ন্যাশনাল হাইওয়ে ৩৪। তার ডান দিক ঘেঁষে এয়ারপোর্টের রানওয়ে। কিছুক্ষণ পরপর প্লেন নামছে সেখানে।
হাইওয়ের পাশে সারি দিয়ে দাঁড় করানো ট্রাক। সারথিরা অবশ্য কেউই গাড়িতে নেই। সারা রাত ট্রাক চালিয়ে আসার পর সামনের ধাবাতে কিছুক্ষণ জিরিয়ে নিচ্ছেন। কয়েক ঘণ্টা পর আবার যাত্রা শুরু করবেন। ঠিক ওই সময় টিম ‘হাইওয়ে’ পৌঁছল সেখানে। বলা ভাল ইমতিয়াজ আলির ‘হাইওয়ে’র সঙ্গে এ ছবির কোনও মিল নেই। অগস্ট মাসে টলিউডে মুক্তি পাচ্ছে একই নামের বাংলা ছবি। মুখ্য ভূমিকায় আছেন কোয়েল মল্লিক আর পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়। পরিচালনায় সুদীপ্ত চট্টোপাধ্যায়। যিনি এর আগে বিপাশা বসুকে নিয়ে তৈরি করেছিলেন ‘পঙ্খ’ আর রবিনা টন্ডন থাডানিকে নিয়ে ‘শোভনাস সেভন নাইটস’।
কোয়েল-পরমব্রত অভিনীত ‘হাইওয়ে’ এক দম্পতিকে নিয়ে, যারা চলেছে এক রাস্তা ধরে। তবে সম্পর্কের হাইওয়েতে ‘চলো লেটস গো’ বললেও ব্রেক টেনে মাঝে মাঝে নিজেদের দিকে কিছু প্রশ্ন ছুড়ে দিতে হয়। সমাজের সামনে এই বেশ ভাল আছি বলার মধ্যেও কি একটা একঘেয়েমি ঢাকার চেষ্টা থেকে যায় না?
এই নিয়েই সুরিন্দর ফিল্মসের ছবি। কথা ছিল সম্পর্কের টানাপড়েন, দাম্পত্য নিয়ে হবে আড্ডা। হাইওয়ের ধারে কোনও এক ধাবাতে।
এমনিতে হাইওয়ে ফাঁকাই থাকে। কিন্তু গাড়ি থেকে কোয়েল নামতেই হাজির গোটা পঞ্চাশ ফ্যান। প্রায় প্রত্যেকের হাতেই মোবাইল। সবাই ক্যামেরাবন্দি করতে চান কোয়েল-পরমব্রতকে। বাধা দিলেই রেগে গিয়ে বলেন এ আবার কেমন নিয়ম!
ফোটোশ্যুটেই এই, ধাবাতে নিয়ে গিয়ে চারপাইতে বসে লস্যি খেতে খেতে আড্ডা দিতে গেলে তো বিড়ম্বনার শেষ থাকবে না। দু’জন বাউন্সারের পক্ষেও এমন উত্সাহী ফ্যানেদের নিয়ন্ত্রণ করা চাট্টিখানি কথা নয়। অগত্যা ফোটোশ্যুটের পর যাওয়া হল সেক্টর ফাইভের এক কফিশপে। কোয়েল চুমুক দিলেন ব্ল্যাক কফিতে। পরমব্রত চেখে দেখলেন পাস্তা। কোথায় খাটিয়ায় বসে সর্ষো দা শাগ আর মক্কি দি রুটি খেতে খেতে আড্ডা? আর কোথায় লাল সোফায় বসে পাস্তা? তবে মেনু আর ভেন্যু পাল্টে গেলেও আড্ডার মশলার কোনও অভাব পড়েনি।
এর আগে আপনাদের একসঙ্গে দেখা গিয়েছিল ‘হেমলক সোসাইটি’তে। দু’টো ভিন্ন ঘরানার ছবি থেকে এসেছিলেন আপনারা। প্রথম বার শ্যুটিং করতে গিয়ে নতুন কিছু দেখেছিলেন?
