বরুণ ধওয়ন।
ইন্ডাস্ট্রিতে ‘ইয়ং ব্লাড’ বলতে যাঁরা, তাঁদের মধ্যে সবচেয়ে পোক্ত নোঙর বরুণ ধওয়নের। সামনেই মুক্তি পাচ্ছে ‘কলঙ্ক’। যে ছবিতে ফের তিনি এবং আলিয়া ভট্ট একসঙ্গে। দু’জনের অনস্ক্রিন রোম্যান্স নিয়ে প্রভূত চর্চা দর্শকমহলে। কিন্তু বরুণের অফস্ক্রিন রোম্যান্স, অর্থাৎ নাতাশা দালালের সঙ্গে তাঁর সম্পর্কটাও পরিণতির দিকে এগোচ্ছে বলেই চারপাশে খবর। বিয়ে নিয়ে কী বলবেন? ‘‘ধুর, একেবারে মিথ্যে। এখন সময়ই নেই বিয়ে করার। প্রচুর কাজ হাতে। নাতাশারও তাড়া নেই। যাঁরা আমাদের বিয়ে নিয়ে খবর করেন, তাঁরা পাঠকের কথা ভেবেই করেন। আসলে বিয়ে ব্যাপারটা সবাই খুব ভালবাসে। এত সেলিব্রেশন আর আনন্দ! তবে এখন বিয়ের মানেটা পাল্টে গিয়েছে। বিয়ের পরেও ছেলে বা মেয়ের জীবনে তেমন পরিবর্তন না-ও আসতে পারে। আমি বিয়ে করতে চাই। কিন্তু সময় লাগবে।’’
তা হলে নাতাশা কি প্রেমিকা হিসেবে আপনার জীবনে কোনও পরিবর্তনই আনেননি? বরুণের উত্তর, ‘‘আমার সাফল্যে ওর অনেকটাই ভূমিকা। আমার জীবনে স্থায়িত্ব, সংযম, বাস্তববোধ ও-ই এনেছে।’’ নাতাশাকে নিয়ে কখনও ব্যক্তিগত প্রসঙ্গে খোলাখুলি কথা না বললেও বরুণ কোনও দিন সম্পর্কটাকে আড়ালে রাখেননি। শোনা যায়, এ ভাবেই নিজেকে গসিপ থেকে দূরে রাখার স্ট্র্যাটেজি নিয়েছেন বরুণ। সত্যি নাকি? হাসতে হাসতে বললেন, ‘‘এখন আর সেই বয়স নেই যে, সম্পর্কে চিট করব। আসলে নিজে অসৎ হলে ক্যামেরার সামনে সেটা ধরাও পড়ে যায়। আমি যে সময়ে ইন্ডাস্ট্রিতে এসেছিলাম, তখন খুব একটা ছোট ছিলাম না। আবার খুব যে পরিণত ছিলাম, তা-ও নয়। কিছু ভুলচুক করলে দর্শক আমাকে ক্ষমা করে দেন।’’
‘কলঙ্ক’-এ জ়াফরের চরিত্রটা নাকি আগে শাহরুখ খানের করার কথা ছিল। ‘‘যশ জোহর যখন বেঁচে ছিলেন, কর্ণের (জোহর) এই ছবিটা পরিচালনা করার কথা ছিল। তখন ছবির নাম ছিল ‘সিদ্দত’। সেই সময়ে কর্ণ ভেবেছিল, শাহরুখ স্যর জ়াফরের চরিত্রটা করবেন। তার পর সময়টা পাল্টে যাওয়ায় ওঁরা আমাকে নিলেন,’’ মুচকি হেসে এই প্রশ্নের উত্তর দিলেন বরুণ।