজস্থানেই কেটেছে তাঁর।
মেধাবী জিতু তার পর আইআইটি খড়্গপুরে ভর্তি হন। সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পাশ করেন তিনি।
ছোট থেকেই অভিনয়ের প্রতি ঝোঁক ছিল তাঁর। কলেজে থাকার সময় তা ভালবাসায় পরিণত হয়। বন্ধুদের সামনে বিভিন্ন অভিনেতার নকল করে প্রশংসা কুড়োতেন।
কলেজে স্ক্রিপ্ট লেখক বিশ্বপতি সরকারের সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়। বিশ্বপতি তখন টিভিএফ (দ্য ভাইরাল ফিভার)-এর সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
আইআইটি পাশ সার্টিফিকেট সঙ্গে নিয়েই তিনি অলওয়ার থেকে মুম্বই এসেছিলেন। বিশ্বপতির প্রস্তাবে সায় দিয়ে ২০১২ সালে জিতু টিভিএফ-এ যোগ দিলেন।
এক বছর ধরে পরিশ্রম করে এক সময় ভেঙেও পড়েছিলেন। তার পর বেঙ্গালুরুতে একটি নির্মাণ সংস্থায় যোগ দেন। কিন্তু সেই চাকরিতে তাঁর মন বসছিল না।
এ দিকে তাঁর পরিশ্রম ফল দিতে শুরু করেছিল। ২০১৩ সালে তাঁর প্রথম ছবি ‘মুন্না জজবাতি’-র ভিডিয়ো ভাইরাল হয়ে যায়। প্রথম ছবি থেকেই নেটদুনিয়ার পরিচিত মুখ হয়ে ওঠেন জিতু।
তার পর টিভিএফ-এর ‘টেক কনভারসেশন উইথ ড্যাড’, ‘এ ডে উইথ’ সিরিজে অভিনয় করেন। তবে সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন ‘কোটা ফ্যাক্টরি’-র ‘জিতু ভাইয়া’ হয়ে।
এ ছাড়া ‘গিট্টু’, ‘পার্মানেন্ট রুমমেটস’-ও তাঁর জনপ্রিয় কিছু ওয়েব সিরিজ। ‘পঞ্চায়েত’ নামে ওয়েব সিরিজও দারুণ জনপ্রিয়তা এনে দিয়েছে তাঁকে।
শুধু ইউটিউব কিংবা ওটিটি প্ল্যাটফর্মেই নয়, জিতু সুযোগ করে নিয়েছেন ছবিতেও। আয়ুষ্মান খুরানার সঙ্গে ‘শুভ মঙ্গল জাদা সাবধান’-এ দেখা গিয়েছে তাঁকে। এ ছাড়া ‘গন কেশ’, ‘চমন বাহার’-সহ আরও দু’টি ছবি করেছেন।
জিতু এখন অন্তত পাঁচ কোটি টাকার মালিক। বেশির ভাগ সময় অলওয়ারে নিজের পরিবারের সঙ্গেই কাটাতে ভালবাসেন জিতু। মু্ম্বইয়ে একটি ফ্ল্যাটও রয়েছে তাঁর।
ওয়েব সিরিজের একটি পর্বের জন্য ৫০ হাজার টাকা নেন তিনি। আর ছবিতে পারিশ্রমিক নেন এক কোটি টাকা।
জিতুর গাড়ির খুব শখ। তাঁর কাছে ৯০ লাখ টাকার মার্সেডিজ বেন্জ রয়েছে। ৭০ লাখ টাকার মার্সেডিজ বেন্জ ই ক্লাস এবং ৪০ লাখ টাকার টয়োটা ফর্চুনার রয়েছে।