অনেকটা বন্ডের মতোই। লুথার ছবিতে বন্দুক হাতে ইড্রিস এলবা। ছবি:ইউটিউব।
‘হোয়াইট স্কটিশ সুইস ম্যান’। হ্যাঁ, ইয়ান ফ্লেমিংয়ের ‘জেমস বন্ড’ বইতে বন্ড এমনই একজন শ্বেতাঙ্গ পুরুষ ছিলেন। কিন্তু তাই বলে যে জেমস বন্ড চরিত্রে কখনও কৃষ্ণাঙ্গ কাউকে দেখানো যাবে না, এমন কথাতো কোথাও লেখেননি ফ্লেমিং। আবার কোনও মহিলাও জেমস বন্ড হতে পারবেন না— এমন ভবিষ্যদ্বাণীও করে যাননি ফ্লেমিং।
আর তাই তো আকাশে-বাতাসে এত জল্পনা। শোনা যাচ্ছে, ব্রিটিশ হলিউড স্টার ইড্রিস এলবা নাকি পরবর্তী জেমস বন্ড হওয়ার দৌড়ে অনেকখানিই এগিয়ে। সাবজঁরের রাজা পরিচালক অ্যান্তয়নি ফুকুয়ার সঙ্গে দিনকয়েক আগেই মিটিং হয়েছিল প্রযোজক বারবারা ব্রোক্কলির (‘গোল্ডেন আই’এর পর থেকে সব জেমস বন্ড ছবিগুলির প্রযোজক)। সেখানে ফুকুয়াকে ব্রোক্কলি বলেছিলেন ‘‘সময় চলে এসেছে। বন্ডের রোলে একজন কৃষ্ণাঙ্গ মানুষের অভিনয় করার সময়টা এক্কেবারে দোরগোড়ায়।’’
কিন্তু বিড়ালের গলায় ঘন্টাটা বাঁধবে কে? ফুকুয়ার এই প্রশ্নে ব্রোক্কলির উত্তর ‘‘একদিন তো হবে নিশ্চয়ই। আর ঘন্টা বাঁধার দৌড়ে সব থেকে প্রথমে এলবা-কেই দেখতে পাচ্ছি। কেবল রংটা বাদ দিয়ে ওঁর মধ্যে একটা বন্ড হওয়ার সবরকম লক্ষণ আমি দেখতে পাই।’’
‘স্কাইফল’-এর একটি দৃশ্যে বন্ডের বেশে ড্যানিয়েল ক্রেগ।
টিভি সিরিজ, ওয়েব সিরিজ আর একাধিক ছবিতে অভিনয় করেছেন ইড্রিস। ‘থর’, ‘ঘোস্ট রাইডার’, ‘অ্যাভেঞ্জার্স: ইনফিনিটি আওয়ার’, ‘দ্য ডার্ক টাওয়ার’ ইত্যাদি একাধিক ছবিতে অভিনয় করেছেন ইড্রিস। মুক্তির অপেক্ষায় ‘হব্বস অ্যান্ড শাও’ নামের ইড্রিসের একটি ছবি।
যবে থেকে ড্যানিয়েল ক্রেগের নাম ‘জিরো জিরো সেভেন’-এর সঙ্গে জুড়েছে, ঠিক তবে থেকেই ইড্রিস এলবা ওয়েটিং লিস্টে। ড্যানি বয়েলের ‘বন্ড টোয়েন্টি ফাইভ’-এও দেখা যাবে ড্যানিয়েলকে। এমনকি এর পরেও যে ড্যানিয়েলের জেমস বন্ড চরিত্রে অবতীর্ণ হতে অসুবিধা নেই সে কথাও জানিয়েছেন আগেই। তবে জল্পনা যেমন ছিলই। সেই জল্পনা আরও একটু বাড়িয়ে দিয়েছিলেন জর্জ ক্লুনি। গত বছরের সেপ্টেম্বরে সংবাদ মাধ্যম ভ্যারাইটিকে ক্লুনি বলেছিলেন ‘‘আমার মনে হয় পরবর্তী জেমস বন্ড ইড্রিস এলবার হওয়া উচিৎ। আর ইড্রিস বন্ড হলে সেটা একটা বিশ্ব সিনেমার ইতিহাসে বিরাট বড় একটা পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’’
আরও পড়ুন: কার স্মৃতিচারণায় আবেগপ্রবণ হয়ে পড়লেন অমিতাভ বচ্চন?
আরও পড়ুন: মুক্তি পেল সৃজিতের ‘এক যে ছিল রাজা’র টিজার
কিন্তু যাঁকে নিয়ে এত হট্টগোল, এত জল্পনা, তাঁর মুখে বরাবরই কুলুপ। কিন্তু এ ভাবে আর কতদিন? হয় কথায় না হয় হাবেভাবে ভক্তদের সামনে মনের দরজাটাতো খুলতেই হবে।
হলও ঠিক তাই। সোশ্যাল মিডিয়ার দেওয়ালগুলিতে যখন ‘ব্ল্যাক বন্ড’ নিয়ে নানান পোস্টে ভরপুর। তেমনই এক সময়ে নিজের হাই ফিল্টার্ড একটা ছবি দিয়ে ইড্রিস লিখলেন ‘‘মাই নেম ইজ এলবা! ইড্রিস এলবা।’’ ঘন্টাখানেক পরেই ফের আরেকটা পোস্ট। সেখানে আবার র্যাপ গ্রুপ ‘পাবলিক এনিমি’ একটা গানের টাইটেল তুলে দিলেন ‘ডোন্ট বিলিভ দ্য হাইপ!’