নারীসুলভ পোশাকেই কি বেশি ক্ষমতাশালী ভারতীয় নারীরা? বিতর্কে তিন প্রজন্মের তিন নারী -ফাইল চিত্র
খালি শার্ট-প্যান্ট? অনেক ভারতীয় নারীকেই আজকাল শুধু পশ্চিমি পোশাকই পরতে দেখা যায়, কিন্তু কেন? প্রশ্ন তুললেন জয়া বচ্চন। নাতনি নব্যা নভেলির পডকাস্টে এসে মন খুলে কথা বলেন মা-দিদিমাও। কত কী নিয়েই তো কথা জমা হয়ে থাকে! যাবতীয় একান্ত কথা এখন উজাড় করে দেওয়ার জায়গা ‘হোয়াট দ্য হেল নব্যা’। এ পর্যন্ত নব্যার ছোটবেলার কথা থেকে শুরু করে সিনেমার সেটে জয়ার ঋতুস্রাব— কথা হয়েছে অনেক কিছু নিয়েই।
এ বারের আলোচনার বিষয় ছিল পোশাক। শিরোনাম ‘ওয়ান ক্রাউন, মেনি শুজ’। সেই পর্বে শ্বেতা বচ্চন আর নব্যা দু’জনকেই প্রশ্ন করলেন জয়া, “কেন এখন ভারতীয় নারীরা বেশি বেশি করে শার্ট-প্যান্ট পরছেন?” জবাবে শ্বেতা বলতে গেলেন, “আসলে সুবিধে হয় চলাফেরা করতে। এখন তো মেয়েরা আর ঘরে বসে থাকেন না, তাঁদের বেরোতে হয়। চাকরি করতে হয়। শাড়ি জড়ানোর চাইতে চট করে প্যান্ট-শার্ট গলিয়ে নেওয়া কি সহজ নয়?”
ব্যাপারটা বুঝলেন ‘গুড্ডি’-র নায়িকা। বললেন, “আমার মনে হয়, অজান্তেই আমরা সুবিধাজনক পোশাকের দিকে ঝুঁকে পড়েছি। যা কি না নারীকে পুরুষের মতো ক্ষমতা দিচ্ছে। কিন্তু আমি একজন নারীকে নারীর ক্ষমতাতেই দেখতে চাইব। বলছি না যে সব সময় শাড়ি পরতে হবে, কিন্তু তা-ও...” জয়া বলেন, “পশ্চিমের দেশগুলোতেও মেয়েরা আগে শুধু নারীসুলভ পোশাক পরতেন। পা ঢাকা গাউন, ড্রেস— এ সবের চল ছিল। কিন্তু তার পর সে সব ছেড়ে প্যান্ট পরতে শুরু করেছেন ওঁরাও।”
শ্বেতা এর পর প্রসঙ্গটা ধরে নেন। তাঁর দাবি, “পুরুষরা যুদ্ধে গেলে মহিলারা মাঠে নামতে থাকেন। কারখানায় কাজ করতে যান রুটিরুজির জন্য। তখন তো গাউন ছাড়তেই হত। ভারী যন্ত্রপাতি চালানোর জন্য প্যান্ট পরা ছাড়া উপায় নেই!”
মা-দিদিমার মাঝে নব্যা যোগ করতে চান, দেশের মহিলা শিল্পপতি কিংবা সংস্থার প্রধানরা অনেকেই শাড়ি পরেন। নব্যার কথায়, “স্বনির্ভরতা এবং আত্মবিশ্বাস তাঁদের মজ্জায় আর সেটাই তাঁদের ক্ষমতার চিহ্ন।”
তিন প্রজন্মের তিন নারী শেষে রফায় আসেন এই দিয়েই। ভিতর থেকে শক্তিশালী এখনকার নারীরা। তাঁদের পোশাক যা-ই হোক, নারীর নিজস্ব শক্তির প্রদর্শনই জরুরি।