An exclusive interview with Ridhi Sen : Actor of movie ' Children of War'

১৬ আনা

বয়স ষোলো। কিন্তু কৌশিক সেন-পুত্র ঋদ্ধি সেন ইতিমধ্যে করে ফেলেছেন তিনটে অ্যাডাল্ট বিষয় নিয়ে ছবি। মুখোমুখি প্রিয়াঙ্কা দাশগুপ্ত।বয়স ষোলো। কিন্তু কৌশিক সেন-পুত্র ঋদ্ধি সেন ইতিমধ্যে করে ফেলেছেন তিনটে অ্যাডাল্ট বিষয় নিয়ে ছবি। মুখোমুখি প্রিয়াঙ্কা দাশগুপ্ত।

Advertisement
শেষ আপডেট: ২৩ মে ২০১৪ ০০:০১
Share:

‘চিলড্রেন অব ওয়ার’য়ে রুচা ইমনদারের সঙ্গে ঋদ্ধি সেন

‘কহানি’র পল্টু কি হঠাৎ বড় হয়ে গেল নাকি? কোথায় সেই চা-ওয়ালা আর কোথায় ‘চিলড্রেন অব ওয়ার’য়ের রফিক, ‘চৌরঙ্গা’র বজরঙ্গি আর ‘পার্চড’য়ের গুলাব...

Advertisement

(হাসি) ইদানীং যে ক’টা ছবি করেছি, প্রত্যেকটার বিষয় বেশ অ্যাডাল্ট। বাংলাদেশ জেনোসাইড নিয়ে মৃত্যুঞ্জয় দেওরত-এর ‘চিলড্রেন অব ওয়ার’ করলাম। ১৯৭১-এর বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের পটভূমিতে তৈরি ছবি। চার লক্ষেরও বেশি মেয়ে ধর্ষিত হয়েছিলেন তখন। জন্ম হয়েছিল হাজার হাজার ‘চিলড্রেন অব ওয়ার’য়ের।

Advertisement

ছবিটার অ্যাডাল্ট রেটিং। সেখানে ধর্ষণের দৃশ্য। নালা দিয়ে বইছে রক্ত। নাবালক বলে ছবিটা হলে গিয়ে দেখতে পারোনি নিশ্চয়ই...

পোস্টারে নাম দেখে আমাকে ঢুকতে দিয়েছিল। ছবিটা দেখে ভেবেছি কী মর্মান্তিক অত্যাচার হয়েছে সে সময়! গ্রামের পর গ্রামে সারি দিয়ে মৃতদেহের স্তূপ। আর এমনই এক গ্রামের ছেলে রফিকের চরিত্রে আমি। কবর দিয়ে বেড়াচ্ছি সবাইকে। জীবনের একটাই উদ্দেশ্য। দিদিকে বর্ডার পার করে ইন্ডিয়াতে পৌঁছে দেওয়া। এ ছবি দেখলেও, ‘চৌরঙ্গা’র সময় আমাকে হলে অ্যালাও করবে কি না আমি জানি না। তবে আমি ছাড়ব না। রিয়েলিটি নিয়ে ছবি করলে কেন তা টিনএজারদের দেখতে দেওয়া হবে না? আমাদের দেশের সেন্সর বোর্ডটা অদ্ভুত। ইন্টারনেটে তো টিনএজাররা পর্ন ফিল্ম দেখতে পারবে। কিন্তু তিলোত্তমা সোম অভিনীত ‘চিলড্রেন অব ওয়ার’য়ের ধর্ষণের দৃশ্যটা দেখতে পারবে না!

শুনেছি ‘পার্চড’ ছবিটা শুরু হচ্ছে তোমার বিয়ের দৃশ্য দিয়ে...

