দীর্ঘ লড়াইয়ের পরে শেষ পর্যন্ত নন্দনের পর্দায় চলল ‘ইস্কাবন’। এবং প্রথম গত উইকেন্ড থেকে প্রায় প্রতিটি শো’ই হাউজফুল যাচ্ছে বলে দাবি করেছেন ছবির পরিচালক মন্দীপ সাহা।
নন্দনে ‘ইস্কাবন’
সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে বাংলা ছবি ‘ইস্কাবন’। জঙ্গলমহল থেকে শুরু করে এক দশক আগের রাজনৈতিক চিত্র তুলে ধরা, ইত্যাদি বিভিন্ন কারণে ইতিমধ্যেই মানুষের মুখে মুখে ঘুরছে ছবির নাম। তবে বক্স অফিসে আলোর মুখ দেখলেও বেশ কয়েকটি বিষয় নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন ছবির নির্মাতা ও কলাকুশলীরা। সেই প্রশ্নের বোধ হয় অবসান হল।
দীর্ঘ লড়াইয়ের পরে শেষ পর্যন্ত নন্দনের পর্দায় চলল ‘ইস্কাবন’। এবং প্রথম গত উইকেন্ড থেকে প্রায় প্রতিটি শো’ই হাউজফুল যাচ্ছে বলে দাবি করেছেন ছবির পরিচালক মন্দীপ সাহা। যদিও এই জয় আসলে দর্শকদেরকে উৎসর্গ করে দিয়েছেন ছবির সঙ্গে যুক্ত প্রত্যেকেই। মন্দীপের কথায়, “যেদিন থেকে ছবিটিকে দর্শকদের জন্য নিয়ে আসব বলে ভেবেছি, সেদিন থেকে বাধা পেয়েছি। প্রতিটি পদে সমস্যা হয়েছে। নবাগত হওয়ার কারণেই হোক বা অন্য কোনও কারণে, আমরা কোনওভাবে গুরুত্ব পায়নি। তবুও শক্ত হাতে আমরা হাল ধরেছিলাম। দর্শকরা আমাদের পাশে ছিল। সেই দর্শকদের চাহিদাতেই অবশেষে নন্দন জয় হয়েছে আমাদের। এবং ভাল লাগছে এটাই যে শো পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই প্রত্যেকদিন রীতিমতো হাউসফুল যাচ্ছে।”
ছবি মুক্তির পরে কেটে গিয়েছে প্রায় ২৫ দিন। বাংলার বিভিন্ন হলে এখনও সগৌরবে চলছে ‘ইস্কাবন’। শুধু কলকাতাই নয়, এই চতুর্থ সপ্তাহেও ইস্কাবনের জোয়ারে গা ভাসিয়েছেন জেলার মানুষ। প্রযোজকদের আশা, এভাবেই ৫০ দিন গর্বের সঙ্গে মানুষের সঙ্গে থাকবে ‘ইস্কাবন’।
বিগত সময়ের রাজনীতি, প্রেম-ভালবাসা, ইত্যাদি বিষয়গুলিকে নিখুঁতভাবে তুলে ধরেছে ‘ইস্কাবন’। এই ছবির মূল প্রেক্ষাপট জঙ্গলমহল। সেই জঙ্গলমহলের ভিতরে থাকা মাওবাদী ও তাঁদের রাজনীতির গল্প বলেছে ‘ইস্কাবন’। সেখানকার স্থানীয় নেতা নরেনজী স্থানীয়দের নিয়ে কীভাবে একটি দল তৈরি করে ও পুলিশদের সঙ্গে লড়াই করে, সেই গল্পই তুলে ধরা হয়েছে ছবিতে। রাজনীতি ও লড়াইয়ে পাশাপাশি, এই ছবির সিংহভাগ জুড়ে রয়েছে প্রতিহিংসা ও প্রেমের গল্প। এক মাওবাদী গ্রাম, সেখানকার মানুষের জীবনযাত্রা ও গোলাপি-কর্নেল শিবের প্রেমই এই ছবির মূল কাহিনি।
‘ইস্কাবন’এর মুখ্য ভূমিকায় অভিনয় করছেন সৌরভ দাস, অনামিকা চক্রবর্তী ও নবাগত সঞ্জু। কেন্দ্রীয় চরিত্রে সঞ্জুর প্রথম ছবি এটিই। কর্নেল শিবের ভূমিকায় তাঁর অভিনয় চোখ টেনেছে। এ ছাড়াও ছবিতে রয়েছেন খরাজ মুখোপাধ্যায়, বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য, অরিন্দম গঙ্গোপাধ্যায়, পুষ্পিতা মুখোপাধ্যায়, দুলাল লাহিড়ী এবং সুমিত গঙ্গোপাধ্যায় প্রমুখ ব্যক্তিত্বরা।
এটি একটি স্পনসর্ড প্রতিবেদন। ‘ইস্কাবন’-টিমের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে প্রকাশিত।