রানিমা দিতিপ্রিয়া রায়
মঙ্গলবার সামাজিক পাতার একটি ঝলককে ঘিরে এমনই জল্পনা। ঝলক বলছে, গত সাড়ে ৩ বছর ধরে চলা ‘রানিমা’র যাত্রা শেষ। ঘটনা সত্যি? আনন্দবাজার ডিজিটালকে ধারাবাহিকের পরিচালক রাজেন্দ্র প্রসাদ দাস বললেন, ‘‘ধারাবাহিক শেষ হবে কিনা এখনও চ্যানেল কর্তৃপক্ষ জানায়নি। তবে রানিমার পর্ব শেষ হয়ে যাচ্ছে, এটা ঠিক।’’ কী বলছেন স্বয়ং ‘রানিমা’ ওরফে দিতিপ্রিয়া রায়? তিনিও পরিচালককের সুরেই সুর মিলিয়েছেন। প্রোমো শ্যুট করত গিয়ে মনখারাপ হয়ে গিয়েছে তাঁর, একথাও জানাতে ভোলেননি।
কী দেখা গিয়েছে ঝলকে? দক্ষিণেশ্বর মন্দিরের অধিষ্ঠাত্রী মা ভবতারিণী রানিমা-কে দর্শন দিয়ে জানিয়েছেন, তাঁর জীবন কাল এ বার শেষ হয়ে আসছে। তিনি অপেক্ষা করছেন রানিমার জন্য। উত্তরে রানিমা জানান, তিনি প্রস্তুত।
বাস্তবে মানসিক ভাবে কতটা প্রস্তুত ‘রানিমা’? দিতিপ্রিয়া অকপট, ‘‘সব কাজই এক সময় শেষ হয়ে যায়। সেই নিয়ম মেনে আমার অংশ-ও শেষ হয়ে যাচ্ছে। ‘রানিমা’-র উত্তর পর্ব থাকবে কিনা জানি না। তবে টানা ৩ বছরেরও বেশি সময় ধরে আমরা এক সঙ্গে থেকেছি। তাই গোটা ইউনিট ‘পরিবার’ হয়ে উঠেছিলাম। মনখারাপ স্বাভাবিক।’’ তিনি জানিয়েছেন মাধ্যমিক থেকে স্নাতকের প্রথম পর্বে পৌঁছনো, সব কিছুর সাক্ষী এই ধারাবাহিক। চরিত্র ফুরিয়ে যাওয়া মানে সেই চলা থেমে যাওয়া। ‘রাসমণি পর্ব’ শেষ হলে দিতিপ্রিয়া কি সাময়িক ছুটি নেবেন? ‘রানিমা’র মতে, ছোটপর্দা থেকে সাময়িক বিরতি নেওয়ার খুব ইচ্ছে তাঁর। বদলে বড়পর্দা এবং অন্যান্য কাজ করবেন।
মন ভাল নেই ‘রাণী রাসমণি’র পরিচালকেরও। একই সঙ্গে দাবি, সাড়ে ৩ বছর ধরে এ ভাবে জনপ্রিয়তা ধরে রাখা সহজ কথা নয়। সেটাও করে দেখিয়েছেন টিম ‘রাণী রাসমণি’। তার জন্য তিনি কৃতজ্ঞ সকলের কাছে। ‘রানিমা’র সব স্তরকে নিখুঁত ভাবে ফুটিয়ে তোলার সিংহ ভাগ কৃতিত্ব দিয়েছেন তিনি দিতিপ্রিয়াকে। রাজেন্দ্র প্রসাদের দাবি, প্রতিভা না থাকলে চরিত্রের সব স্তর নিখুঁত ভাবে ফুটিয়ে তোলা সম্ভব নয়। একই সঙ্গে তিনি অকপট, এই প্রথম তিনি কোনও পিরিয়ড ড্রামা পরিচালনা করলেন। রানিমাকে খুঁটিয়ে জানতে এই প্রথম তিনি ব্যক্তিগত তাগিদে এত পড়াশোনা করেছেন! লকডাউনের পরে আর ‘রাসমণি’র শ্যুটিং হবে না? পরিচালকের মতে, এ ব্যাপারে এখনও কিছুই জানেন না তিনি।
বেশির ভাগ ক্ষেত্রে রেটিং চার্টের খারাপ নম্বর ধারাবাহিক শেষ হওয়ার নেপথ্য কারণ। ‘রাণী রাসমণি’ সেখানেও ব্যতিক্রম। গত সপ্তাহেও পঞ্চম স্থানে ছিল জি বাংলার এই ধারাবাহিক।