দিনভর ব্যস্ততার পরে রাতে বিয়ের নিমন্ত্রণ। আদর্শ কর্পোরেট লেডির মতোই নিজের লুক পাল্টে ফেললেন ইশা অম্বানী। তাতেই আরও একবার সোশ্যাল মিডিয়ায় বাজিমাত মুকেশ-কন্যার।
বিয়ের আসরের জন্য ইশা বেছে নিয়েছিলেন ডিজাইনার সব্যসাচী মুখোপাধ্যায়ের সম্ভার থেকে একটি লেহঙ্গা। চলতি হাওয়ায় গা ভাসিয়ে ইশাও হেঁটেছেন কিছুটা মিসম্যাচের পথে।
পেস্তা-সবুজের চেয়েও ফিকে রঙের ছিল ইশার দোপাট্টা। পোশারের উপরের অংশের কাপড় ছিল মেটে লাল রঙের। এই দুই রং এসে মিলেমিশে গিয়েছিল তাঁর লেহঙ্গায়।
এই পোশাকে মনের মতো পরীক্ষা নিরীক্ষা করেছেন সব্যসাচী নিজেও। লেহঙ্গার নীচের অংশ অর্থাৎ স্কার্ট তিনি সাজিয়েছেন ফ্লোরাল অ্যাপ্লিক দিয়ে। দোপাট্টা জুড়ে আবার বিছিয়ে আছে চিকনকারি।
তবে সবথেকে বেশি নজর কেড়েছে এই পোশাকের উপরের অংশ। ভেলভেট কাপড়ের তৈরি ব্লাউজে সব্যসাচী দিয়েছেন বিছিয়ে থাকা পিটার প্যান কলার। চওড়া সেই কলার জুড়ে আবার সোনালি জরির ঘন কাজ।
মা নীতার মতো ইশার ড্রেসিং সেন্সও নিখুঁত। সব্যসাচীর এই লেহঙ্গার সঙ্গে তিনি পরেছিলেন মানানসই ভারী গয়না।
আনকাট হিরে-পান্নায় গাঁথা তাঁর চোকারে চোখ আটকে যাবেই। সেইসঙ্গে কানে ভারী ঝুমকো, সিঁথি জুড়ে টিকলি, আঙুলে বড় আংটি আর হাতে বালা। গয়নাও সব সব্যসাচীর সম্ভার থেকে পছন্দ করেছেন ইশা।
কয়েক দিন আগে জাপানের বিখ্যাত শিল্পী তাকাশি মুরাকামির সম্মানে একটি ভোজসভার আয়োজন করেছিলেন ইশা। সেই অনুষ্ঠানে ইশা বেছে নিয়েছিলেন হাল্কা কমলা রঙের জাম্পস্যুট।
সম্প্রতি ইশাকে দেখা গিয়েছে মার্কিন ডিজাইনার মোনিক লুলিয়ের-এর তৈরি মেটালিক ফ্লোরাল ড্রেসেও।
আটাশ বছর বয়সি ইশা নিজেও রিলায়্যান্স জিয়ো এবং রিলায়্যান্স রিটেলের একজন ডিরেক্টর। ২০১৮-র ডিসেম্বরে তিনি বিয়ে করেন শিল্পপতি আনন্দ পিরামলকে। বিয়ের পরেও ঘরে বাইরে নিজের ভূমিকা সপ্রতিভ ভাবেই পালন করছেন ইশা। (ছবি: আর্কাইভ,ইনস্টাগ্রাম, ফেসবুক)