হোলি তো নেহাতই ধর্মীয় উৎসব নয়, এতো মিলনের উৎসব
এমন এক উৎসব হোলি, যে উৎসব কোনও রং মানে না। দেশের বর্তমান প্রেক্ষাপট যখন জ্বলছে ধর্মীয় বিবাদে, তখন এই উৎসব যে কতটা 'রঙিন' হল সে বিষয়ে আপনার মতো আমিও খানিক সন্দিহান।
হোলি তো নেহাতই ধর্মীয় উৎসব নয়, এতো মিলনের উৎসব। সম্প্রীতির উৎসব। যা কোনও গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের পড়ে না। এই উৎসব তো ন্যায়ের জয় অন্যায়ের উপর। হিন্দু-মুসলমান ভেদাভেদের ঊর্ধ্বে এই উৎসব। সম্ভবত যীশু খ্রিষ্টের জন্মেরও আগে থেকে এই উৎসব আমাদের দেশে প্রচলিত —এ রকম তথ্য পাওয়া যায়।
যাই হোক, তথ্য নিয়ে তত্ত্বকথা লেখার উদ্দেশ্য শ্রীলেখার নয়। তদুপরি জ্ঞান দেওয়ারও ইচ্ছে আমার নেই। তবু মনে হয় চলুন না একবার ফিরে যাই ছোটবেলার দিনগুলোতে। যখন পাড়ার সোমা, রাজু, সুবীর, মিমিদের সঙ্গে পিচকিরিতে রঙিন জল গুলে অপেক্ষা করতাম বাড়ির ছাদে বা রাস্তার কোনও গলিতে যে, কখন পরিষ্কার জামা-কাপড় পরা কারোকে দেখে একদম পারফেক্ট এইম করে পিচকিরির জল বা বেলুনটা ছুড়ে মারতে পারব। ঠিক 'মারব' না এ ক্ষেত্রে, যাকে রাঙিয়ে দেব আমার রঙে সে জুলিয়া নাকি জুবেদা, জোসেফ নাকি জসপ্রীত, সেটা নেহাতই গৌণ, আনন্দটাই মুখ্য। উৎসবটাই যেখানে উদ্দেশ্য, ধর্ম বিধেয়, সেখানে ধর্ম বিধেয় হয়েই থাকুক না আমার আপনার আমাদের সেকুলার ভারতবর্ষে।