শুভশ্রীর জন্মদিন উদ্যাপনে ‘রাজশ্রী’।
জন্মদিনের আগের দিন, মঙ্গলবার আনন্দবাজার অনলাইনকে শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায় প্রথম জানিয়েছিলেন, এ বার যাবতীয় উদ্যাপন হবে বাড়িতেই। পরিচালক-স্বামী রাজ চক্রবর্তী তাঁর জন্য চমকের আয়োজন করছেন। কী সেই চমক? বুধবার, সকালে ইনস্টাগ্রামে সবার আগে স্ত্রীকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানান। সন্ধেয় আয়োজন করেছিলেন ছোটখাটো ঘরোয়া পার্টির। শুভশ্রীর সামনে ছয় রকম স্বাদের কেক। চকোলেট, ভ্যানিলা, রেড ভেলভেট, বাটার স্কচ সেই তালিকায়। ছেলে ইউভানকে কোলে নিয়ে প্রত্যেকটি কেকে ছুরি বসিয়েছেন তিনি রীতি মেনে। নায়িকাকে ঘিরে তাঁর পরিবারের সবাই দাঁড়িয়ে। রাজের পরিচালনায় গলা ছেড়ে গাইছেন জন্মদিনের গান।
কেমন সেজেছিলেন জন্মদিনের কন্যে? ইনস্টাগ্রামে ভাগ করে নেওয়া ছোট্ট ঝলক বলছে, হলুদ পুরো হাতার টপ আর ছোট র্যাপার পরে যেন দেখা মিলেছে আগের শুভশ্রীর। তাঁর এক পাশে শাশুড়ি মা লীলা চক্রবর্তী। অন্য পাশে বিধায়ক স্বামী। ছিলেন দিদি দেবশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়, সুরকার-শিল্পী জিৎ-চন্দ্রাণী গঙ্গোপাধ্যায়ও। কেক কাটা হতেই তার প্রথম টুকরো রাজ মুখে তুলে দিয়েছেন তাঁর আদরের ‘পরিণীতা’র। মাকে নিয়ে সবার হুল্লোড় অবাক চোখে চুপচাপ দেখেছে ‘রাজ-পুত্র’। তার যেন নীরব কৌতূহল, হচ্ছেটা কী?
ইনস্টাগ্রামের আরও একটি ছবিতে নায়িকার হাতে পানীয়ের বোতল আর গ্লাস! অর্থাৎ, খানার সঙ্গে পিনাও ছিল। ছবিতে আরও দেখা গিয়েছে, ডান পায়ে চোট পেয়েছেন শুভশ্রীও। নতুন চোট এড়াতে পায়ে বিশেষ জুতো। অভিনেত্রীর মুখে কিন্তু চওড়া হাসি। মঙ্গলবার থেকেই আগাম উদ্যাপনের মেজাজে ছিলেন তিনি। দুপুরে ভূরি-ভোজ। বিকেলে কেক কাটা। শুভশ্রী সে দিন বলেছিলেন, ‘‘মঙ্গলবার আমার দলকে নিয়ে ছোট্ট করে পার্টি। ওঁরা আমার প্রিয় চকোলেট কেক এনেছিলেন। আমার রূপটান থেকে কেশসজ্জার দায়িত্বে যাঁরা, সকলেই ছিলেন। আমার ম্যানেজারও। সবাই মিলে একসঙ্গে দুপুরের খাওয়াটাও সারলাম।’’