জয়ী এখন কী করছে?
জয়ী এখন মা হয়েছে। জয়ীর ছেলে জিকোর পাঁচ বছর বয়স। তো সেদিক থেকে জয়ী অনেকটা ম্যাচিওরড। জিকোর জন্য পাঁচ বছর ধরে জয়ী ফুটবল খেলতে পারেনি। জিকোর পায়ে একটা সমস্যা ছিল। তো পাঁচ বছর পর জয়ী আবার ফুটবলে ফিরেছে জিকোকে সুস্থ করার জন্য, ওর পা ঠিক করার জন্য যাতে জিকোও ফুটবল খেলতে পারে। তো বোঝাই যাচ্ছে জয়ী আরও ম্যাচিওরড ওয়েতে সংসার সামলাচ্ছে।
জয়ী কি শুধু জিকোর জন্যই ফুটবলে ফিরেছে?
হ্যাঁ, তা বলা যায়। এতদিন সংসারের জন্যই জয়ী নিজের ইচ্ছে থাকলেও ফুটবল খেলতে পারেনি। জয়ীর নিজের ইচ্ছে তো আছেই। কিন্তু পরিবারের বিরুদ্ধে গিয়ে জয়ী কখনই নিজের স্বপ্ন পূরণ করবে না। এণ্ড অফ দ্য ডে জয়ী ফুটবলার তো হবেই। কিন্তু কী ভাবে হবে সেটাই দেখার বিষয়।
মানে মেয়েদের স্বাধীন স্বপ্ন সংসারের কারণেই...
শুধু মেয়েদের নয়, এটা ছেলেদেরও। যদি ঋভু ফুটবলার হতে চাইতো, কিন্তু তাঁর বাবা-মার আপত্তি থাকলে সেটা সম্ভব হত না। ছেলেমেয়ে নির্বিশেষে কেউই বাবা-মার সাপোর্ট ছাড়া কিছু করে উঠতে পারি না। তবে হ্যাঁ, সবাই পারে না তা বলছি না। কিন্তু আমরা চাইব আমরা যা করতে চাই আমাদের বাবা-মা, পরিবার, আত্মীয়স্বজন, বন্ধুবান্ধব সবাই যেন সাপোর্ট করে।
আরও পড়ুন, এই বিপুল যৌন সন্দর্ভে কি ‘চরিত্রহীন’ বাঙালির পর্দা সাবালক হল?
ঋভুর সঙ্গে কেমন সম্পর্ক?
আমাদের দুজনেরই এটা প্রথম সিরিয়াল। তো একসাথে লুকসেট, একসাথে অডিশন দেওয়া... ডে ওয়ান থেকে দুজনে একসঙ্গে কাজ করছি। তো আমার খুব কাছের বন্ধু। আমার কো-আর্টিস্ট হিসেবে খুবই সোবার এবং খুবই ভাল। ওর সঙ্গে কাজ করাটা কমফোর্ট জোনের মধ্যে পড়ে। অন স্ক্রিন আমরা হ্যাজব্যাণ্ড-ওয়াইফ। অফ স্ক্রিন দিব্যজ্যোতি এবং দেবাদৃতা খুব ভালো বন্ধু। পরবর্তী কালে আমরা দুজনেই হয়তো অনেকের সঙ্গে কাজ করবো। কিন্তু ও আমার ভালো বন্ধু হয়েই থাকবে।
প্রেম হচ্ছে না?
না... হা হা... আমরা একদমই বন্ধু। আমরা এত ঠাট্টা ইয়ার্কি করি... মারপিট, ঝগড়া সব হয়। সবাই আমাদের দেখে অবাক হয়। বলে, ‘তোদের দ্বারা প্রেম হবে না।’... হা হা...
‘জয়ী’ ধারাবাহিকের একটি দৃশ্য।
এখন কে জয়ীর সামনে ভিলেন হয়ে দাঁড়িয়েছে?
এখন সমুদ্র দত্ত (সৌগত) সবকিছুতে বাধা দিচ্ছে। আগামীতে একটা টুইস্ট আসছে, মহুয়া বলে একজন দাবি করছে যে জিকো ওর ছেলে। কিন্তু আদৌ কি জিকো মহুয়ার ছেলে? জানিনা জয়ী এটা কী ভাবে সমাধান করবে। জানতে হলে সিরিয়াল দেখতে হবে।
সমুদ্র দত্ত জয়ীর কে?
