কী ঘটল মৌনীর জীবনে? ছবি: মৌনী রায়ের ইনস্টাগ্রাম থেকে।
উৎসব কিংবা প্রাত্যহিক যাপন, বিয়ের পর সব কিছু নতুন লাগে। অভিনেত্রী মৌনী রায় ভেবেছিলেন এ বছর দিওয়ালির দিনটা আলোয়-আহ্লাদে কেটে যাবে সদ্যবিবাহিত স্বামী সূরজ নাম্বিয়ার সঙ্গে। তা-ই কাটল। তবে অন্য ভাবে। উৎসবের আমেজে দাঁড়ি টেনে কাজের সূত্রে মৌনীকে পাড়ি দিতে হয়েছে অন্যত্র। সূরজও গিয়েছেন সঙ্গে।
পেশায় ব্যবসায়ী সূরজের সঙ্গে চলতি বছরের শুরুর দিকেই গাঁটছড়া বেঁধেছেন মৌনী। বিয়ের পর প্রথম দিওয়ালিতেই ঘরে থাকতে পারলেন না। এই আফসোস রয়েই যাচ্ছে ‘ব্রহ্মাস্ত্র’ অভিনেত্রীর। তবে জানালেন, ছুটির সফরেও তাঁর মন্দ লাগছে না। ঘুরে বেড়াতে তাঁর দারুণ লাগে, বিশেষত স্বামী তো সঙ্গেই যাচ্ছেন।
মৌনীর কথায়, ‘‘দিওয়ালি পার্টির জোগাড়-যন্ত্র করতে আমার খুব ভাল লাগে। সবাইকে কাছাকাছি আনে। প্রিয় মানুষরা আসবেন, একসঙ্গে বসে গল্প করব। জমিয়ে খাওয়াদাওয়া, সে জন্যই তো সব। কিন্তু এ বছর সব বাদ পড়ল।’’
বিয়ের আগে কোনও রীতিনীতি বা সংস্কার মানতেন কি বাঙালি ঘরের মেয়ে মৌনী? জিজ্ঞাসা করা হলে বলেন, ‘‘আমি সূরজের সঙ্গে নতুন করে সব কিছু শুরু করতে চাই। জীবনের নতুন অধ্যায় এটা। সংস্কার, রীতিনীতি যা কিছু আছে ওর সঙ্গে করতে ভাল লাগবে। মনে হয়, নিজেদের ছোট্ট ছোট্ট এমন উৎসব বা ব্রত থাকলে বেশ হত!’’
জানালেন, খেতে খুব ভালবাসেন। ঘরে তৈরি মুখরোচক খাবারের প্রতি বিশেষ আকর্ষণ বোধ করেন মৌনী। দিওয়ালি মানেই রকমারি পদ রান্নার ধুম। জানালেন, কাজের ফাঁকে সময় বার করে রাঁধতে ভালবাসেন খুব। তাঁর কথায়, ‘‘বিভিন্ন সাবেক পদ, যেগুলো ছোটবেলার স্মৃতির সঙ্গে উৎসবের গন্ধ বয়ে আনে, সে সব খাবার কিনে খাওয়ার মানে হয় না। ক্ষীর তার মধ্যে একটি।’’