প্রেম থেকে কেরিয়ার, সব কিছু নিয়ে অকপট রাজনন্দিনী।
‘আমি কিছু বললেই বিতর্ক হয়ে যায়! সাক্ষাৎকার দেওয়া তাই বন্ধ করে দিয়েছি।’
বক্তা রাজনন্দিনী পাল। অভিনেত্রী ইন্দ্রাণী দত্তের কন্যা।
প্রথম ছবি থেকেই তাঁকে ঘিরে বিতর্ক। পরিচালকের সঙ্গে নাম ঘিরে ছিল গুঞ্জনও। সে সব ছাপিয়েই একের পর এক কাজ করে চলেছেন রাজনন্দিনী। বর্তমানে দু’টি ছবির কাজ নিয়ে ব্যস্ত। ওয়েব সিরিজও করেছেন নতুন একটি ওটিটি প্ল্যাটফর্মের জন্য। সব মিলিয়ে এখন দম ফেলার সময় নেই। “ভীষণ মন দিয়ে কাজ করছি। নিজের যতটা দেওয়া যায়, সবটাই দিচ্ছি,” উচ্ছ্বাস ইন্দ্রাণী-কন্যার কণ্ঠে।
কেরিয়ারের শুরুতেই বড় প্রযোজনা সংস্থার সঙ্গে কাজ। একের পর এক ছবি, সিরিজ। তারকা-সন্তানের তকমাই কি প্রতিযোগিতায় এগিয়ে দিয়েছে তাঁকে? খানিক ভেবে রাজনন্দিনীর উত্তর, “ধরে নেওয়া যাক, ইন্দ্রাণী দত্তের মেয়ে বলে আমি একটি বা দু’টি ছবি পেতে পারি। কিন্তু আমি ভাল কাজ না করলে একের পর এক কাজ পেতাম কি?” এখানেই থেমে যাননি। স্বজনপোষণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আমার প্রথম ছবির প্রযোজক প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। আমি সত্যিই ভাগ্যবান। কিন্তু আমি যদি ভাল কাজ করতে না পারি, শুধুমাত্র মায়ের বন্ধু বলে নিশ্চয়ই কেউ নিজের ক্ষতি করে আমায় ছবিতে নেবেন না।”
ইন্দ্রাণীর সঙ্গে রাজনন্দিনী।
আর কাজ শেখার ক্ষেত্রে?
এ ক্ষেত্রে বাড়তি সুবিধা ছিল, মানছেন রাজনন্দিনী। মা ইন্দ্রাণী দত্তের থেকে ইন্ডাস্ট্রির ‘অ-আ-ক-খ’ বুঝে নিয়েছেন শুরুতেই। “মায়ের অজান্তেই মায়ের কাছ থেকে অনেক কিছু শিখেছি। কাজ করতে গিয়ে কতটা পেশাদার হতে হয় বুঝেছি”, এক নিশ্বাসে বলে গেলেন পর্দার ‘উড়নচণ্ডী’।
তা হলে তারকা-সন্তান হওয়ায় সাফল্যের পথ অনেকটাই মসৃণ? রাজনন্দিনীর উত্তর, “না। সুশান্ত সিংহ রাজপুতের মৃত্যুর পর যখন স্বজনপোষণ নিয়ে কথা শুরু হল, তাঁর আচ পড়ে টলিউডেও। ফেসবুক, টুইটারে অনেকেই আমাকে নিয়ে অনেক খারাপ কথা লিখেছেন। বলেছেন, আমি নাকি অভিনয় করতে পারি না। মায়ের জন্যই নাকি টিকে আছি।”
বন্ধুর সঙ্গে রাজনন্দিনী।
এ তো গেল পেশার প্রসঙ্গ। রাজনন্দিনীর ব্যক্তি জীবন নিয়েও চর্চা থামে না। সম্প্রতি ‘প্রিয় বন্ধু’-র সঙ্গে ছবি দিয়েছেন। লিখেছেন, ‘সারা জীবন একসঙ্গে থাকব’। এই বন্ধু কি শুধুই বন্ধু? নাকি আরও বেশি কিছু? প্রশ্ন করতেই খিলখিলিয়ে হাসি। খানিক থেমে বললেন, “সে রকম কিছু হলে নিশ্চয়ই বলব। তবে আপাতত আমার জীবনে প্রেম নেই। যে দিন আসবে, সে দিন আর লুকিয়ে রাখব না।”