আদির সঙ্গে সুদীপা।
সুদীপা চট্টোপাধ্যায় মানেই একগাল হাসি মুখ, কপালে গোল টিপ আর বাহারি রান্নার সম্ভার। লকডাউন কালে আবারও তিনি বাঙালি দর্শকের ড্রয়িংরুমে। তাঁর জনপ্রিয় ‘রান্নাঘর’ ফিরেছে আবার। সুদীপাও লাইভ অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে আরও এক বার অনুরাগীদের কাছাকাছি।
আনন্দবাজার ডিজিটাল খোঁজ নিয়েছিল সুদীপার অন্দরে। ভীষণ ব্যস্ততায় দিন কাটছে তাঁর। রান্নাবান্না তো রয়েছেই, সে সব বাদ দিয়ে ঘরকন্নার খুঁটিনাটি, বিভিন্ন চ্যানেলের আবদার সব মেটাতে মেটাতেই সারা দিন দম ফেলবার জোগাড় নেই। এরই মধ্যে রাখতে হচ্ছে আদির খেয়াল। বলছিলেন, “এই লকডাউনে সবচেয়ে বেশি অসুবিধে হচ্ছে বাচ্চাদের। ওরা তো কিছুতেই বুঝতে পারছে না, কী হচ্ছে, কেন হচ্ছে। সবাই কেন বাড়িতে? কেন বাড়িতে কেউ আসছে না। আদিকেও ভুলিয়ে রাখতে হচ্ছে। এ সময় ওদের দিকে একটু বেশি নজর তো দিতেই হবে।“
বাড়ির কাজ সামলে, মিডিয়ার আবদার রক্ষা করে আদির জন্য সময় বার করতে অসুবিধে হচ্ছে না? স্বভাবসিদ্ধ সিদ্ধ ভঙ্গিমায় প্রাণখোলা হাসি হেসে সুদীপা বললেন, “আসলে কি জানেন মেয়েরা এটা পারে। ঋতুদি, রচনাদি, জুনদি’কে দেখেছি কী ভাবে হাজারও ব্যস্ততার মাঝে নিজের সন্তানের জন্য সময় বাঁচিয়ে রাখত। আমিও চেষ্টা করছি।“
শুধু আদিই বা কেন? বাড়িতে বয়স্করা রয়েছেন। খেয়াল রাখতে হচ্ছে তাঁদেরও। সুদীপার দুই পোষ্য রয়েছে। রোদের তেজ কমলে ছাদে গিয়ে তাঁদের সঙ্গে একটু দৌড়দৌড়ি, আর আদির ছোট্ট পায়ে টলমল হাঁটায় বিকেল হচ্ছে সুদীপার। তাঁর কথায়, “এই মুহূর্তে দাঁড়িয়ে আমার কাছে তিনটি চ্যালেঞ্জ। বয়স্কদের দেখাশোনা, হিসেব করে সংসার চালানো এবং আমার পোষ্য ও আদির বোরডম দূর করা।
আর এই তিনটি চ্যালেঞ্জই বেশ ভালভাবেই পালন করছেন তিনি। এই কিছু দিন আগেও লাইভে বলছিলেন, “সংসার মানেই তো অ্যাডজাস্টমেন্ট। ওই সব সময় মাপযোগ করে চললে হয় না”। পাশে আছেন স্বামী অগ্নিদেবও। মাঝে মধ্যে হেঁশেলের দায়িত্ব সামলাচ্ছেন তিনিও। আর আদি? মায়ের আঁচল ধরে সারা বাড়ি ঘুরে বেড়াচ্ছে সে। এই যেমন লকডাউনেই প্রথম বার পিৎজা খেলেন তিনি। তখন তার আনন্দ আর দেখে কে!
আর সুদীপা? ছেলে, স্বামী সংসার নিয়েই নিজের মতো করে চলছে তাঁর লকডাউন যাপন।