কোয়েল: পরমকে আমি সব সময় একজন সেরিব্রাল অভিনেতা হিসেবেই দেখি। ‘হেমলক সোসাইটি’ শ্যুট করতে গিয়ে একদিন দেখি পরম আর সৃজিত (মুখোপাধ্যায়) দু’জনে মিলে ‘১০০% লভ’ গানটার সঙ্গে নাচছে!
পরমব্রত: আরে সৃজিত আর আমার ওই গানের স্টেপগুলো দারুণ লাগে। (পারলে তখনই একটু নেচে দেখান)
‘হাইওয়ে’তেও কি এ রকম কাণ্ড করেছেন না কি?
পরমব্রত: (হাসি) না, না, করিনি।
কোয়েল: একটা সিকোয়েন্স শ্যুট করতে গিয়ে পরমকে দেখেছিলাম লুঙ্গি ডান্স করতে! দেখে ভেবেছিলাম, হচ্ছেটা কী? কোনও হিসেবই মিলছিল না।
‘হেমলক...’-এর পর অনেক কিছু পাল্টেছে। পরমব্রত পরিচালনা করেছেন। অভিনয় করেছেন ‘প্রলয়’য়ের মতো মূলধারার সিনেমাতে। কোয়েল বিয়ে করেছেন। এ বার শ্যুটিং করতে গিয়ে নিজেদের কতটা আলাদা লেগেছে?
কোয়েল: পরম ইজ ভেরি সুইফ্ট অ্যান্ড ফাস্ট। ‘হেমলক...’ করার আগে হাই/ হ্যালো সম্পর্ক ছিল। ছবিটা করতে গিয়ে একটা কমফর্ট জোন তৈরি হয়েছে। ওর পরিচালিত ‘হাওয়া বদল’ দেখেছি। বেশ ক্রিস্পি একটা ফিল্ম। ‘হাইওয়ে’ ট্রেলার দেখে অনেকে আমাদের কেমিস্ট্রি নিয়ে কথা বলছে।
পরমব্রত: ‘হেমলক...’ করার আগে কোয়েলকে আমি সোশ্যালি চিনতাম। ওর সেন্স অব কার্টসি আমার বরাবরই ভাল লাগত। দারুণ পেশাদার। একসঙ্গে অভিনয় করতে গিয়ে বুঝলাম যে, শি হ্যাজ আ স্টেবল হেড অন হার শোল্ডার। কোয়েল বুদ্ধিমতী। র্যাশনাল। টাফ। আর্টিকুলেট। আশেপাশে আমরা অনেক সময় ‘ওয়ানাবিনেস’ দেখতে পাই। সেটা কোয়েলের মধ্যে নেই। প্যারালাল সিনেমার অনেক অভিনেত্রীর থেকে কোয়েলের ফিল্ম বিষয়টা সম্পর্কে বেশি ভাল ধারণা আছে।
পরমব্রত, আপনার এই কমেন্টটা পড়ে ছিদ্রান্বেষীরা কিন্তু বলতেই পারেন যে, আপনি কোয়েলের সঙ্গে ছবি করছেন বলে এটা বলছেন...
পরমব্রত: জানি। বলবে ‘হাইওয়ে’ প্রোমোট করার জন্য বলছি। কিন্তু ওর সঙ্গে ছবি না-করলেও এটাই বলতাম। ও বেসিক জায়গা থেকে কথা বলে। কোনও ‘শিউডো জোন’ থেকে নয়। কোন সেকশনের দর্শকের জন্য কী ধরনের ছবি তৈরি হয় তা সম্পর্কে ওর একদম পরিষ্কার ধারণা রয়েছে।
পারসেপশন প্রবলেমের বিড়ম্বনাটা তো পরমব্রত আপনারও আছে...
