Rii Sen

জামা পরা আর খোলা দিয়ে অভিনেত্রীর সাহস বিচার করবেন না: ঋ

নিজের নতুন কাজ থেকে কিউ-এর সঙ্গে বিচ্ছেদ। অকপট ঋ সেন।

Advertisement

স্রবন্তী বন্দ্যোপাধ্যায়

কলকাতা শেষ আপডেট: ১১ জুলাই ২০১৯ ১৯:৩১
Share:

অকপট ঋ। নিজস্ব ছবি

কথার আগে অনেক কথা...‘‘আমি ছবি পাঠাব। প্লিজ পুরনো ছবি দেবেন না। কিউ আর আমি খুব বোল্ড, এই দিয়ে হেডলাইন করবেন না প্লিজ। আর বাড়ির ঠিকানাটা বলবেন না প্লিজ।’’

Advertisement

প্র: আপনার প্লিজ-এর লিস্টটা বেশ লম্বা...

উ: নাহ, আসলে কি বলুন তো, এ রকমটা বরাবর হয়ে আসছে তো! বাড়ির ঠিকানা দিলে আমি জানি নানা রকম লোক চলে আসবে। আমি এখন মায়ের সঙ্গে থাকি। সব সময় লেখা হয়েছে আমি বোল্ড।

Advertisement

প্র: কিউ-এর সঙ্গে সম্পর্ক তা হলে নেই?

উ: কিউ? কিউ তো একটা অ্যালফাবেট।

প্র: দেখুন, সকলেই জানে কিউ-এর সঙ্গে আপনার প্রেম ছিল...

উ: ছিল। তো? সেটা তো এখন নেই। আর না থেকে ভালই হয়েছে। দেখুন, ওই একসঙ্গে থাকলাম, এক ছাদের তলায়, অথচ ভালবাসা নেই। এর চেয়ে খারাপ কিছু হয় না। কিউ-এর কী মনে হয় জানি না, তবে একসঙ্গে না থেকে আমার তো খুব ভাল হয়েছে। প্রেমও একসময় স্যাচুরেশন পয়েন্টে পৌঁছয়। সেটা মানতেই হবে।

প্র: এত দিন কোথায় ছিলেন? দেখা যায়নি আপনাকে!

উ: আমি কাজ করিনি বেশ কিছু দিন। তাই দেখতে পাননি। আমার ব্যক্তিগত আর পেশাগত কিছু সমস্যা ছিল, তাই টেলিভিশন বা কমার্শিয়ালে কাজ করিনি। এখন আবার করছি।

অনেকদিন পরে মেগায় অভিনেত্রী ঋ।

প্র: এখন তো আপনি ‘ত্রিনয়নী’-র রঙ্গনা!

উ: হ্যাঁ, অনেক দিন বাদে এসভিএফ-এর প্রোডাকশনে মেগা করছি। চরিত্রটা দারুণ ভাবে ডেভেলপ করছে। সাহানাদি এত ভাল একটা চরিত্র দিয়েছে আমায়। আমি ওর কাছে সত্যি থ্যাঙ্কফুল। আদপে একটা বোকা মেয়ের চরিত্র। দারুণ এনজয় করছি। রাস্তায় বেরোলে দেখি অনেকেই চিনতে পারে আমায়। কথা বলতে চায়। সদ্য ‘তিন কন্যা’ বলে ছবির কাজ শেষ হল। আর একটা ছবি করলাম ‘কড়াপাক’ বলে। আরও একটা থ্রিলারে কাজ করব। এ ভাবেই চলছে। আমি কোনও দিন নিজেকে বেঁধে রাখিনি, আর্ট ফিল্ম করেছি বলে মেগা করতে পারব না, এমনটা নয়। নিজের ওপর বিশ্বাস আছে, যত ক্ষণ আমি পর্দায় থাকব, দর্শক চ্যানেল বদলাবেন না।

প্র: একসময় বলা হত আপনি খুব সাহসী, কিন্তু অভিনয় পারেন না...

উ: দেখুন, আমার মুখের ওপর বা সোজাসুজি কারও কিছু বলার সাহস কখনও হয়নি।

ঋতুপর্ণা থেকে ঋ।

প্র: কেন?

উ: লোকে আমায় ভয় পায়। আর মহিলাদের ভয় পাওয়া ভাল বলে আমার মনে হয়। আমি জানি, আমার আত্মীয়স্বজন-বন্ধুরাও অনেক কথা বলেছেন। কিন্তু যে যাই বলুক, আমি আজ কয়েকটা কথা বলতে চাই। জামাকাপড় খুলে দাঁড়িয়ে পরলে সেটাই একমাত্র সাহসিকতার পরিচয়, এটা আমি একেবারেই মানি না। বরং এক জন মানুষ জীবন কেমন করে কাটাচ্ছেন, সেখানেই তার আসল সাহসিকতা। জামা পরা আর খোলা দিয়ে অভিনেত্রীর সাহস বিচার করবেন না প্লিজ! তবে যে যাই বলুক, আমি জানি অনেকের চেয়ে অভিনয়টা আমি অনেক ভাল করি। নইলে সতেরো বছর ধরে এই ইন্ডাস্ট্রিতে টিকে থাকতে পারতাম না। আমার কোনও পিআর নেই। চাইনি পিআর হোক। সবাই সেলফি তুলুক।

প্র: কিন্তু গুগলে সার্চ দিলেই যে অভিনেত্রী ঋ বেরিয়ে আসেন, তাঁর সঙ্গে ন্যুডিটি শব্দটা ওতপ্রোত ভাবে জড়িত...

উ: তাতে আমার কী? আমি ও সব পাত্তা দিই না।

প্র: আপনার মনে হয় না বাঙালি ন্যুডিটির ক্ষেত্রে বড় হয়নি?

উ: আমি শিক্ষক বা ডাক্তার নই যে এ সব নিয়ে মাথা ঘামাবো! আর বাঙালি কী? সেটা বাঙালি ভাববে। আমি ভাবতে বসলে আমার ভাবনার স্বাধীনতা হারিয়ে যাবে। আমি সাধারণ মানুষ নই যে এ সব ভাবব। আমি তো স্পেশাল! তাই আমি ঋতুপর্ণা থেকে ঋ...

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement