দীপিকা পাড়ুকোন। ছবি ইনস্টাগ্রাম।
প্র: ইন্ডাস্ট্রিতে আপনার প্রায় পনেরো বছর হয়ে গেল। বহু বড় পরিচালকের সঙ্গে কাজ করেছেন। শুনেছি, শকুন বত্রার সঙ্গে কাজ করতেও আপনি খুব উদ্গ্রীব ছিলেন?
উ: শকুনের ‘কপূর অ্যান্ড সন্স’ দেখার পর থেকেই ওর সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী ছিলাম। খুব রিয়্যালিস্টিক ছবি বানায় ও। এর আগে আমি ‘পিকু’, ‘তামাশা’র মতো ছবিতে কাজ করেছি, সেখানে অভিনীত চরিত্রগুলো আমার খুব কাছের। কিন্তু এই ধরনের চরিত্র প্রথম বার করলাম। এই ছবিতে যে জটিলতা এবং অস্বস্তিকর পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে চরিত্রগুলোকে যেতে হয়, সেটা খুবই ইন্টারেস্টিং।
প্র: ‘গেহরাইয়াঁ’র কাহিনিতে আবেগ খুবই গুরুত্ব পেয়েছে। এই চরিত্রটি কতটা নিংড়ে নিয়েছে আপনাকে?
উ: কাজের জায়গা আর ব্যক্তিগত জীবনের মধ্যে আমি বরাবর ব্যালান্স করে চলি। কিছু দিন আগেই রণবীর (সিংহ) আমাকে জিজ্ঞেস করেছিল, এই ছবিটা আমি কবে করলাম? কারণ ও বুঝতে পারেনি, এত গভীর একটা চরিত্রে অভিনয় করার পরে বাড়িতে এসে এত স্বাভাবিক রয়েছি কী ভাবে! আসলে বাড়িতে ফিরে আমি অন্য মানুষ। অনলাইনে দরকারি জিনিস অর্ডার করা, রান্না করা বা লন্ড্রি... এ সব করতে পছন্দ করি। ছবির সেটে খুব গভীর কোনও চরিত্রে অভিনয়ের সময়ে নিজের মধ্যে থাকি। গান শুনি আর চরিত্রটায় ডুবে যাই। সুইচ অন, সুইচ অফ চলতেই থাকে।
প্র: সিদ্ধান্ত চতুর্বেদীর সঙ্গে কাজ করে কেমন লাগল?
উ: ‘গাল্লি বয়’ ছবিতে রণবীরের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে সিদ্ধান্ত যে ভাবে অভিনয় করেছিল, সেটা খুব ভাল লেগেছিল। ওর যে গুণ আমার সবচেয়ে ভাল লাগে সেটা হল, ও খুব পরিশ্রমী এবং শেখার ইচ্ছে রয়েছে। পাশাপাশি সিদ্ধান্ত খুব উচ্চাকাঙ্ক্ষীও।
প্র: ‘গেহরাইয়াঁ’ দুই বোনের গল্প। আপনার সঙ্গে বোন অনিশার সম্পর্ক কী রকম?
উ: আমি অনিশার চেয়ে পাঁচ বছরের বড়। তবে দিদির চেয়ে আমি ওর মা বেশি। অনিশা আগে সবাইকে বলত, ‘আমার দুই মা’। তবে গত দশ বছরে আমার আর অনিশার সম্পর্ক অনেকটাই বদলে গিয়েছে। এখন আমরা খুব ভাল বন্ধু। আমার স্টারডম বা সাফল্য নিয়ে ও মাথা ঘামায় না। কিন্তু ও আমাকে খুব সম্মান করে। আর ভাল-খারাপ দুই-ই সরাসরি বলতে পারে।
প্র: সুপারস্টার দীপিকা পাড়ুকোনের স্বপ্ন কী?
উ: কাজের মধ্য দিয়ে আগেও শিখতাম, এখনও শিখছি। নন-ফিল্মি পরিবার থেকে এসে প্রথম ছবিতে শাহরুখ খানের বিপরীতে অভিনয় করেছিলাম— এটা আমার জীবনে বিরাট পাওয়া। কাজ করতে গিয়ে ভুল করেছি এবং তা থেকে নিজেই শিখেছি। এই স্টারডম আমাদের কাজের সূত্রে পাওয়া। তাই কাজের মধ্য দিয়েই নতুন প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করতে চাই।
প্র: আপনার নতুন ছবি সম্পর্কের নানা স্তর তুলে ধরেছে। আপনি সম্পর্ককে কী ভাবে দেখেন?
উ: আমার সব কাছের মানুষ, যেমন রণবীর, আমার মা-বাবা, বোন, আমার ননদ সকলের ব্যাপারে আমি ভীষণ পজ়েসিভ। একটা সুন্দর সম্পর্কের অর্থই হল পরস্পরের প্রতি সৎ থাকা। পরিস্থিতি যতই অস্বস্তিকর হোক, একে অপরের সঙ্গে কথা বলা জরুরি।
প্র: রণবীরের সঙ্গে কাজ নিয়ে আলোচনা করেন?
উ: হ্যাঁ অবশ্যই করি। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিজেরাই নিই এবং সেখানে অন্য জন হস্তক্ষেপ করে না। আমাদের দু’জনের মধ্যে আমি যা বলি, সোজাসাপটা ভাবে বলে দিই। রণবীরও বলে, তবে ওর ধরনটা আলাদা।