পরমব্রত: নিশ্চয়ই। আমি যে ‘১০০% লভ’য়ের সঙ্গে নাচতে পারি, এটা শুনে অনেকে চমকে যাবেন। এই ধরুন আমি যে ধরনের সিনেমার সঙ্গে জড়িত তার দর্শকের কোয়েল সম্পর্কে একটা পারসেপশন আছে। তাঁদের ধারণা কোয়েল তো সেলিব্রিটি বাবা-র মেয়ে। ও তো সিনেমা করবেই। তাঁদের কাছে হয়তো বাংলা কমার্শিয়াল সিনেমা সব সময় অ্যাকসেপ্টেবল নয়। কমার্শিয়াল সিনেমার হিরোইন সম্পর্কে সেট আইডিয়া থাকে তাঁদের মনে। স্টার মানে সুন্দরী হবে। ‘অরা’ থাকবে...
কোয়েল: প্রি-কনসিভ্ড একটা ধারণা থেকেই যায়। যেটা নিতে অসুবিধা হয়।
পরমব্রত: সেই দর্শক যখন কোয়েলকে অন্য ধরনের ছবিতে দেখছেন তখন তাঁদের ওকে ভাল লাগে।
কোয়েল: এই ডিমার্কেশনটা চলে যাওয়ার সময় এসেছে। করিনা কপূর তো তারকা হয়েও একটা ‘ওমকারা’ করেছে। দীপিকা পাড়ুকোন তো ‘চেন্নাই এক্সপ্রেস’য়ের পরে ‘ফাইন্ডিং ফ্যানি’ করছে। মূলধারার ছবি করার পরেও প্রিয়ঙ্কা চোপড়া ‘মেরি কম’ করছে।
বলিউডে এই পারাপারটা শুরু হয়ে গিয়েছে। তারকারা মিডল পাথ সিনেমা করেন। উল্টোটাও হয়...
কোয়েল: এখানেও সেটা আরও বেশি হওয়া উচিত। সেটা সম্ভব যদি প্রযোজক আর পরিচালকেরা সেই ধরনের কাস্টিং করেন। দর্শকের রায়টাও খুব গুরুত্বপূর্ণ। ‘ফাইন্ডিং ফ্যানি’ বা ‘মেরি কম’ যদি ভাল করে তা হলে দীপিকা আর প্রিয়ঙ্কা আরও পারাপার করতে ভরসা পাবে।
পরমব্রত: টলিউডেও পারাপারটা হচ্ছে। সেটা দর্শকের রিঅ্যাকশন দেখে বুঝি। সে দিন মফস্সলে শ্যুটিং করতে গিয়ে একটা মেয়ে এসে আমাকে বলল, ‘ইউ ওয়ার লুকিং গর্জাস ইন দ্য ফিল্ম!’ আমি ভাবিনি, ওখানে গিয়ে একটা মেয়ের কাছ থেকে ওই কমপ্লিমেন্টটা পাব। তার মানে ওখানকার দর্শকের কাছে আমার অন্য ধরনের ছবি পৌছচ্ছে।
কোয়েল, তারকাদের মিডল পাথ সিনেমা করার রিস্ক কি প্যারালাল সিনেমার অভিনেতাদের মূলধারার ছবি করার থেকে বেশি?
কোয়েল: প্যারালাল থেকে মিডপাথে এলে ব্যাগেজ কম থাকে। কমার্শিয়াল সিনেমার অভিনেত্রী হলেই সেট ধারণা থেকে যায়। ভেঙে বেরোনোটা অনেক বেশি ডিফিকাল্ট। এটাও বলব সব্বাই নিজের মতো করে এন্টারটেনড্ করার চেষ্টা করে। কমার্শিয়াল ছবিতে তো আমরা একটা মেক-বিলিফ জগত্ তৈরি করি। আর অন্য ঘরানাটা অ্যাবসোলিউট স্টার্ক রিয়্যালিটি। নিজের কমফর্ট জোন থেকে বেরিয়ে অন্যটায় যাওয়াটা সহজ নয়। জনপ্রিয়তার একটা কিক রয়েছে। আবার মিডল পাথ ছবিতে অভিনয় করে প্রশংসা পাওয়াটাও আনন্দের।
কোয়েল, ‘হাইওয়ে’ করাটা কি পরমব্রতর ‘প্রলয়’ করা থেকে কঠিন?
