৫০০ পর্ব পেরিয়ে গেল ‘যমুনা ঢাকি’
এক দিনে দু-দুটো সুখবর! বৃহস্পতিবার ৫০০ পর্ব ছুঁয়ে ফেলল ধারাবাহিক ‘যমুনা ঢাকি’। ওই দিনই রেটিং চার্টে তৃতীয় স্থান দখল করেছে ধারাবাহিকটি। উদযাপনে কি দ্বিগুণ মজা হল? সেট থেকে সরাসরি লাইভ অনুষ্ঠানে এসেছিলেন ধারাবাহিকের সমস্ত সদস্য। সেখানেই দেখা গিয়েছে, জি বাংলা চ্যানেল কর্তৃপক্ষ উপহার পাঠিয়েছিলেন চকোলেট কেক। উপরে ভ্যানিলা ক্রিম দিয়ে সাজানো। কেকের বুকে সুন্দর করে আঁকা ধারাবাহিকের লোগো। পাশে জ্বলছে টুকটুকে লাল ৫০০ সংখ্যা লেখা মোমবাতি!
আনন্দবাজার অনলাইনের সঙ্গে সেই আনন্দ ভাগ করে নিয়েছেন ‘যমুনা ঢাকি’ ওরফে শ্বেতা ভট্টাচার্য। ধারাবাহিকের পরিচালক, প্রযোজক স্নেহাশিস চক্রবর্তী। প্রযোজক ফোনে আনন্দবাজার অনলাইনকে প্রথম জানিয়েছেন গল্পের নতুন মোড়, ‘‘আগামী দিনে ধারাবাহিকে যমুনা বাংলাকে পৌঁছে দিতে চলেছে জাতীয় স্তরে। তার গর্বে গর্বিত হবে তার রাজ্য।’’ কী ভাবে? স্নেহাশিসের অনুরোধ, এর জন্য সবাইকে চোখ রাখতে হবে ছোট পর্দায়।
প্রবীণ অভিনেত্রী সোমা দে থেকে কাঞ্চনা মৈত্র, দেবযানী চট্টোপাধ্যায়, কার্যনির্বাহী প্রযোজক, রূপটান শিল্পী--- সবাই ছটফট করছেন, কখন কেক কাটা হবে! পুরো অনুষ্ঠান দর্শকদের সামনে তুলে ধরার দায়িত্ব নিয়েছিলেন যমুনার পর্দার স্বামী ‘সঙ্গীত’ ওরফে রুবেল দাস। কেক কাটা পর্বও দর্শকেরা দেখতে পান তাঁর মোবাইল থেকেই। উপস্থিত প্রত্যেকে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানান সমস্ত দর্শকদের। তত ক্ষণে দর্শকদের হয়ে এক টুকরো কেক নিজেই মুখে পুরে দিয়েছেন রুবেল!
৫০০ পর্বের কিছু আগে থেকেই যমুনা ছদ্মবেশী। চিত্রনাট্য অনুযায়ী সে মৃতা। কে তার খুনি? সেই রহস্য ফাঁস করতেই আপাতত সে জ্যোতি সেন। চলনে-বলনে, সাজ-সজ্জায় ঝাঁ চকচকে নব্য প্রজন্মের প্রতিনিধি। শ্বেতার কথায়, ‘‘যমুনা ঢাকির মতোই জ্যোতিও আমায় চ্যালেঞ্জ ছুড়েছে। চরিত্রের দিক থেকে সে আধুনিকা, ভীষণ কর্কশ, উগ্র। ছক কষে প্রতিটি পা ফেলে। প্রচণ্ড বাস্তববাদী এবং ঠোঁটকাটা। যেটা যমুনা নয়। ও খুবই আটপৌরে, সাদাসিধে মেয়ে।’’ তা হলে কোন চরিত্র বেশি কাছের? সাফ জবাব এল, যমুনাকে এগিয়ে রাখবেন অভিনেত্রী। এই চরিত্রের কল্যাণে ঢাক বাজাতে শিখেছেন। সবাই তাঁকে ‘যমুনা’ হিসেবেই ভালবেসেছেন শুরু থেকে।
জাতীয় স্তরে পৌঁছতে উগ্র আধুনিকতা খুব জরুরি? স্নেহাশিসের যুক্তি, একেবারেই না। নিজের খুনিকে ধরতে যমুনার এই ছদ্মবেশ। যখনই সে ঢাক কাঁধে নেয় তখনই সে পুরনো সাজে সেজে ওঠে। প্রযোজক-পরিচালক আরও উচ্ছ্বসিত, চলতি সপ্তাহে শুধু ‘খুকুমণি হোম ডেলিভারি’ বা ‘যমুনা ঢাকি’ নয়, ভাল ফল করেছে তাঁর সব ক’টি শো। একাধিক চ্যানেল মিলিয়ে এই মুহূর্তে তাঁর আটটি শো চলছে। পরিচালকের দাবি, সবগুলোই স্লট লিডার! মুখ্যমন্ত্রী দেখেছেন তাঁর ‘যমুনা ঢাকি’? আগামী দিনে ‘দিদি’র ছোঁয়া লাগবে বাংলার এই পুরনো লোকশিল্পে? স্নেহাশিসের কথায়, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমার সব ধারাবাহিক দেখেন। দিদি নিজেও গান-বাজনার সমঝদার। প্রত্যন্ত অঞ্চলে পৌঁছে সেখানকার মানুষদের সংস্কৃতি, দুঃখ-দুর্দশা নিজের চোখে দেখেন। শুনেছি, ঢাক শিল্প এবং ঢাকিদের দিকে তাঁরও নজর রয়েছে।’’