নাক নিয়ে কটাক্ষ ইব্রাহিম আলি খানকে! ছবি: ইনস্টাগ্রাম।
সমাজমাধ্যমে ইব্রাহিম আলির বুঝি নাক কাটা গেল! সদ্য মুক্তি পেয়েছে খুশি কপূরের সঙ্গে তাঁর ‘নাদানিয়া’। নবাবপুত্রের প্রথম ছবি দেখে পক্ষে-বিপক্ষে মন্তব্য করেছেন দর্শক-অনুরাগী, সামলোচকেরা। সে সব নিয়ে কোনও সমস্যা নেই ইব্রাহিমের। কেবল এক জনের মন্তব্য তিনি মেনে নিতে পারেননি। জানা গিয়েছে, এক পাকিস্তানি চিত্র সমালোচক কড়া ভাষায় নিন্দা করেছেন অভিনেতার। ইব্রাহিমের তাই নিয়ে মাথাব্যথা নেই। কিন্তু পাকিস্তানি চিত্রসমালোচক তামুর অভিনয়ের পাশাপাশি তাঁর নাক নিয়ে কটূক্তি করেছেন। সমালোচকের দাবি, ইব্রাহিম ‘নোজ় জব’ করিয়েছেন। এই মন্তব্য পড়ে নিজেকে আর ধরে রাখতে পারেননি সইফ আলি খানের বড় ছেলে। সমাজমাধ্যমেই তাঁকে ‘আবর্জনার স্তূপ’ বলে পাল্টা কটাক্ষ করেছেন।
এমনিতেই ইব্রাহিমকে নিয়ে নানা মুনির নানা মত। যে হেতু তিনি তারকা-সন্তান, তাই তাঁকে নিয়ে চর্চা একটু বেশিই। বাবা সইফের মতো ইব্রাহিমের মা অমৃতা সিংহও জনপ্রিয় অভিনেত্রী। তাঁর ঠাকুরমা শর্মিলা ঠাকুর আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন অভিনেত্রী। দেশে-বিদেশে তাঁর অভিনয় নিয়ে চর্চা হয়। ইব্রাহিমের পিসি সোহা আলি খানও বিনোদন দুনিয়ায় যথেষ্ট পরিচিত। একই ভাবে তাঁর দিদি সারা আলি খান এই প্রজন্মের জনপ্রিয় অভিনেত্রী। পারিবারিক এই ঐতিহ্য নিয়ে পর্দায় আসতে হয়েছে ইব্রাহিমকে।
এই ভার হয়তো সইফ-পুত্রের মনেও চাপ-ছাপ দুটোই ফেলে। সেই জায়গা থেকেই কি তিনি পাকিস্তানের চিত্র সমালোচক তামুরকে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে ফেলেছেন? জানা যায়নি।
তবে সমাজমাধ্যমে তাঁর লেখা বক্তব্য বলছে, নাক নিয়ে অকারণ সমালোচনার কারণে তামুরের উপরে যথেষ্ট বিরক্ত ইব্রাহিম। সাফ লিখেছেন, “তামুর নামটা অনেকটাই তৈমুরের মতো। আপনি আমার ভাইয়ের নাম পেয়েছেন। আপনি কী পাননি জানেন? তার মতো মুখ আপনি পাননি। আপনার মুখ আবর্জনার স্তূপ!” ইব্রাহিম এখানেই থামেননি। তাঁর আরও দাবি, কোথায় কী বলতে হয়, কতটা বলতে হয়তো তামুর জানেন না। তিনি তাঁর করা বক্তব্যের মতোই অপ্রাসঙ্গিক। তামুরের পরিবারের জন্য তাই খারাপ লাগছে ইব্রাহিমের। কারণ, এ রকম এক কুৎসিত মনের মানুষকে তাঁদের বহন করে চলতে হচ্ছে! এত কিছু বলেও শান্ত হননি অভিনেতা। রীতিমতো হুমকি দিয়েছেন, ভবিষ্যতে কোনও দিন মুখোমুখি হলে ‘আবর্জনার মতো কুৎসিত মুখ’ তিনি আরও কুৎসিত বানিয়ে দেবেন।
ইব্রাহিম যাঁকে সমাজমাধ্যমে এত কিছু বললেন সেই তামুর কি চুপচাপ হজম করলেন এত কথা?
সংবাদ এবং সমাজমাধ্যম বলছে, একেবারেই না। তিনি ফের সরব। ইব্রাহিমের মন্তব্যের স্ত্রিনশট সমাজমাধ্যমে পোস্ট করে পাল্টা লিখেছেন, “এই হচ্ছেন প্রকৃত ইব্রাহিম। পর্দার ওই নকল সভ্য-ভদ্র মানুষটি নয়!” এ-ও স্বীকার করেছেন, অভিনেতার নাক নিয়ে কটাক্ষ করা উচিত হয়নি তাঁর। তিনি ভুল করেছেন। একই সঙ্গে জানাতে ভোলেননি, তিনি ইব্রাহিমের বাবা সইফের অভিনয়ের অনুরাগী। সেই জায়গা থেকে তাঁর অনুরোধ, অভিনেতা যেন বাবার নাম না ডোবান! ঘটনার পরেই ইব্রাহিম সমাজমাধ্যমে ব্লক করেছেন তাঁকে। ফলে, নিজেদের মধ্যে কথা বলে মিটিয়ে নেওয়ার সুযোগ তিনি পাচ্ছেন না।
সমস্ত দেখেশুনে কী বলছে বলিউড? ইব্রাহিম-তামুরের দ্বন্দ্বে দ্বিধাবিভক্ত মায়ানগরী। এক দল ইব্রাহিমের পক্ষে। তাঁরা নাক নিয়ে অকারণ বিরূপ কটাক্ষে পাক চিত্র সমালোচকের উপরে চটেছেন। দ্বিতীয় দলের মতে, যতই খারাপ লাগুক, প্রতিক্রিয়া না জানালেই ভাল করতেন ইব্রাহিম। এতে বাড়তি মনোযোগ পেয়ে গেলেন ওই পাক সমালোচক।যার তিনি যোগ্যই নন! আর এটাই তামুরের লক্ষ্য ছিল। তাই সমস্ত কথোপকথনে তিনি ভারতীয় এবং পাকিস্তানের সংবাদমাদ্যমকে জুড়ে নিয়েছেন।