দারিয়ুশ মেহরজুই। ছবি: সংগৃহীত।
প্রয়াত ইরানি চিত্রপরিচালক দারিয়ুশ মেহরজুই। ইরানের রাজধানী তেহরানের থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরে করজ নামক এক জায়গায় একটি ভিলায় থাকতেন মেহরজুই। ১৪ অক্টোবর সেখানেই খুন করা হয় ৮৩ বছর বয়সি পরিচালককে। শুধু তিনিই নন, দুষ্কৃতীদের হাতে খুন হন মেহরজুইয়ের স্ত্রী-ও। এখনও পর্যন্ত খুনির পরিচয় জানা যায়নি। ইতিমধ্যেই পুলিশে অভিযোগ জানিয়েছেন মেহরজুইয়ের মেয়ে। খুনের নেপথ্যে কে বা কারা রয়েছেন, সেই রহস্য উদ্ঘাটন করতে শুরু হয়েছে তদন্ত।
খবর, ছুরিকাহত হয়ে মৃত্যু হয়েছে মেহরজুই ও তাঁর স্ত্রীর। করজের আবাস থেকে উদ্ধার হয়েছে দম্পতির ক্ষতবিক্ষত দেহ। ইরানের সংবাদমাধ্যম মারফত খবর, মেহরজুই ও তাঁর স্ত্রীর গলায় ও ঘাড়ে ছুরির আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গিয়েছে। খবর, পরিচালকের মেয়ে মোনা মেহরজুই ১৪ অক্টোবর বাড়িতে এসে নিজের মা-বাবার মৃতদেহ দেখতে পান। তার পরেই পুলিশে খবর দেন তিনি। মোনার অভিযোগের ভিত্তিতে শুরু হয়েছে তদন্ত। ঠিক কোন আক্রোশ থেকে মেহরজুই ও তাঁর স্ত্রীকে খুন করা হল, তার উত্তর খুঁজছেন তদন্তকারীরা। খবর, গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই নাকি সমাজমাধ্যমের পাতায় হুমকি পাচ্ছিলেন মেহরজুইয়ের স্ত্রী। তা নিয়ে অভিযোগও জানিয়েছিলেন তিনি।
ইরানের সত্তরের দশকের অন্যতম উল্লেখযোগ্য পরিচালক মেহরজুই। ইরানের ছবিতে বাস্তববাদের অবতারণা করেছিলেন যাঁরা, তাঁদের মধ্যে মেহরজুই অন্যতম। তার জন্য বার বার বিপাকেও পড়তে হয়েছে তাঁকে। আশির দশকে ইরানে বিপ্লবে প্রত্যক্ষ ভাবে জড়িত ছিলেন মেহরজুই। দেশে নতুন সরকার গঠনের পরে শিল্প ও শিল্পীদের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ না করা হলেও পরের দিকে পরিস্থিতি বদলে যায়। আশির দশকের গোড়ার দিকে ইরান ছেড়ে প্যারিসে গিয়ে থাকতে শুরু করেছিলেন মেহরজুই। ফ্রান্সে ইরানি উদ্বাস্তুদের সঙ্গেও জীবনযাপন করেছেন তিনি। বানিয়েছিলেন তথ্যচিত্রও। কয়েক বছর পরে অবশ্য দেশে ফিরে আসেন মেহরজুই। তাঁর পরিচালিত ছবির মধ্যে অন্যতম উল্লেখযোগ্য ‘হামুন’। তা ছাড়াও মেহরজুইয়ের বানানো সেরা ছবির তালিকায় রয়েছে ‘লেইলা’, ‘দ্য কাউ’, ‘সনতুরি’-র মতো ছবিও।