আক্কিনেনি নাগার্জুন। —ফাইল ছবি।
প্রশাসনের পক্ষ থেকে আগাম নোটিস ধরানো হয়েছিল। আজ তেলুগু অভিনেতা আক্কিনেনি নাগার্জুনের বিলাসবহুল কনভেনশন সেন্টারের একাধিক অংশ বুলডোজ়ার দিয়ে ভেঙে গুঁড়িয়ে দিল ‘হায়দরাবাদ ডিজ়াসটার রিলিফ অ্যান্ড অ্যাসেট প্রোটেকশন এজেন্সি’ (এইচওয়াইডিআরএএ)। অভিযোগ, বেআইনি ভাবে একটি হ্রদের জমি দখল করে কনভেনশন সেন্টারটি তৈরি করা হয়েছিল।
প্রশাসনের ব্যাখ্যা, কনভেনশন সেন্টারটি ১০ একরের বেশি জমি জুড়ে রয়েছে, যার ১.১২ একর জমি তুম্মিদুকান্তা হ্রদের অংশ। আরও ২ একর জমি হ্রদের ‘বাফার জ়োন’-এ রয়েছে। এইচওয়াইডিআরএএ কমিশনার, আইপিএস অফিসার এ ভি রঙ্গনাথ বলেন, ‘‘স্পষ্টতই নিয়ম লঙ্ঘন করা হয়েছে এবং ৩ একরের বেশি হ্রদের জমি বেআইনি ভাবে দখল
করা হয়েছে।’’
হ্রদগুলিকে রক্ষা করতে, বেআইনি ভাবে জলাভূমি ও অন্যান্য জমি দখল হওয়া আটকাতে গত মাসেই গঠন করা হয়েছে এইচওয়াইডিআরএএ। এন-কনভেনশনের ঘটনাটি তাদের দ্বিতীয় অভিযান। গত সপ্তাহে হায়দরাবাদের শহরতলি অঞ্চলে শিবরামপল্লি এলাকায় একটি হ্রদের বাফার জ়োনে তৈরি হওয়া একাধিক বাংলো, রেস্তরাঁ ও বাড়ি ভেঙে দিয়েছে এজেন্সিটি। এন-কনভেনশন সেন্টার ২০১২ সালে তৈরি হওয়া ইস্তক একে নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। আগের কেসিআর সরকারও নোটিস ধরিয়েছিল নাগার্জুনকে। কিন্তু সেন্টারটি ভেঙে দেওয়ার মতো জোরদার পদক্ষেপ করেনি তারা।
নাগার্জুন অবশ্য অভিযোগ মানতে চাননি। তাঁর দাবি, তিনি কোনও নিয়ম ভাঙেননি, হ্রদের জমি দখল করেননি। সমাজমাধ্যমে একটি বিবৃতি দিয়ে নাগার্জুন লিখেছেন, ভুল খবরের ভিত্তিতে এইচওয়াইডিআরএএ এই কাজ করেছে। তাঁর আরও দাবি, আদালতের স্থগিতাদেশ উপেক্ষা করে এই কাজ করা হয়েছে। যদিও এজেন্সি-র আধিকারিকদের বক্তব্য, ৩ একরের বেশি জমি দখল করা হয়েছে এবং তার প্রমাণ তাঁদের কাছে রয়েছে। তাঁরা আরও জানিয়েছেন, বাড়ি তৈরির সময়ে প্রয়োজনীয় অনুমতিপত্রও নেওয়া হয়নি প্রশাসনের থেকে। রঙ্গনাথ জানিয়েছেন, জমির মালিক কোনও প্রভাবশালী ব্যক্তি হতেই পারেন, কিন্তু তার জন্য নিয়মের ব্যতিক্রম ঘটবে না। বেআইনি ভাবে জমি দখল করে বাড়ি তুললে, এইচওয়াইডিআরএএ সেই বাড়ি ভাঙবেই।