প্রতীকী ছবি। ছবি: সংগৃহীত।
বাংলাদেশের ছাত্রদের পাশে দাঁড়ালেন এ পার বাংলার পড়ুয়ারা। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান স্থগিত রাখার কথা সমাজমাধ্যমে ঘোষণা করলেন মৌসুমী ভৌমিক। এক লিখিত বিজ্ঞপ্তিতে তিনি জানিয়েছেন, এখন খোলা মঞ্চে দাঁড়িয়ে গান গাইবার বদলে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করা, যেখানে আগুন লাগছে তা নেভানো আর যে আগুন লাগতে পারে সেখানে পাহারা দেবার সময়।
নিজের শহর, দেশের পাশাপাশি বিশ্বের যেখানে অন্যায় মাথাচাড়া দিয়েছে, প্রতিবাদ জানিয়েছেন যাদবপুর, প্রেসিডেন্সি-সহ শহর কলকাতার প্রথম সারির বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা। কখনও সেই প্রতিবাদ নির্ভয়াকাণ্ডের বিরুদ্ধে। কখনও সেই প্রতিরোধ দিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়ে। বাংলাদেশের ছাত্র আন্দোলনের পাশে এ পার বাংলার পড়ুয়াদের এই অবস্থান স্বাভাবিক ভাবেই এই মুহুর্তে চর্চায়।
আগামিকাল অর্থাৎ, ৮ অগস্ট বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে গানের অনুষ্ঠান হওয়ার কথা। ৭ অগস্ট সন্ধ্যায় সেই অনুষ্ঠান বাতিলের কথা লেখেন মৌসুমী। তাঁর বিবরণী অনুযায়ী, “মিথ্যে প্রচারের বিরুদ্ধে সোচ্চার হবার সময় এখন। মিথ্যে প্রচার আর সত্যিকারের বিপন্নতার মধ্যে তফাত করার সময়। গান গাইবার সময় আসবে আমাদের, তখন আমরা গলা ছেড়ে গান গেয়ে অন্য পারে পৌঁছে দেব।” মৌসুমী অনুভব করেছেন, ছাত্র সংহতি রক্ষা করতে হলে দুই বাংলার ছাত্রদের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে এগিয়ে আসতে হবে। বার্তাটি ইতিমধ্যেই ভাইরাল। কেউ মন্তব্য বিভাগে কিছু না লিখলেও তাঁর বার্তা ছড়িয়ে পড়েছে ইতিমধ্যেই। পাশাপাশি, প্রশাসন পরিকাঠামো ভেঙে পড়ায় বুধবার সকাল থেকে যান নিয়ন্ত্রণে পথে নেমেছেন বাংলাদেশের পড়ুয়ারা। তাঁদের এই পদক্ষেপ খুশিমনে মেনে নিয়েছেন ও পার বাংলার সব মানুষ। ছাত্রদের এই প্রয়াস ছবি, ভিডিয়ো হয়ে জায়গা করে নিয়েছে বাংলাদেশের প্রথম সারির তারকাদের সমাজমাধ্যমে।