কোনও এক সময়ের ভালবাসার সম্পর্ক এখন বড়ই তেতো। দায়িত্ব নিয়ে দুই বলি-তারাই এখন দু’জন দু’জনের দিকে কাদা ছুড়তে ব্যস্ত। তিক্ততা এখন সোশ্যাল মিডিয়া, পেজ থ্রি-র বেড়া টপকে আদালত অবধি পৌঁছেছে। সেখানেও চলছে হুমকি, পাল্টা হুমকির সিলসিলা। এর সঙ্গেই কিন্তু, যত দিন যাচ্ছে কঙ্গনা আর হৃতিকের সেই গোপন প্রেমের প্যান্ডোরার বাক্স থেকে রোজ রোজ বেরিয়ে আসছে নিত্য নতুন বেড়াল।
সুজানের সঙ্গে দাম্পত্যের তথাকথিত সুখী দিনগুলো কাটানোর সময়েই নাকি কঙ্গনা রানাউতের সঙ্গে বিবাহ বহিভূর্ত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন হৃতিক। বহু দিন চাপা থাকার পরে মাত্র কয়েক মাস আগেই এই প্রেমের খবর ফাঁস হয়। ব্যস্, তার পর থেকেই শুরু হয় ভীষণ হইচই। হৃতিক প্রথম প্রথম এই সম্পর্কের কথা অস্বীকার করলেও আপাতত পাকে পড়ে ঢোক গিলতে বাধ্য হয়েছেন। সেই কাহানিতেই আবার নয়া টুইস্ট। ‘মুম্বই মিরর’-এর দাবি, শুধু প্রেম নয়, ২০১৪ সালে নাকি চুপিচুপি এনগেজমেন্টটাও সেরে ফেলেছিলেন হৃতিক-কঙ্গনা।
কঙ্গনার এক ঘনিষ্ঠ বন্ধু জানিয়েছেন, ২০১৪ সালে সুজানের সঙ্গে বিচ্ছেদের কথা ঘোষণা করার আগেই কুইনের অভিনেত্রীকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিলেন হৃতিক। ‘‘হৃতিক জানিয়েছিলেন সুজানের সঙ্গে ডিভোর্সটা হয়ে গেলেই কঙ্গনার সঙ্গে চটপট বিয়েটা সেরে ফেলতে চান তিনি। কঙ্গনা তখন খুশিতে অষ্টম স্বর্গে।’’
হৃতিক নাকি ফিল্মি ঢঙেই প্রপোজ করেছিলেন কঙ্গনাকে। যেখানে সেখানে নয়, এক্কেবারে প্যারিসে।
দেখুন গ্যালারি- অর্জুন-করিনার অনস্ক্রিন কেমিস্ট্রি
তবে সেই সুখের সময় বেশি দিন টেকেনি। কৃষ থ্রি-র হাত ধরে যে মাখোমাখো প্রেমের সূচনা, বছর গড়াতে না গড়াতেই তাতে ফাটল ধরে।
দু’জনেরই এক ঘনিষ্ঠ সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৫-র ফেব্রুয়ারির শুরুতে ব্যাংব্যাং-এর শ্যুটিং শুরু হওয়ার পর থেকেই সুর বদলাতে শুরু করেন হৃতিক। হঠাত্ করেই কঙ্গনার সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন। নিউ ইয়র্কে সেই সময়ে ছুটি কাটাচ্ছিলেন কঙ্গনা। হাই প্রোফাইল প্রেমিকের আচরণের আচমকা বদল দেখে মাঝপথেই সেই ছুটি ছেড়ে দেশে ফিরে আসেন তিনি।
১৪ ফেব্রুয়ারি হৃতিককে ডেকে তাঁকে সত্যিটা জানাতে বলেন কঙ্গনা। উল্টে হৃতিক জিজ্ঞাসা করেন, তাঁদের এনগেজমেন্টের কথা কঙ্গনা কাউকে বলেছেন কি না। কঙ্গনা জানান, তিনি সব কথাই পরিবারকে জানিয়েছেন। হৃতিক তখন বলেন, কঙ্গনা নাকি তাঁর কথার ভুল মানে করেছেন! তাঁকে নাকি আদতে বিয়ের কোনও পরিকল্পনাই নেই হৃতিকের।
হৃতিকের এই ‘বিশ্বাসঘাতকতা’ মেনে নিতে পারেননি কঙ্গনা। জমা থাকা ক্ষোভের বিস্ফোরণ হয় গত বছর। আর তার জেরেই আপাতত বলিউড মেতে সব থেকে চর্চিত গ্ল্যামারাস আইনি লড়াইয়ে।