(বাঁ দিকে) শিনাল সুর্তি, যিশু ও নীলাঞ্জনা সেনগুপ্ত (ডান দিকে)। ছবি: সংগৃহীত।
ঘটনার পর ঘটনা। খবরের অন্দরে খবর। আরজি কর-কাণ্ডের পাশাপাশি একের পর এক বিচ্ছেদ, সম্পর্কের টানাপড়েন, নারীনিগ্রহের কথা প্রকাশ্যে আসতেই বেসামাল বাংলা বিনোদন দুনিয়া। যেমন, গত এক মাসেরও বেশি সময় ধরে চর্চায় যিশু সেনগুপ্ত-নীলাঞ্জনা সেনগুপ্ত। যাঁরা টলিউডের ‘পাওয়ার কাপল’ হিসাবে ২০ বছরেরও বেশি সময় ধরে পরিচিত। হঠাৎ বিচ্ছেদের পথে তাঁরা। খবর, যিশু আপ্ত সহায়ক শিনাল সুর্তির সঙ্গে সম্পর্কে রয়েছেন। সেই খবর প্রকাশ্যে আসতেই বেঁকে বসেছেন নীলাঞ্জনা। এ-ও শোনা গিয়েছে, শিনাল নাকি যিশুর সন্তানের মা হতে চলেছেন।
বুধবার সকাল থেকে নতুন গুঞ্জনে নড়ে বসেছে টলিপাড়া। যিশু বাবা হতে চলেছেন, এই গুঞ্জন নাকি ভুয়ো। সম্পূর্ণ দাম্পত্য কলহের জেরেই নাকি ভাঙছে তাঁদের বিয়ে। তা হলে সেনগুপ্ত পরিবারে ভাঙনের নেপথ্য কারণ কী? শোনা যাচ্ছে, নীলাঞ্জনা নাকি প্রবল আধিপত্য চালাতেন যিশুর উপরে। দীর্ঘ দিন ধরে সেই আচরণ সহ্য করার পর ক্রমশ মন বিষিয়ে উঠছিল অভিনেতার। ভিতরে ভিতরে তিনি দূরে সরে যাচ্ছিলেন নীলাঞ্জনার থেকে। এই বিচ্ছেদ নাকি তারই ফসল। নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক খ্যাতনামী সেই সময় শিনালের সঙ্গে যিশুর সম্পর্ক নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছিলেন। আরও একটি বিষয়, নীলাঞ্জনা সরাসরি না বললেও সমাজমাধ্যমে বিচ্ছেদ নিয়ে নানা কথা ছুড়ে দিয়েছেন। দম্পতির বড় মেয়ে সারা সেনগুপ্ত সেই সময় মাকে সমর্থন জানিয়েছেন। এত কিছুর পরেও যিশু কিন্তু মুখ খোলেননি।
কেন এত নীরব তিনি? শোনা যাচ্ছে, অভিনেতার পিতৃসত্তা এ ক্ষেত্রে জোরালো ভূমিকা পালন করেছে। দুই মেয়ের মুখ মনে করেই নাকি যিশু নীরব। কোনও প্রতিবাদ জানাননি। আত্মপক্ষ সমর্থনেও মুখ খোলেননি তিনি। বরং তিনি নিজের প্রযোজনা সংস্থা-সহ যাবতীয় সম্পত্তি নাকি স্ত্রী ও দুই মেয়ের নামে লিখে দিয়েছেন। যাতে আগামী দিনে তাঁদের কোনও সমস্যা না হয়।