পোশাক নির্বাচনের কারণে প্রতি দিনই প্রায় খুনের হুমকি আসে উরফির কাছে। — ফাইল চিত্র।
ফ্যাশন নিয়ে নিরীক্ষার কারণে প্রায়ই বিতর্কে জড়ান প্রাক্তন ‘বিগ বস্’ প্রতিযোগী উরফি জাভেদ। নিন্দকরা তাঁর বিরুদ্ধে মামলাও দায়ের করেন। প্রতি দিনই প্রায় খুনের হুমকি আসে উরফির কাছে। কারণ একটিই, তাঁর পোশাক নির্বাচন। খোলামেলা পোশাকেই একাংশের চক্ষুশূল হয়ে উঠেছেন তিনি। আবার রণবীর কপূর, করিনা কপূর কিংবা সানি লিওনির মতো কিছু তারকা উরফির প্রশংসায় পঞ্চমুখ। সেই তালিকায় যোগ হল হানি সিংহের নামও। র্যাপারের দাবি, “এটা ২০২৩ সাল! উরফির যা ইচ্ছা তিনি তা-ই পরবেন!”
র্যাপার ইয়ো ইয়ো হানি সিংহের এখন ব্যস্ত সময়। নেটফ্লিক্সে মুক্তি পাবে তাঁকে নিয়ে এক তথ্যচিত্র। সেই সঙ্গে আসছে নতুন অ্যালবাম ‘হানি ৩.০’। এর আগে বলিউড ছবি ‘ভুল ভুলাইয়া ২’(২০২২) এবং ‘সেলফি’ (২০২৩)-এর জন্য গান উপহার দিয়েছেন হানি। তবে বিতর্ক তাঁর পিছু ছাড়ে না। সম্প্রতি কথা উঠেছিল, তাঁর গানে নারীবিদ্বেষী মন্তব্য রয়েছে। হানির চটুল গানে মহিলাদের ছোট করে দেখানো হয়েছে, এমনই অভিযোগ উঠেছিল। তার প্রেক্ষিতে হানির জবাব ছিল, সবটাই গানের ভাব অনুযায়ী, ইচ্ছাকৃত নয়। এ বার হানি বললেন, “এতই যখন বিতর্কিত মতামত আমায় নিয়ে, মেয়েদের বিয়েতে আমায় পারফর্ম করতে ডাকা হয় কেন?”
হানি এই প্রসঙ্গে নাম নেন উরফি জাভেদের। তাঁর প্রশংসা করে বলেন, “যতই বিতর্ক হোক, উরফি নিজে যা মনে করেন তা-ই করেন। ওঁর মতো সাহসী নারী আমি দেখিনি। নিজের মর্জিমতো পোশাক পরার অধিকার তো সবার রয়েছে!” উরফিকে সমর্থন করে হানি বোঝাতে চাইলেন, লোকে যা-ই বলুক, কে কোন পথে চলবেন সেটি তাঁর ব্যক্তিগত ব্যাপার।
২০১৫ সালে মানসিক অবসাদের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছিলেন হানি। কাজ থেকেও বিরতি নিয়েছিলেন। তার পর একটু একটু করে আবার ফিরেছেন গানে। তাঁকে নিয়ে বানানো তথ্যচিত্রে গানের জগৎ থেকে হঠাৎ দূরে চলে যাওয়ার এই অধ্যায় তুলে ধরা হবে। প্রকাশ্যে আসবে গায়কের জীবনের অজানা গল্প।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে হানি বললেন, “আমার গান যদি অপছন্দ হয়, তবে এত মানুষ শুনছে কেন? ইচ্ছাকৃত ভাবে কোনও নারীবিদ্বেষী প্রসঙ্গ আমি আনতে চাইনি। যদি তা-ই হয়, কেন এখনও এত অভিভাবক মেয়ের বিয়েতে পারফর্ম করতে বলেন? গত ১৫ বছর ধরে বিয়ের অনুষ্ঠানে আমি গান গাওয়ার আমন্ত্রণ পাই। ‘আন্টি পুলিশ বুলা লেগি’ গানে বয়স্ক মহিলারা আমার সঙ্গে স্টেজে উঠে নাচেন কেন?” হানির বক্তব্য, মানুষ ইদানীং বেশি ভাবে। বেশি পড়ে, তাই চুলচেরা বিশ্লেষণ করে। এ ভাবেই স্পর্শকাতর হয়ে যাচ্ছে সবাই। হানির মতে, “এর আগে বিচক্ষণ, বিশিষ্টদের সঙ্গে পাঠকদের তফাত ছিল। এখন তাঁরাই বিদ্বজ্জন, যাঁরা বেশি পড়েন, বেশি বোঝেন। কিন্তু এর আগেও বিদ্বান মানুষ পৃথিবীতে ছিলেন, তাঁরা, আর যা-ই হোক, বিনোদনকে ‘বিনোদন’ হিসাবে নিতে জানতেন।”