অভিনেত্রী করিনা কপূর খান। ছবি: সংগৃহীত।
বলিউডের অন্যতম নামজাদা নায়িকা তিনি। নব্বইয়ের দশক থেকে রুপোলি পর্দায় রাজ করছেন অভিনেত্রী করিনা কপূর খান। নায়িকার অনুরাগীর সংখ্যাও বিশেষ কম নয়। তাঁকে এক ঝলক দেখতে পাওয়ার জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করে থাকেন তাঁরা। তাঁর সঙ্গে একটা ছবি তোলার জন্য গাড়ির পিছনে দৌড়তেও কসুর করেন না অনুরাগীরা। অনুরাগীদের প্রতি কতটা যত্নশীল তারকা? তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যায়। সম্প্রতি সমাজমাধ্যমের পাতায় ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিয়ো দেখে এই প্রশ্ন ঘিরে জল্পনা আরও বেড়েছে।
সম্প্রতি সমাজমাধ্যমে ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিয়োয় ইনফোসিস কর্তা নারায়ণ মূর্তি বলেন, ‘‘আমি এক বার লন্ডন থেকে দেশে ফিরছিলাম। ওই বিমানে আমার পাশের আসনেই বসেছিলেন করিনা কপূর। অনেক অনুরাগীই তাঁর কাছে এসে হাই-হ্যালো বলছিলেন। কিন্তু করিনা যেন তাতেও বিরক্ত হচ্ছিলেন। কাউকে কোনও উত্তরই দেওয়ার প্রয়োজন বোধ করেননি তিনি। আমি এমন ব্যবহার দেখে একটু অবাকই হয়েছিলাম। আমার কাছেও কয়েক জন যাত্রী এসেছিলেন, আমি সবার সঙ্গেই কথা বলেছিলাম। অনুরাগীরা এটুকুই তো আশা করেন তারকাদের কাছে।’’ স্ত্রী সুধা মূর্তি তাঁকে বোঝানোর চেষ্টা করলেও তাতে কাজ বিশেষ হয়নি। সুধা বলেন, ‘‘করিনার তো কয়েক লক্ষ অনুরাগী আছেন! এমন চলতে থাকলে উনি তো ক্লান্ত হয়ে পড়বেন।’’ তবে তাতে মন গলেনি নারায়ণ মূর্তির। তিনি পাল্টা বলেন, ‘‘সেটা সমস্যা নয়। সমস্যা হল, কেউ যখন স্নেহ, ভালবাসা বা শ্রদ্ধা প্রকাশ করেন, উল্টো দিকের মানুষটিরই তখন উচিত তা ফেরত দেওয়া।’’
করিনাকে নিয়ে এমন সমালোচনা এই প্রথম নয়। ‘দাম্ভিক’ বলে নামডাক আছে কপূর-কন্যার। এর আগেও একাধিক বার অনুরাগীদের পাত্তা না দেওয়ার ঘটনায় নাম জড়িয়েছে করিনার। কোনও অনুষ্ঠানে এই বিষয়ে করিনাকে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, তারকা বলেই যে তারও ব্যক্তিগত পরিসরে যে কারও প্রবেশাধিকার রয়েছে— তা তিনি মনে করেন না। পেশাগত দায়বদ্ধতা ছাড়া নিজের পরিবারের সঙ্গেই সময় কাটাতে পছন্দ করেন করিনা।