ছবির শুরু থেকেই বিতর্ক। কখনও প্রযোজনা সংস্থা ভেঙে যাচ্ছে, তো কখনও পরিচালক যৌন হেনস্থার ঘটনায় অভিযুক্ত হচ্ছেন। বারবার বদলেছে ‘সুপার থার্টি’র মুক্তির দিন। মঙ্গলবার ছবির ট্রেলার মুক্তি পাওয়ার পরে এটা স্পষ্ট, এগুলোর কোনওটাই ছবির গুণগত মানে ছাপ ফেলতে পারেনি। সব মহলেই উচ্চ প্রশংসিত হৃতিক রোশনের এই ছবি।
গত দু’বছর হৃতিকের কোনও ছবি মুক্তি পায়নি। নতুন নতুন হিরোদের ভিড়ে হৃতিক খানিক কোণঠাসাই বলা যায়। ‘সুপার থার্টি’ দিয়ে নিজের হারানো জায়গাটা উদ্ধার করতে চাইছিলেন অভিনেতা। যে কারণে প্রত্যেকটা বিতর্ককে পাশ কাটিয়ে ছবিটা বাঁচানোর চেষ্টা করেছেন। ভেঙে যাওয়া ফ্যান্টম ফিল্মসের এটাই শেষ ছবি। বিকাশ বহেলের বিরুদ্ধে #মিটুর অভিযোগ উঠতে, হৃতিক দাবি তোলেন পরিচালকের নাম ছবি থেকে বাদ দেওয়ার। তদন্তে বিকাশের বিরুদ্ধে কিছু প্রমাণিত না হওয়ায় পরিচালক হিসেবে তাঁর নামই যাচ্ছে।
‘সুপার থার্টি’ এবং নিজের কেরিয়ার দুই বাঁচানোর তাগিদে কঙ্গনা রানাউতের সঙ্গে সংঘর্ষও এড়িয়েছেন হৃতিক। ঠিক ছিল জানুয়ারিতে ‘সুপার থার্টি’ রিলিজ় করবে। কিন্তু কঙ্গনা ওই দিনই ‘মণিকর্ণিকা’র মুক্তি ঘোষণা করেন। সম্মুখ সমর এড়িয়ে হৃতিক ছবি পিছিয়ে দেন। ফের ক্ল্যাশ হয় কঙ্গনার ‘মেন্টাল হ্যায় কেয়া’র সঙ্গে। এ বারও হৃতিক নিজের অবস্থান বদলান। নিজের প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে কোনও উটকো বিষয়কে অভিনেতা প্রাধান্য দিতে চাইছেন না।
অভিনেতা হৃতিকের কাছেও এ ছবি একটা পরীক্ষা। বিহারের গণিতজ্ঞ আনন্দ কুমারের জীবন আধারে তৈরি ‘সুপার থার্টি’। সমাজের নিচুতলার ছেলেমেয়েদের ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের জন্য প্রস্তুত করতেন আনন্দ। গ্ল্যামারাস অবতার ছেড়ে আনন্দের চেহারার ছাঁচে নিজেকে ঢেলেছেন হৃতিক। গলার স্বর বদলেছেন। তাঁর এই প্রচেষ্টা কতটা কার্যকর হল, ছবি মুক্তিতেই বোঝা যাবে।