কোয়েল: কঠিন বা ডিফিকাল্ট সেটা মাথায় আসে না। ‘১০০% লভ’য়ের সঙ্গে যখন পরম নাচছিল তখন কিন্তু আমি ওটা নিয়ে মাথা ঘামাইনি। আমি তখন ব্যস্ত ছিলাম একটা সুইসাইড প্রোন মেয়ের চরিত্র করতে। একদম ডিফারেন্ট জোন। দুটোকে আমি গুলিয়ে ফেলি না।
‘হাইওয়ে’তে আপনাদের চরিত্র দুটোর মধ্যে সমস্যাটা কোথায়?
কোয়েল: এই ছবিতে আমি একজন প্রবাসী বাঙালি। বয়সের তুলনায় বেশি ম্যাচিওর। আর পরমের চরিত্রটা একদম আলাদা। প্যাম্পারড। ইমপালসিভ।
পরমব্রত: কিছু দিন প্রেমের পর আমাদের বিয়ে হয়। তিন-চার বছর বিয়ের পরেই স্ট্যাগনেন্সি। এ রকম অনেক ক্ষেত্রেই হয় যে মানুষ বিয়ে কিংবা সম্পর্কের কিছু বছর পর আর বুঝতে পারে না যে সত্যি কোনও সমস্যা আছে কি না।
কারণ সব্বাই তো বলে থাকেন এই বেশ ভাল আছি...
পরমব্রত: হ্যাঁ। এই দুই চরিত্রের রিলেশনশিপের শক্তিটার পরীক্ষা হয় জীবনের হাইওয়েতে দাঁড়িয়ে।
অনেক সময় বলা হয় যে সম্পর্কে একঘেয়েমি আসতে বাধ্য। এবং তাই একজন পার্টনার আর একজনকে আউটগ্রো করে যান। এটা কি সত্যি?
পরমব্রত: আমার মনে হয় মানুষ সহজাত ভাবে বহুগামী।
কোয়েল: আমি তা মনে করি না।
দ্বিমত থাকতেই পারে...
পরমব্রত: আমি বিশ্বাস করি বোরডম আসতে পারে।
কোয়েল: প্রেম থাকলে বোরডম আসে না। যদি একজনের ক্লান্তিকর লাগে তা হলে তো অন্য জনও তাই বলতে পারে। তা হলে কি মানুষ লাফিয়ে লাফিয়ে একটার পর একটা সম্পর্কে ঝাঁপাবে?
পরমব্রত: একঘেয়েমি আসতে পারে। কিন্তু যেহেতু আমরা সমাজে একটা ভাবে থাকি তাই সব কিছু প্রকাশ করতে পারি না। তখন উচিত নিজেদের স্মৃতির ঝাঁপির শরণাপন্ন হওয়া। দু’জনের ভাল মুহূর্তগুলোর কথা ভাবা। দেন ইউ ক্যান পুল ইওরসেল্ফ ব্যাক।
পরমব্রত, আপনার জীবনে তো অনেক সম্পর্ক এসেছে। হয়তো একঘেয়েমিও এসেছে। তখন কী করেছেন?
পরমব্রত: নর্মালি স্মৃতির ঝাঁপি খুলে বসি।
নর্মালি শব্দটা খুব গুরুত্বপূর্ণ আপনার উত্তরে...
পরমব্রত: (হাসি)
আজকাল বিবাহ বিচ্ছেদের হার দেখে কি মনে হয় সম্পর্কগুলো সব এক্সপায়ারি ডেট নিয়েই তৈরি হচ্ছে?
