রূপ, গ্ল্যামার এবং আয়ের দিক থেকে সেরা হলেও এই বলি অভিনেত্রীরা ডিভোর্সি পুরুষকেই বেছে নিয়েছেন নিজেদের জীবনসঙ্গী হিসেবে। এদের মধ্যে অনেক জুটিই আবার বি-টাউনে সেরা জুুটির তকমা পেয়েছেন। এক ঝলকে দেখে নিন এই অভিনেত্রীদের নাম।
করিনা কপূর খান: বি-টাউনে গসিপ, অনেকের সঙ্গেই নাকি ডেট করেছেন এই বলি ডিভা। শহীদ কপূরের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক একসময় বলিউডে রীতিমতো চর্চার বিষয় ছিল। ২০১২ সালে সইফ আলি খানের সঙ্গে চার হাত এক হয় করিনার। সইফের প্রথম স্ত্রী ছিলেন বলি নায়িকা অমৃতা সিংহ। সইফ-অমৃতার ১৩ বছরের দাম্পত্য সম্পর্ক ইতি হয় ২০০৩ সালে।
বিদ্যা বালন: ২০১২ সালের ১৪ ডিসেম্বর ইউটিভি নেটওয়ার্কের সিইও সিদ্ধার্থ রয় কপূরকে বিয়ে করেন এই বলি অভিনেত্রী। বিদ্যার সঙ্গে পথ চলা শুরু হওয়ার আগে আরও দু’বার বিবাহবিচ্ছেদ হয় সিদ্ধার্থর।
করিশ্মা কপূর: অভিষেক বচ্চনের সঙ্গে এনগেজমেন্ট ভেঙে যাওয়ার পর, ছোট বেলার বন্ধু সঞ্জয় কপূরকে বিয়ে করেন করিশ্মা। সঞ্জয় দিল্লির এক নামজাদা শিল্পপতি। করিশ্মার আগে নন্দিতা মেহতানিকে বিয়ে করেছিলেন সঞ্জয়।
শিল্পা শেট্টি: দু’বছর প্রেমের পর ধনকুবের শিল্পপতি রাজ কুন্দ্রাকে বিয়ে করেন শিল্পা। শিল্পার সঙ্গে ডেটিং চলার সময় রাজ বিবাহিত ছিলেন। পরে বিবাহবিচ্ছেদ হয় তাঁর।
মহিমা চৌধুরী: দুই সন্তানের বাবা ববি মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে চার হাত এক হয় মহিমার। নানা পারিবারিক কারণে ‘পরদেশ’ খ্যাত নায়িকার সঙ্গে গত বছরই ববির বিচ্ছেদ হয়ে গিয়েছে বলে শোনা গিয়েছে।
রবিনা টন্ডন: অক্ষয় কুমারের সঙ্গে এক সময় বাগদান সারা হয়ে গিয়েছিল রবিনার। পরে তাঁদের সম্পর্কের ইতি নিয়ে বি-টাউনে জোর গসিপ হয়। রবিনা এখন ফিল্ম ডিস্ট্রিবিউটর অনীল থাডানির ঘরনী। শোনা গিয়েছে, রবিনার আগে আরও একবার বিয়ে হয়েছিল অনীলের।
অমৃতা অরোরা: অমৃতার সঙ্গে অনেকের সম্পর্ক নিয়েই বেশ গসিপ হয়েছে। শেষে শাহিল লাদাখকে বিয়ে করেন অমৃতা। শোনা গিয়েছে, শাহিল নাকি অমৃতার ছোট বেলার বান্ধবীর স্বামী ছিলেন।
লারা দত্ত: কেলি দরজির সঙ্গে আট বছরের সম্পর্কের পর ২০১১ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি মহেশ ভূপতিকে বিয়ে করেন লারা। এর আগে শ্বেতা জয়শঙ্করের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল মহেশের।
রানি মুখোপাধ্যায়: দীর্ঘদিনের প্রেমের পর চিত্র নির্মাতা আদিত্য চোপড়াকে বিয়ে করেন রানি। ২০১৪ সালে চার হাত এক হয় তাঁদের। রানির আগে পায়েল খন্নার সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল আদিত্যর। দীর্ঘদিন তাঁদের বিবাহবিচ্ছেদের মামলা চলে।