নিজেকে বাঙালি ভাবি

টেলিভিশন থেকে ফিল্মের যাত্রাপথটা মোটেই মসৃণ নয়। আর আয়ুষ্মান খুরানার থেকে ভাল করে সেটা আর কেউই জানে না। প্রথম ছবি ‘ভিকি ডোনার’ সুপারহিট। কিন্তু তার পরেই আর কোনও ছবি ক্লিক করছিল না।

Advertisement

শ্রাবন্তী চক্রবর্তী

মুম্বই শেষ আপডেট: ১২ মে ২০১৭ ০০:১৫
Share:

আয়ুষ্মান

টেলিভিশন থেকে ফিল্মের যাত্রাপথটা মোটেই মসৃণ নয়। আর আয়ুষ্মান খুরানার থেকে ভাল করে সেটা আর কেউই জানে না। প্রথম ছবি ‘ভিকি ডোনার’ সুপারহিট। কিন্তু তার পরেই আর কোনও ছবি ক্লিক করছিল না। ‘দম লাগা কে হইসা’ অবশ্য সেই ফেজটা কাটিয়ে দিয়েছে। যশ রাজ ফিল্মসের ‘মেরি পেয়ারি বিন্দু’তে তিনি বাঙালি চরিত্রে।

Advertisement

শ্যুটিংয়ের জন্য অনেক দিন কলকাতায় কাটিয়েছেন। কিন্তু কতটা বাংলা শিখলেন? ‘‘আমি তো অন্তর থেকে নিজেকে একদম বাঙালি ভাবি। আমি যখন কলকাতায় ছিলাম, তখন অনেক রবীন্দ্রসংগীত শুনেছি। খুব ইচ্ছে আছে রবীন্দ্রসংগীতের উপর কিছু একটা করার,’’ বলেন আয়ুষ্মান। খুঁটিয়ে দেখেছেন শহরটাকে। তাই মনে করেন, ‘‘কলকাতার মধ্যে আসলে দুটো শহর থাকে। একটা শহর কখনও ঘুমোয় না। পার্ক স্ট্রিট যেমন। আর একটা উত্তর কলকাতা, যারা কালচারকে ধরে রাখতে চায়।’’

এ ছবিতে অবশ্য গতের বাইরে পা ফেলেছেন। কোনও গান করেননি কেন? বললেন, ‘‘আসলে ফিল্ম শুরু হওয়ার আগে এটা জানতাম যে, এই ফিল্মে গান গাইব না।’’ আয়ুষ্মান গান ভালবাসেন। ‘‘বড় পরদায় প্রথম দেখা ছবি ‘তেজাব’। এখনও গানগুলো কানে বাজে। রবিবার করে কালার টেলিভিশন আর ভিসিআর ভাড়া করে ফিল্ম দেখতাম।’’

Advertisement

পুরনো হিন্দি সিনেমার পোকা আয়ুষ্মান ‘কেয়ামত সে কেয়ামত তক’ দেখে আমির খানের ফ্যান হয়ে যান। আবার ‘বাজিগর’ দেখার পর নকল করতে থাকেন শাহরুখ খানকে। ‘‘গান আমার রক্তে। আমার দাদি গুরুদ্বারে গান গাইতেন। আর বাড়িতে সকলের ৬০-৭০ দশকের গান খুব ভাল লাগত। পরে কলেজে ওয়েস্টার্ন গানের প্রতি আমার একটা পছন্দ তৈরি হয়,’’ জানান আয়ুষ্মান।

কিন্তু কতটা নিজের চেনা ছকের বাইরে পা দিতে আগ্রহী তিনি? ‘‘নিজের স্পেস নিয়ে খেলা করাটা খুব জরুরি। কিছু দিন আগে আদিত্য চোপড়া বলেছিলেন, ‘তোমার নিজের জীবনের যেটা আসল রূপ তার এক্সটেনশন যদি পরদায় ফোটাতে পারো, সেটাই তোমার জন্য ভাল।’ ক্যারেক্টার করার সময়ে নিজের মধ্যে পরিবর্তন আনাটা ভীষণ দরকারি,’’ সোজাসাপটা জবাব তাঁর।

ফ্লপ আর হিট নিয়ে তেমন ভাবেন না আয়ুষ্মান। ‘‘আমি ফিল্ম শেষ হলে সেটার থেকে একদম বেরিয়ে যাই। পাঁচ বছরে কীভাবে ছবি বাছতে হয় সেটা শিখেছি। তবে বক্স অফিস নিয়ে একদম ভাবি না।’’ ‘ভিকি ডোনার’ এবং ‘দম লাগাকে হইসা’ দুটোই জাতীয় পুরস্কার প্রাপ্ত ছবি। তাতে কাজ করার অনুভূতিটাই আলাদা। কিন্তু টাইপকাস্ট তিনি হবেন না। ‘‘আমি যখন থিয়েটার করতাম তখন অনেক বার অশ্বত্থামার রোল করেছি। এমনই কিছু বড় পরদায় করব। নেগেটিভ চরিত্র করার ইচ্ছাও খুব।’’

এখন অবশ্য তিনি বাবা হয়েছেন। ছেলে-মেয়েকে বকাবকি করেন? না কি আদরে মাথায় তোলেন? ‘‘নাহ, কড়া হতে পারি না। অর্ধেক সময় তো শ্যুটিংয়েই ব্যস্ত থাকি। না হলে গানের ট্যুরে।’’ তবে আয়ুষ্মানের প্রায়োরিটি এখন সিনেমা। আর তাঁর পরিবার সেটা জানে এবং বোঝে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement