ভারতীয় দর্শক এখন শুধু বলিউডের গণ্ডিতেই বেঁধে নেই। তাঁদের রুচিতে জাঁকিয়ে বসেছে হলি ছবিও। স্ক্রিপট, অ্যাকশন সিকুয়েন্স, স্পেশাল এফেক্টে ভরপুর এই ছবিগুলি ভারতীয় সিনেমা হলগুলিতে রমরম করে চলেছে। যে কোনও বলি ছবিকে পাল্লা দিয়ে অনায়াসে ঢুকে পড়ছে ১০০ কোটির ক্লাবে। এক ঝলকে দেখে নিন বক্স অফিস মাত করা কয়েকটি অল টাইম ফেভারিট হলিউড ছবির নাম।
অ্যাভেঞ্জার্স: ইনফিনিটি ওয়ার: ভারতে সবচেয়ে বেশি ব্যবসা করা হলিউড ছবি অ্যাভেঞ্জার্স। চলতি বছর এপ্রিলে ভারতে ছবিটি মুক্তি পাওয়ার কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই বক্স অফিসে কালেকশন ১০০ কোটি ছাপিয়ে যায়। এখনও পর্যন্ত ছবিটি ভারতে মোট ১৯২.২৮ কোটি টাকার ব্যবসা করেছে।
দ্য জাঙ্গল বুক: ২০১৬ সালে ছবির ট্রেলার রিলিজের পরই উত্সাহের পারদ যেন কয়েক ডিগ্রি চড়ে গিয়েছিল। ডিজনি-র এই ত্রিডি লাইভ অ্যানিমেশন মুভির ঝলক এক লহমায় মনে করিয়ে দিয়েছিল ছেলেবেলায় দেখা সেই মোগলি-বাঘিরা-কা-কিং লুই আর অবশ্যই শের খানকে। ছবি মুক্তির ৫০দিনের মাথায় বক্স-অফিসে ১৮২ কোটির ব্যবসা করে ফেলেছিল এই ছবি।
ফাস্ট অ্যান্ড ফিউরিয়াস ৭: ফাস্ট অ্যান্ড ফিউরিয়াস সিরিজের সব সিনেমাই বেশ জনপ্রিয়। তবে ২০১৫ সালে ভারতে ফাস্ট অ্যান্ড ফিউরিয়াস ৭ মুক্তি পাওয়ার পরই চড় চড় করে বাড়তে থাকে বক্স অফিস কালেকশন। ভারতে মোট ১৭২ কোটির ব্যবসা করেছিল ছবিটি।
অবতার: ২০০৯-এ মুক্তি পাওয়ার পর অ্যানিমেশন ছবির পুরনো ধারণা সব ওলট পালট করে দিয়েছিল ছবিটি। জেমস ক্যামেরনের এই ছবিটি মন কেড়েছিল গোটা বিশ্বের কোটি কোটি দর্শকের। স্পেশাল এফেক্ট এবং নয়া টেকনোলজির এই থ্রি-ডি ছবিটির বক্স-অফিস কালেকশন ছিল ১৪৫ কোটি টাকার।
জুরাসিক ওয়ার্ল্ড: এখনও অবধি মুক্তি পাওয়া জুরাসিক সিরিজের সবকটি ছবিই তুমুল সাড়া ফেলেছে দর্শকমহলে। ২০১৫ সালে মুক্তি পাওয়া ‘জুরাসিক ওয়ার্ল্ড’ ছবিটি ভারতে মোট ১১৩ কোটির ব্যবসা করে। সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে এই সিরিজের পরবর্তী ছবি ‘জুরাসিক ওয়ার্ল্ড: ফলেন কিংডম’এর ট্রেলর। জুরাসিক যুগের ভয়াবহতা কয়েক গুণ বাড়িয়ে জুনেই মুক্তি পাচ্ছে ছবিটি।
অ্যাভেঞ্জার্স: এজ অব আলট্রন: অ্যাভেঞ্জার্স সিরিজের দ্বিতীয় ছবি এজ অব আলট্রন ভারতের বক্স-অফিসে ১১১ কোটির ব্যবসা করেছিল। তবে নতুন মুক্তি পাওয়া এই সিরিজেরই ইনফিনিটি ওয়ার সব রেকর্ডকে ছাপিয়ে গিয়েছে।
২০১২: প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে কী ভাবে পৃথিবী ধ্বংস হতে পারে সেই নিয়েই ২০০৯ সালে মুক্তি পেয়েছিল সায়েন্স-ফিকশন ছবি ‘২০১২’। ভারতীয় দর্শকমহলে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছিল ছবিটি। এর বক্স-অফিস কালেকশনও ছিল বেশ ভাল, প্রায় ১০২ কোটি টাকা।
স্পাইডার ম্যান: প্রতিবারই নতুন নতুন মোড়কে হাজির হয় ’স্পাইডার ম্যান’। এ পর্যন্ত মার্ভেল স্টুডিও-র সমস্ত ‘মাকড়সা’ মুভিই দর্শকদের মনে গভীর রেখাপাত করেছে। তবে জনপ্রিয়তার নিরিখে এই সিরিজের তৃতীয় ছবিটি ভারতে প্রায় ১০০ কোটির ব্যবসা করে।
লাইফ অব পাই: এই সিনেমার কিছু দৃশ্য ছিল একেবারে মনে গেঁথে যাওয়ার মতো। সমুদ্রে ভাসমান নৌকার একধারে বাঘ ও অন্যধারে মানুষ। ২০১২ সালে মুক্তি পাওয়া এই ছবিটি ভারতে ৮৮ কোটি টাকার ব্যবসা করেছিল।