সৎমা হেলেনের সঙ্গে আড্ডায় আরবাজ়। ছবি: সংগৃহীত।
সেলিম খান, সালমা খান, হেলেন – এক সময় তাঁদের সম্পর্ক ও সংসার নিয়ে জোর চর্চা হয় বলিউডের অন্দরে। পুত্র সলমন খান ও আরবাজ় খানের কাছেও গোপন ছিল না বিষয়টি। সম্প্রতি আরবাজ়ের সঙ্গে একটি চ্যাট শোয়ে সেলিম খানের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে কথা বললেন হেলেন। “তোমার বাবাকে সকলে চিনতেন। আমিও সে ভাবেই চিনতাম ওঁকে। তিনি অসাধারণ মানুষ ও সহানুভূতিশীল”, শ্রদ্ধামিশ্রিত আবেগ হেলেনের কণ্ঠে।
আদালতে মামলা চলছিল সেই সময়। হেলেনকে ‘ইমানদরম’, ‘দোস্তানা’, ‘ডন’, ‘শোলে’ ছবিতে কাজের সুযোগ দেন সেলিম খান। তার পরে তাঁদের সম্পর্ক আর পেশার মধ্যে আটকে থাকেনি। ধীরে ধীরে বন্ধুত্বের সম্পর্ক গড়ে ওঠে তাঁদের মধ্যে।
সেই সময় আরবাজ় ১৩/১৪ বছরের কিশোর। পাকিস্তান থেকে ভারতে ফিরে হেলেনের সঙ্গে সাক্ষাৎ হয়। আরবাজ়ের চোখের পাতার প্রশংসা করে তিনি বলেছিলেন, “খুব মিষ্টি ছেলে।” খুনসুটি করে আরবাজ় বললেন, “আমি তো এখনও মিষ্টি ছেলে।” সম্মতি জানিয়ে হেলেনের উত্তর, “এখন তো তুমি আমার হৃদয়ে।” কথা প্রসঙ্গে আরবাজ় বললেন, “তুমি তো আমার মা।”
“পেশাগত সম্পর্ক থেকে প্রেমের সম্পর্কে আসা কী ভাবে? সেই সময় বাবা বিবাহিত। আমার মায়ের জন্যও বিষয়টি কঠিন ছিল…” আরবাজ়ের কথা শেষ করতে না দিয়েই হেলেন বলতে শুরু করেন, “তোমার মাকে অনেক কিছুর মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে। খানিকটা ক্রেডিট ওঁর। বাকিটা আমার সৌভাগ্য যে, তোমাদের সঙ্গে আমার এত ভাল সম্পর্ক। তবে আমি কখনও চাইনি পরিবারে ভাঙন আসুক।”
আরবাজ়ের মতে, বাবা সেলিম খানের কাছে এটা আবেগপূর্ণ দুর্ঘটনা। “তোমাকে ভালবাসা থেকে নিজেকে বিরত রাখতে পারতেন না বাবা। ও দিকে মা-ও দেখতেন তাঁর থেকে কোনও কিছু কেড়ে নেওয়া হচ্ছে না”, বললেন অভিনেতা। সালমার প্রতি সমস্ত কর্তব্য পালন করতেন সেলিম। তাঁদের ছেলেমেয়েদের দেখভালেও কোনও ত্রুটি রাখতেন না সেলিম।
হেলেন জানালেন, সম্পর্কের শুরুর দিকে সেলিমের বাড়ির আশেপাশে যাতায়াতের সময় লুকিয়ে পড়তেন মাঝেমধ্যে। বললেন, “যখন দেখতাম বারান্দায় তোমার মা রয়েছেন, সটান লুকিয়ে পড়তাম। আমি মাথা নামিয়ে হাঁটতাম, যাতে তোমার মা চিনতে না পারেন আমাকে।” সৎমায়ের কথা থামিয়ে আরবাজ় বললেন, “কিন্তু বর্তমানে আমাদের কোনও পারিবারিক অনুষ্ঠানে তুমি না এলে প্রথম ফোনটা মা-ই করে, ‘হেলেন, কেন এলে না তুমি?’” বয়স অল্প হলেও সালমা তাঁর ছেলেমেয়েদের হেলেনের বিষয়টি সেই সময়েই জানিয়েছিলেন। পাশাপাশি এও বলেছিলেন, “তোমাদের মাকে যে রকম শ্রদ্ধা করো তোমরা, তাঁর প্রতিও সেই একই শ্রদ্ধা থাকে যেন।”