sonamoni saha

মোহরের মতো সব মেয়েরই নিজের অধিকারের জন্য লড়া উচিত, চান সোনামণি

পড়াশোনা করতে চাওয়া মেয়েদের কাছে মোহর কতটা ইনস্পিরেশন? সোনামণি খুশি, “প্রত্যেকেই মোহরের মতো হতে চাইছে। দর্শক বলছে, মোহর ভীষণ ভাল করেছে। সব মেয়েরই পড়াশোনা করা উচিত। নিজের অধিকারের জন্য মোহর লড়ছে। দর্শক সেটা পছন্দ করছে।”

Advertisement

মৌসুমী বিলকিস

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৭ ডিসেম্বর ২০১৯ ১৭:১৫
Share:

সোনামণি সাহা

মোহর পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়ার জন্য বিয়ের আসর থেকে পালিয়েছে।কলকাতার কলেজে ভর্তি হতে চায় সে। কিন্তু ভর্তি হতে লাগবে একুশ হাজার টাকা। এত টাকা নেই মোহরের কাছে। দিদি নিজের গয়না খুলে দেয় মোহরকে। গয়না বিক্রি করে কলেজে ভর্তির টাকা যোগাড় করতে বলে। গয়না বিক্রি করতে যায় মোহর। কিন্তু গয়নার দোকানের লোক, বাড়ির লোক সবাই ভাবে মোহর চোর। চুরির অপবাদ থেকে বেরিয়ে আসা ও কলেজে ভর্তি হওয়াই তার সামনে বড় চ্যালেঞ্জ এখন।

Advertisement

নিজের জীবনে পড়াশোনার জায়গায় এরকম কিছু ঘটেছে?

গল্পের ‘মোহর’সোনামণি সাহা হাসলেন, “না তো!”

Advertisement

চেনা কারোর জীবনে? সোনামণি মনে করলেন অতীত, “আমার এক মেয়ে বন্ধুর আর্থিক অবস্থা খুবই খারাপ ছিল। সবাই মালদহ কলেজে ভর্তি হব। কিন্তু ওই বন্ধুর ভর্তির টাকাপয়সা নেই। আমরা সবাই মিলে টাকা তুলি। বন্ধু কলেজে ভর্তি হয়,ওই টাকা দিয়ে বইপত্র কেনে। এখন ও পড়াশোনা করছে, চাকরির চেষ্টা করছে।”

পড়াশোনা করতে চাওয়া মেয়েদের কাছে মোহর কতটা ইনস্পিরেশন? সোনামণি খুশি, “প্রত্যেকেই মোহরের মতো হতে চাইছে। দর্শক বলছে, মোহর ভীষণ ভাল করেছে। সব মেয়েরই পড়াশোনা করা উচিত। নিজের অধিকারের জন্য মোহর লড়ছে। দর্শক সেটা পছন্দ করছে।”

আরও পড়ুন-মারধর করতেন, বন্ধুদের সঙ্গে ‘বিশেষ ভাবে’ মিশতে জোর করতেন সুপারহিট এই বলি নায়িকার স্বামী!

আরও পড়ুন- প্রেমিকা মালাইকাকে সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রোল করলেন অর্জুন!

‘দেবী চৌধুরানী’ তাঁর প্রথম কাজ। ‘দেবী চৌধুরানী’ ও ‘মোহর’, দুই চরিত্র একেবারেই আলাদা। সোনামণি মিল খুঁজলেন, “আলাদা হলেও একটা মিল পাই, দেবী চৌধুরানীর মতোই মোহরও প্রতিবাদী।”

ইন্ডাস্ট্রিতে এসেই আপনি পরপর কাজ করছেন। ফ্যানরা কী বলছেন? তিনি বললেন, “সবাই বলছে, একটা কাজ শুরু হলে শেষ হবেই। খুব কম সময়ে দু’রকম চরিত্রে আমাকে দেখে ভাল লাগছে বলছে।”

কতদিন বিয়ে করেছেন? সোনামণি জানালেন, “এই ডিসেম্বরে থার্ড ইয়ার হল।”

সিরিয়ালের একটি দৃশ্য

সংসার আর কাজ সামলাতে সমস্যা হয় না? তিনি ইতিবাচক, “আমার বাবার বাড়ি তো অবশ্যই, বিশেষ করে শ্বশুরবাড়ির মানুষ এবং আমার বরের সাপোর্ট ছাড়া কাজ করতে পারতাম না।”

সোনামণি জানান, তাঁর স্বামী সুব্রত রায়, কোরিওগ্রাফার।

‘মোহর’ নিয়ে উনি কিছু বলেন? তাঁর উত্তর: “কোন জায়গাটা কেমন করলে আরও ভাল হতে পারত সেটা বলে।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement