Kunal Khemu on Saif Ali Khan Stabbing Case

‘সে দিন সব থেকে বেশি জরুরি ছিল...’ সইফের উপর ছুরি হামলার ঘটনা নিয়ে কী বললেন কুণাল?

সকাল ৬টা নাগাদ খবর এসেছিল কুণাল খেমুর ফোনে। সম্প্রতি সে দিন সকালের অভিজ্ঞতা সংবাদমাধ্যমের কাছে জানালেন অভিনেতা।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৪:৫৩
Share:
Image of Saif ali khan and Kunal Khemu

ঘরোয়া মেজাজে সইফ আলি খানের সঙ্গে ভগ্নিপতি কুণাল খেমু। ছবি: সংগৃহীত।

সে দিন সকালে মেয়ে ইনায়াকে স্কুলে পাঠানোর প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন সইফ আলি খানের ছোট বোন সোহা আলি খান। তখনও ঘুমে তাঁর স্বামী কুণাল খেমু। কিন্তু ফোনটা এসেছিল তাঁরই কাছে। সম্প্রতি সে দিন সকালের অভিজ্ঞতা সংবাদমাধ্যমের কাছে জানালেন অভিনেতা কুণাল।

Advertisement

গত ১৬ জানুয়ারি ভোর সাড়ে ৩টে নাগাদ মুম্বইয়ের লীলাবতী হাসপাতালে রক্তাক্ত অবস্থায় ভর্তি করানো হয় সইফ আলি খানকে। জানা যায়, আগের রাতে তাঁদের বিলাসবহুল আবাসনে চুরির উদ্দেশে ঢুকে পড়েন এক ব্যক্তি। বাধা পেয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপান সইফকে।

ঠিক কী ঘটেছিল সে রাতে, তা নিয়ে সারা দেশের মানুষের কৌতূহলের অন্ত নেই। এ বার সে দিনের অভিজ্ঞতা জানালেন সইফের ভগ্নিপতি কুণাল। অভিনেতা বলেন, “সত্যি বলছি, প্রথমেই মনে হয়েছিল সইফ ঠিক আছে তো?” কুণাল জানান, সে দিন সকাল ৬টা নাগাদ তাঁর কাছে ফোন আসে। সে সময় মেয়ে ইনায়াকে নিয়ে ব্যস্ত সোহা। ফোন পেয়েই কেঁপে ওঠেন কুণাল। তার পর যখন জানতে পারেন, সইফ ঠিক আছেন, বিপন্মুক্ত, তখন আর কোনও কথা বলতেই পারেননি। তাঁর কথায়, “আর কিছু বলারই ছিল না, কারণ সে সময় সইফের সুস্থ থাকার কথা জানাটাই সব থেকে বেশি জরুরি ছিল।”

Advertisement

কুণাল জানিয়েছেন, ফোন পেয়ে প্রাথমিক ভাবে তিনি আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলেন। বুঝতেই পারছিলেন না কী ভাবে খবরটা তাঁর স্ত্রী সোহাকে দেবেন! এই পরিস্থিতিতে ছোট্ট মেয়েকে স্কুলে পাঠানো ঠিক হবে কি না, তা নিয়েও দ্বিধায় ছিলেন কুণাল-সোহা। তিনি বলেন, “শেষ পর্যন্ত আমরা মেয়েকে স্কুলে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিই। আর তার পরই হাসপাতালে ছুটে যাই।” তবে এর থেকে বেশি সে দিনের ঘটনা সম্পর্কে আর কিছু বলতে চাননি কুণাল।

সইফের শরীরে সে দিন ছ’টি ক্ষত তৈরি হয়েছিল। তার মধ্যে দু’টি ছিল মারাত্মক। তাঁর মেরুদণ্ডের কাছে ছুরির একটি ফলা বিঁধে ছিল বলে দাবি করেছিলেন চিকিৎসকেরা। যদিও অস্ত্রোপচারের পাঁচ দিন পরই বাড়ি ফিরেছিলেন সইফ। গাড়ি থেকে নেমে পিঠ টান রেখে হেঁটে বাড়িতে ঢোকেন তিনি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement