(বাঁ দিকে) হার্দিক পাণ্ড্য। ছেলের সঙ্গে ছবি ভাগ করে নাতাশা স্তানকোভিচ লিখলেন ‘আনন্দে পূর্ণ হৃদয়’ (ডান দিকে)। ছবি: সংগৃহীত।
বাবা-মায়ের বিচ্ছেদ ঘোষণা হয়ে গিয়েছে। পিতৃভূমি ভারত থেকে সুদূর সার্বিয়ায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে তাঁকে। এ ভাবে কি ভাল থাকবে সদ্য চার বছরে পা দেওয়া শিশুটি! এই প্রশ্ন সে দিনই উঠেছিল বহু নেটাগরিকের মনে, যে দিন বিমানবন্দরে নাতাশা স্তানকোভিচকে দেখা গিয়েছিল অগস্ত্যের হাত ধরে বিদেশ পাড়ি দিতে।
সেই প্রশ্নের উত্তর দিতেই যেন সমাজমাধ্যমে এলেন স্বয়ং নাতাশা। এর আগে সার্বিয়া পৌঁছে একটি বারান্দার ছবি ভাগ করেছিলেন তিনি। লিখেছিলেন, ‘হোম, সুইট হোম’। নাতাশা নিজের পরিবারের কাছে, নিজের দেশে ফিরে গিয়ে না হয় ভাল আছেন। তাঁর পোস্টে ছিল সেই ইঙ্গিতই, কিন্তু কেমন আছে তাঁর ছেলে?
কখনও হাতি, কখনও ডায়নোসর, অগস্ত্য মেতে আনন্দ-শিক্ষায়। ছবি: সংগৃহীত
এ বার ছেলের সঙ্গে একগুচ্ছ ছবি, ভিডিয়ো তিনি ভাগ করে নিলেন ইনস্টাগ্রামের স্টোরিতে এবং লিখলেন, ‘হৃদয় আনন্দে পরিপূর্ণ’।
নাতাশার ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে দেখা গিয়েছে, একটি ছবিতে দুষ্টু-মিষ্টি অগস্ত্যের কাঁধে থুতনি রেখে ক্যামেরার দিকে তাকিয়ে রয়েছেন নাতাশা। সম্ভবত নিজস্বী এটি। সেখানেই লিখেছেন আনন্দময়তার কথা। এ ছাড়াও বেশ কয়েকটি ছবি, ছোট ভিডিয়ো ভাগ করে নিয়েছেন তিনি। সেখানে মা-ছেলেকে দেখেই বোঝা যাচ্ছে তারা মজা করে দিন কাটাচ্ছেন। একটি মডেল পার্কে দেখা গিয়েছে অগস্ত্যকে। পিছনে বিরাট ডায়নোসরের মূর্তি। সামনে মায়ের সঙ্গে নানা মজার অঙ্গভঙ্গি করছে সে। আবার কখনও, কৃত্রিম বালুকাবেলায় মগ্ন খেলায়। কখনও বা, বিরাট দাঁতাল হাতির সামনে হাসিমুখে।
মায়ের সঙ্গে মজার মুহূর্তে অগস্ত্য। ছবি: সংগৃহীত।
গত ১৮ জুলাই, নাতাশা এবং হার্দিক পাণ্ড্য সমাজমাধ্যমে পোস্ট করেই জানান, তাঁরা আপস-বিচ্ছেদের পথ বেছে নিচ্ছেন। সন্তানের স্বার্থে যৌথ অভিভাবকত্বের সম্পর্ক বজায় রাখবেন। যদিও এর বহু দিন আগে থেকেই নাতাশা-হার্দিকের বিচ্ছেদের গুঞ্জন শোনা যাচ্ছিল।
জানা যায়, ২০১৮ সালে এক বন্ধুর মাধ্যমে পরিচয় হয়েছিল ভারতীয় ক্রিকেটার ও সার্বিয়ান মডেলের। ২০২০ সালের মে মাসে তাঁরা বিয়ে করেন। সে বছর জুলাই মাসে জন্ম হয় অগস্ত্যের।