আবীর চট্টোপাধ্যায়।
হেলেন মানে ক্যাবারে, র়়ঞ্জিত রেপিস্ট, ইফতিকার পুলিশ অফিসার আর আবীর মানেই গোয়েন্দা। সেই গোয়েন্দার আজ ৪০। পেটা চেহারা, স্টানিং লুকে ৪০-এ তিনি যেন চির যুবা।
সকাল থেকেই বাড়িতে এসেছে অজস্র শুভেচ্ছা, কেক। ফ্যান ক্লাবকে উৎসব পালন থেকে এই বছর আটকে রেখেছেন কোনও মতে। আনন্দবাজার ডিজিটালকে বললেন, “বাচ্চা সব ছেলেমেয়ে পকেটমানি খরচা করে আমার জন্মদিনের আয়োজন করে। অন্য বছরগুলোয় কিছু বলিনি। এ বছর বললাম। এ বছর থাক সব”।
বাড়িতে পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাচ্ছেন আবীর। সকালে মায়ের হাতের রান্না, পায়েস আর রাতে বউয়ের দায়িত্বে জন্মদিনের মেনুর ভার দিয়ে খোশমেজাজে ব্যোমকেশ।
বউ অনলাইন শপিং করে পুজোর উপহারের লম্বা লিস্ট সামলেছিল। কিন্তু এই বিশেষ দিনের উপহার কী হল?
প্রশ্ন আসতেই হেসে উঠলেন ‘সুইৎজারল্যান্ড’-এর ‘শিবু’। বললেন, “অনলাইনে নন্দিনী জন্মদিনের উপহার যে আনিয়েছে সেটা বুঝেছি। কিন্তু উপহারের দেখা পাইনি এখনও। রাতের মেনুর মতো ওটাও সারপ্রাইজ”।
‘সারেগামাপা’-এর দৌলতে বাঙালির রাতের ড্রয়িংরুমে রোজ এখন তিনি।
প্রত্যেকবার জন্মদিনে শ্বশুরবাড়িতে পাত পেড়ে জামাই আদর চলে। শাশুড়ি নিজে হাতে রান্না করে খাওয়ান। বরাবর আমিষ পছন্দ আবীরের। এ বার করোনার জন্য সেটাও বন্ধ। জন্মদিনের এ বারের প্ল্যান বলতে গিয়ে বললেন “আসলে কোথাও বেরোতেই ইচ্ছে করে না আমার। আর এখন করোনার সময় এই ইচ্ছেটা আরও বেড়ে গিয়েছে। এই জন্মদিনেও মেয়ের সঙ্গে আছি। বিকেলে কেক কাটা হবে। কেকটা অবশ্য মেয়েই কাটবে”।
সোনাদার ৪০! কেমন লাগছে?
“৪০ বলে সকাল থেকে সতর্কবাণী দিয়ে যাচ্ছে বউ। মানে ৪০-এ যা যা হওয়ার সম্ভাবনা তা যেন একটাও আমার না হয়”। তবে বয়েসটা আবীরের কাছে জাস্ট একটা নম্বর। বললেন, “আমি এ বিষয়ে সুকুমার রায়কে মানি। ৪০ থেকে আবার ব্যাক কাউন্টিং”।
‘সারেগামাপা’-এর দৌলতে বাঙালির রাতের ড্রয়িংরুমে রোজ এখন তিনি। সদ্য মুক্তি পেয়েছে তাঁর ছবি ‘সুইৎজারল্যান্ড’। বিকেলে বাড়ির ছাদের সূর্যাস্ত আর পরিবার নিয়ে কাটবে তাঁর জন্মদিন।