‘নসিব’-এ ঋষি-অমিতাভ(বাঁ দিকে), ‘পাঁচ’-এর সেটে অনুরাগ(মাঝখানে উপরে), ‘ইমতিহান’-এর সেটে ইমতিয়াজ(মাঝখানে নীচে), ‘এনএইচটেন’-এর সেটে অনুষ্কা(ডান দিকে)।
ব্যস্ততা নেই, কাজের চাপ নেই... ঘরবন্দি মুহূর্তগুলো যেন মনে করিয়ে দিচ্ছে পুরনো দিনগুলির কথা। যেগুলির ছবি হয়তো সাদা-কালো কিন্তু স্মৃতি বড় রঙিন। নস্ট্যালজিয়ায় মজে সেলেব্রিটিরাও। #থ্রোব্যাকে ভরে উঠেছে তাঁদের সোশ্যাল মিডিয়ার দেওয়াল। কেউ ছবি দিচ্ছেন কেরিয়ার শুরুর প্রথম দিনগুলির, কেউ শুটিংয়ের মনকাড়া মুহূর্তের।
সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট দেওয়ার কাজে অমিতাভ বচ্চনকে হারাতে পারবেন না এই প্রজন্মের কোনও তারকাই। ব্যক্তিগত ব্লগ থেকে টুইটার, ইনস্টাগ্রাম সর্বত্রই তিনি শাহেনশাহ। তাঁর ভার্চুয়াল অ্যালবাম ভরে পুরনো ছবি। কখনও তিনি ‘শোলে’র প্রিমিয়ারের ছবি দিচ্ছেন, তো কখনও এক পত্রিকার জন্য করা তাঁর প্রথম ফোটোশুটের। নিজের সহকর্মীদের সঙ্গে ছবি দিতে বোধহয় অমিতাভ সবচেয়ে ভালবাসেন। কিছু দিন আগেই পোস্ট করেছিলেন ‘নসিব’-এর ছবি। যেখানে তিনি আর ঋষি কপূর রয়েছেন। সাদা-কালো সেই সব ছবির সঙ্গে জুড়ে থাকা গল্পগুলিও ভোলেননি অভিনেতা। যেগুলো ভক্তদের নিয়ে যায়, তাঁদের অতীতে।
অমিতাভের ‘পিঙ্ক’ ছবি সহ-অভিনেত্রী তাপসী পান্নুও স্মৃতির সরণিতে হাঁটতে ভালবাসেন। ছোটবেলার পারিবারিক ছবি তো পোস্ট করছেনই, তার সঙ্গে মনে পড়ছে কেরিয়ারের শুরুর দিনগুলোর কথাও। ঠিক সাত বছর আগে ডেভিড ধওয়নের ছবি ‘চশমে বদ্দুর’ দিয়ে হিন্দি ইন্ডাস্ট্রিতে পা রেখেছিলেন তাপসী। সেই সিনেমার সেটের ছবি পোস্ট করে তাপসী লিখেছেন, ‘‘ছবিটা দেখলেই বোঝা যাচ্ছে এখনকার ‘আমি’র সঙ্গে সেই ১০ বছর আগের মেয়েটির কতটা তফাত। শুধু চেহারা নয়, মানসিক দিক থেকেও অনেক আলাদা। তখন ভাবিনি এই জায়গায় কোনও দিন পৌঁছতে পারব। এখনও সব কিছু অলীক মনে হয়।’’
শুধু অভিনেতাদেরই যে জিয়া নস্ট্যাল, এমন নয়। অনুরাগ কাশ্যপ এখন যেমন তাঁর কলেজবেলার ছবি পোস্ট করছেন নিয়মিত। কিছু দিন আগে তাঁর পরিচালিত প্রথম সিনেমা ‘পাঁচ’-এর মহরতের ছবি পোস্ট করেছিলেন। দুর্ভাগ্যবশত তাঁর ডেবিউ ছবি রিলিজ় করেনি। দশ বছর আগের এই ছবিটি নিয়ে বহুবার নিজের সাক্ষাৎকারে আক্ষেপ করেছেন পরিচালক। অনুরাগের পোস্ট করা ছবিতে অনিল কপূর, পদ্মিনী কোলাপুরেকে দিব্যি চেনা যাচ্ছে। ক্রাইম থ্রিলার ‘পাঁচ’-এর প্রধান চরিত্র ছিলেন অনিল। তার পর অনেক বার কথা হলেও অনিলের সঙ্গে আর কাজ করা হয়নি অনুরাগের। সম্প্রতি বিক্রমাদিত্য মোতওয়ানের পরিচালনায় ‘একে ভার্সাস একে’তে অনিল-অনুরাগ একসঙ্গে অভিনয় করেছেন। অনুরাগের ওই পোস্টে কিন্তু বিক্রমাদিত্যও আছেন। তবে ছবিতে তাঁকে এবং হনসল মেহতাকে চিনতে সত্যিই মুশকিল হচ্ছে! থ্রোব্যাকের আসল মজা তো সেখানেই।
ঠিক পনেরো বছর আগের ঘটনা। সিরিয়াল নির্দেশনা দিয়ে কেরিয়ার শুরু করেছিলেন ইমতিয়াজ় আলি। সেই সময়ের জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘ইমতিহান’-এর পরিচালক ছিলেন ইমতিয়াজ়। সেই থ্রোব্যাক ছবি পোস্ট করেছেন পরিচালক। যেখানে তাঁর সঙ্গে ওই ধারাবাহিকের প্রধান দুই চরিত্র রেণুকা সাহানে, শচীন খেড়করকে দেখা যাচ্ছে। ইমতিয়াজ়ের ওই পোস্টে মন্তব্য করেছেন রেণুকাও। ছবি দেখে তাঁরও মনে পড়ে গিয়েছে সোনালি দিনগুলোর কথা।
কেরিয়ারের শুরুর দিকে প্রযোজনায় এসেছেন খুব কম অভিনেত্রীই। অনুষ্কা শর্মা যখন নিজের প্রযোজনা সংস্থা খুলেছিলেন তাঁর বয়স ছিল ২৫। প্রথম প্রযোজিত ছবি ‘এনএইচটেন’-এর ফিল্ম স্টিল পোস্ট করে অনুষ্কা লিখেছেন, ‘‘স্রেফ ইনস্টিংক্টের উপরে ভর করেই প্রযোজনায় এসেছিলাম। দর্শককে বিনোদন দেওয়ার জন্য অন্য রকমের কনটেন্ট নিয়ে কাজ করতে চাইছিলাম। এ দিকে প্রোডাকশনের কাজের কোনও অভিজ্ঞতাই ছিল না। তাও আমি আর ভাই কাজটা শুরু করে দিয়েছিলাম। যে ধরনের কনটেন্ট প্রোডিউস করেছি, তার জন্য আমি গর্বিত। তবে এখনও অনেকটা পথ চলা বাকি।’’
সেলেবদের সোশ্যাল মিডিয়ার দেওয়াল মনে করিয়ে দেয়, মুহূর্তেরা মুহূর্তের কাছে ঋণী...