পরমব্রত: আমরা একটা ট্র্যানজিশন ফেজে আছি। এক দিকে আমাদের সংস্কৃতি। অন্য দিকে রয়েছে ইউরোপীয় চিন্তাধারার সঙ্গে অভ্যস্ততা। আমাদের সমাজে এখন আর বিয়ে ভেঙে যাওয়া নিয়ে সে রকম ট্যাবু নেই।
কোয়েল: ‘হাইওয়ে’তে এক দম্পতি রয়েছেন যাঁরা, তাঁদের পঞ্চাশতম বিবাহবার্ষিকী পালন করছেন। আমি এই ধরনের সম্পর্কে আজও বিশ্বাস করি। কারণ আমি এটাই দেখে এসেছি। যাঁরা সম্পর্কে ইতি টেনে দিচ্ছেন তাঁদের ব্যাপারটাও বুঝি। হতেই পারে তাঁদের তেমন নিজস্ব কারণ ছিল আলাদা হওয়ার জন্য।
ইমতিয়াজ আলি তাঁর বিবাহ বিচ্ছেদের পরে একটা সাক্ষাত্কারে বলেছেন যে বিয়ে তাঁকে খুব মিডিওকার করে দিয়েছিল। কোয়েল, আপনি তো বিবাহিত। এই মন্তব্যের সঙ্গে কি আপনি একমত?
কোয়েল: একদমই বিশ্বাস করি না। এমনটা হলে তো অর্ধেকের বেশি পৃথিবীর মানুষ মধ্যমেধার হয়ে গিয়েছে। তার মধ্যে ইমতিয়াজের পরিবারের অন্যান্য সদস্যরাও তা হলে আছেন।
ইমতিয়াজের বক্তব্য ছিল, বিয়ে করে না কি এত হ্যাঁ-না ইত্যাদির মধ্যে মানুষকে জড়িয়ে পড়তে হয় যে শেষ পর্যন্ত গুমোট লাগে...
কোয়েল: প্রেম থাকলে দু’জন একসঙ্গে বুড়ো হতেও ভাল লাগে। সেখানে গুমোট লাগার কোনও প্রশ্নই নেই।
পরমব্রত, আপনি লিভ-ইন সম্পর্কে আছেন। বিয়েতে বিশ্বাস করেন?
পরমব্রত: হ্যাঁ করি, তিন-চার বছর পরে বিয়ে করব ভেবেছি।
বিয়ে আপনাকে আর কী দিতে পারে যা লিভ-ইন সম্পর্ক দিতে পারে না?
পরমব্রত: সন্তান।
তার জন্য তো এখন আর বিয়ের প্রয়োজন নেই...
পরমব্রত: তা ঠিক। তবে আমি তো এই সমাজে বাস করি। সেখানে আমি চাইব না আমার সন্তানকে অনেক রকম প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হোক। আমরা তো ব্র্যাড পিট-অ্যাঞ্জেলিনা জোলি নই!
সম্পর্কে একঘেয়েমি কাটাতে
পরমব্রত
একঘেয়েমি আসতেই পারে। তবে সেগুলো কাটানোর টোটকা রয়েছে আমার কাছে
•একসঙ্গে বেড়াতে যাওয়া
• ফ্লার্ট করা কমাবেন না। কাকে ফ্লার্ট করছেন, সেটা নিজের সঙ্গীকেও বলবেন
• শুধু শয্যাসঙ্গী হিসেবে নয়, ভাল বন্ধু হতে হবে
• সঙ্গীর সামনে যে কোনও পরিস্থিতিতেই নিজের মতো করে থাকতে সঙ্কোচ করবেন না
• একসঙ্গে হল্লোড় করুন
কোয়েল
প্রেম থাকলে সম্পর্কে একঘেয়েমি আসতে পারে না। সেই প্রেম বাঁচিয়ে রাখার টিপস
• একসঙ্গে বেড়াতে যান
• সিনেমা দেখুন একসঙ্গে
• শুধুমাত্র নিজেদের নিয়ে আনন্দ নয়, বন্ধুরা একসঙ্গে মিলে আড্ডা দিন
• এমন কিছু করুন যাতে দু’জনে মিলে হাসতে পারেন
• মনে রাখবেন আপনি যা, সেটাই সঙ্গীকে দেখান
ছবি: সুব্রত কুমার মণ্ডল।