সমুদ্র সাগর দত্তর ভাই। কিন্তু কী ভাবে ভাই কেউ জানে না। সমুদ্রর সঙ্গে জয়ীর বোন আঁখির বিয়ে হয়েছে। তো সমুদ্র আর তাঁর মা মিলে জয়ীর সামনে নানা রকম বাধা তৈরি করছে।
দেবাদৃতা কি প্রেম করে?
একদমই না বাবা! সামনে উচ্চ মাধ্যমিক। কী করে হবে বল তো? পরীক্ষার আগে তো কিছু সম্ভব নয়।
তাহলে শুধুই পড়াশোনা আর শুটিং?
হ্যাঁ। সারাদিন শুটিং আর শুটিঙের ফাঁকে যেটুকু সময় পাই পড়াশোনা। বইপত্র নিয়ে শুটিঙে আসি। রাত জেগে পড়াশোনা করি। এখন যেমন ক্লাস টেস্ট চলছে। ভালোই হচ্ছে।
আরও পড়ুন, ‘ইন্ডাস্ট্রিতে এসেও প্রচুর বিয়ের প্রস্তাব পেয়েছি... ইন্ডাস্ট্রিরই লোকজন’
প্রত্যেকদিন তো শুটিং। পরীক্ষা থাকলে কী করেন?
পরীক্ষা থাকলে আগে থেকে বলে রাখি। আমাকে ছেড়ে দেয়। পরীক্ষা দিয়ে শুটিঙে আসি। আমার সাথে খুব কোঅপারেট করে সবাই।
অনেকে শুটের চাপে পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারে না।
কিন্তু আমার মনে হয় এটা অজুহাত। যেমন দিতিপ্রিয়ার (‘রানী রাসমণি’) কথা যদি বলি ও তো সুন্দর পড়াশোনা চালিয়ে যাচ্ছে। আমার আরও বন্ধুরা আছে। অভিনয়ও করছে, পড়াশোনাও করছে। সমস্যা হয় না, চায়লেই পড়াশোনা করা যায়। সময়টাকে ব্যালেন্স করে নিতে হয়। শুটিং-এ সবাই কোঅপারেট করে।
সুশান্ত দাসের সঙ্গে আপনার সম্পর্ক নিয়ে...
না না... কারোর সাথেই কোনও প্রেমের সম্পর্ক নেই। এসব ভুল কথা। সুশান্তদা আমাদের প্রোডিউসার, আমাদের ডিরেক্টর। তাঁর সঙ্গে সবারই খুব ভালো সম্পর্ক। আমরা সবাই খুব রেসপেক্ট করি ওনাকে। একজন রিপোর্টার এসব লিখেছিলেন। সম্পূর্ণ বেসলেস। যা সত্যি নয় তা লোকের বিশ্বাস না করারই কথা। তো আমিও সিরিয়াসলি নিইনি, লোকজনও নেয়নি। এটা নিয়ে আর কথাও বলিনি। সুশান্তদাও খুব পজিটিভলি নিয়েছেন। শুধু আমিই না, আরও অনেকের সম্পর্কে এরকম শোনা গেছে। আমরা যেহেতু পাবলিক ফিগার আমাদের নিয়ে এরকম গসিপ হবেই।
রাস্তাঘাটে বেরোলে প্রোপোজাল পান?
হ্যাঁ, বেশ মজা লাগে। তবে মাঝে মাঝে ঠিক বিরক্ত বলব না, একটু শকিং লাগে। কারণ দেখা গেল যখন রাস্তা পার হচ্ছি তখন হয়তো কেউ সেলফি তোলার জন্য বলল। এগুলো পাওয়ার জন্যই আমরা এত খাটি। কিন্তু তাই বলে রাস্তার মাঝখানে দাঁড়িয়ে সেলফির আব্দার?
(টলিউডের প্রেম, টলিউডের বক্স অফিস, বাংলা সিরিয়ালের মা-বউমার তরজা -বিনোদনের সব খবর আমাদের বিনোদন বিভাগে। )
এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও। সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের YouTube Channel - এ।