হ্যাঁ। ‘টাইটানিক’য়ের চিত্রগ্রাহক রাসেল কার্পেন্টার সে দৃশ্য শ্যুট করেছেন। ছবিতে আমি ১৭ বছর বয়সের এক ‘বেবি হাজব্যান্ড’। আর আমার একটা ‘বেবি’ বৌ আছে। এত দিনে ছ’টা ছবি করেছি। তার মধ্যে সব থেকে জটিল এই চরিত্রটাই। ‘চৌরঙ্গা’ আর ‘পার্চড’য়ে ‘রিপ্রেসড সেক্সুয়ালিটি’ নিয়ে কাজ করেছি। যৌনতা নিয়ে এ ভাবে ভারতীয় ছবিতে ফ্র্যাঙ্কলি ডিল করা হচ্ছে দেখে ভাল লাগছে।

১৬তে এই সব বিষয় নিয়ে কাজ করতে অসুবিধে হয় না?

না। আমি লুকোছাপাতে বিশ্বাস করি না। ম্যাচিওরিটি বয়স দিয়ে আসে না। ক্লাস ফোর-এ পড়তে বাবা-মা’র সঙ্গে ‘শিন্ডলার্স লিস্ট’ দেখেছিলাম। ক্লাস ফাইভে পড়তে দেখেছি ‘পারজানিয়া’। মিনিংফুল সিনেমাতে যদি অ্যাডাল্ট কনটেন্ট থাকে, তা দেখতে আমাকে বাধা দেওয়া হয় না। মাইন্ডলেস সিনেমাতে আমার আগ্রহ নেই।

তোমার সহপাঠীরা তো ওই বয়সে এ সব সিনেমা দেখেনি...

না। সমবয়সিদের থেকে বয়সে বড়দের সঙ্গেই বন্ধুত্ব বেশি। আসলে আমি খুব অ্যান্টিসোশ্যাল। ঠিক বাবার মতো।

মানে? আনসোশ্যাল বলছ তো...

(হাসি) হ্যাঁ, এতটাই আনসোশ্যাল যে সেটাকে অ্যান্টিসোশ্যালও বলা যায়। খুব কাছের মানুষ না হলে আমি ওপেন আপ করি না। সিনেমা দেখি, ছবি তুলি, বই পড়ি। ভায়োলিন বাজাতাম, থিয়েটারও করেছি।

আর স্কুল?

আমি প্রাইভেটে পড়াশোনা করছি। ক্লাস ইলেভন। বাবা-মাকে অনেক ধন্যবাদ যে তাঁরা আমাকে এ ভাবে পড়াশোনা করতে বাধা দেননি। স্কুলে যাওয়াটা কোনও দিনই ভাল লাগত না। এখন পড়াশোনাটাও হচ্ছে, আবার অন্য কিছু করারও প্রচুর সময় থাকে।

তোমার সঙ্গে কথা বললে মনে হয় সকালে ক্রিস্টোফার নোলান, দুপুরে কিজলোস্কি আর সন্ধেবেলা কুরোসাওয়া দেখো। নাচগানওয়ালা ছবিতে কি ইন্টারেস্ট আছে?

আছে। যে ভাবে স্করসেসে দেখতে পছন্দ করি, ঠিক সে ভাবেই ভাল লাগে ‘ওয়েক আপ সিড’, ‘ভিকি ডোনর’ দেখতে। মাধুরী দীক্ষিতকে আমার খুব পছন্দ। সুযোগ পেলে আলিয়া ভট্টর সঙ্গেও কাজ করতে চাইব। ‘স্টুডেন্ট অব দ্য ইয়ার’ দেখে ভাবিনি যে ও ‘হাইওয়ে’র মতো ছবি করবে।

এই যে একটা সিরিয়াস ইমেজ তৈরি হবে-হবে করছে, তাতে তোমার কাছে তো অন্য ধরনের ছবির অফার আসার পথটা বন্ধ হয়ে যেতে পারে?

আমি মনে করি না যে ‘চিলড্রেন অব ওয়ার’ করার থেকে ‘দবাং’ করাটা বেশি শক্ত। তা ছাড়া আমি ‘চিরদিনই তুমি যে আমার ২’ করেছি। সামনে মুক্তি পাবে ‘ওপেন টি বায়োস্কোপ’। ওটা টিন-এজ লভ স্টোরি। ফিল গুড সিনেমা।

ফিল্মে নাচগান থাকলে করতে পারবে?

না, ওটা পারব না। তবে বাড়িতে কাঞ্চুয়া (অভিনেতা কাঞ্চন মল্লিক) এসে পার্টি করলে ওর সঙ্গে ‘তু নে মারি এন্ট্রি’ শুনে নাচতে পারি।

গৌরব চক্রবর্তী, অর্জুন চক্রবর্তী তো সম্পর্কে তোমার মামাতো দাদা হয়। ওদের সঙ্গে তুমি কতটা ফ্র্যাঙ্ক?

গৌরবদাকে একটু ভয়ই পাই। তবে অর্জুনদা থাকা মানে ২৪ ঘণ্টার এন্টারটেনমেন্ট।

গৌরবকে কোনও দিন ঋধিমাকে নিয়ে খেপিয়েছ?

অত সাহসই নেই!

আর অর্জুনের গার্লফ্রেন্ড?

‘চিরদিন...’-এর প্রিমিয়ারে অর্জুনদা ওর গার্লফ্রেন্ডের সঙ্গে আলাপ করিয়ে দিয়েছিল। কিন্তু আমি একটু স্টুপিড টাইপের। জিজ্ঞেসই করতে পারিনি অর্জুনদার গার্লফ্রেন্ড কী করে।

তোমার গার্লফ্রেন্ড আছে?

ক্লাস সিক্স-য়ে পড়ার সময় এক ক্লাসমেটকে ভাল লেগেছিল। প্রথমে গিয়ে মা’কে বলি। সেখান থেকে কথাটা বাবার কানে পৌঁছয়।

তার পর? বাবা না মা, কার কাছে টিপস নিলে প্রোপোজ করার জন্য?

কিছু বলার আগেই দেখলাম ওর একটা বয়ফ্রেন্ড হয়ে গেল! গার্লফ্রেন্ডের জন্য আমার এখন একটাই ক্রাইটেরিয়া। কোনও সাইজ জিরো চাই না। শুধু ভাল রান্না করতে জানতে হবে।

তুমি কি মামা’জ বয় নাকি?

বিগ টাইম। মার কাছে শিখেছি যে স্টেপ আউট করে ক্রিজ থেকে বেরিয়ে খেললে ছক্কা মারা যায়। বাবা আমার বেস্ট ফ্রেন্ড। বাবার সব কাজ আমার ভাল লাগে। প্রথম বার সিনেমায় চুমু খাওয়ার পর বাবাকে কী ভাবে তা জানাব, সেটা নিয়ে টেনশনে পড়ে গিয়েছিলাম। এখন কুল।

কৌশিক সেন-য়ের ছেলে হওয়ার অসুবিধেটা কোথায়?

এখনও অসুবিধে ফেস করিনি। বাবার নাম ভাঙিয়ে আমি কাজ চাই না।

‘পার্চড’, ‘চৌরঙ্গা’, ‘চিল্ড্রেন অব ওয়ার’ কোনটা বিদ্যা বালনকে ‘কহানি’র পল্টু দেখাতে চাইবে?

‘চিলড্রেন অব ওয়ার’। এই সিনেমাটাই আমার মনে সব চেয়ে বেশি দাগ কেটে গিয়েছে।

ও চাঁদ সামলে রেখো জোছনাকে: ‘আমি শুধু চেয়েছি তোমায়’য়ের প্রিমিয়ারে শুভশ্রী ছবি: কৌশিক সরকার।


সাঁঝবাতির রূপকথা: তনুশ্রী। এক ফোটোশ্যুটে
। ছবি: কৌশিক সরকার।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement