‘কভি খুশি কভি গম’ হল কর্ণ জোহরের কেরিয়ারের অন্যতম সেরা ছবি। ২০০১ সালে মুক্তি পেয়েছিল ছবিটি। এই ছবির প্রতিটা চরিত্রই আমাদের হৃদয়ে আলাদা জায়গা দখল করে রয়েছে আজও।
দিল্লির ব্যবসায়ী যশবর্ধন (অমিতাভ বচ্চন), তাঁর স্ত্রী নন্দিনী (জয়া বচ্চন), তাঁদের বড় ছেলে রাহুল (শাহরুখ খান), ছোট ছেলে রোহন (হৃত্বিক), অঞ্জলি শর্মা (কাজল), পূজা (করিনা কপূর) ছবির এই চরিত্রগুলো যেন আজও মনে গেঁথে রয়েছে।
আর লাড্ডু! তাঁকেও নিশ্চয় সকলেরই মনে রয়েছে। রোহন (হৃত্বিক)-এর ছেলেবেলার চরিত্রে অভিনয় করেছিল এই ‘লাড্ডু’। অত্যন্ত খাদ্যরসিক স্বভাবের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ছিল তার চেহারাও। সেই লাড্ডু এখন কেমন দেখতে হয়েছে জানেন?
লাড্ডুর প্রকৃত নাম কাবিশ মজুমদার। ‘কভি খুশি কভি গম’ ছবিটিই ছিল তার অভিনীত প্রথম ছবি। এ ছবিতে তার অভিনয় পছন্দ করেছিলেন দর্শক।
২০০১ সালে ছবিটি মুক্তি পাওয়ার পর বহু বছর আর অন্য কোনও ছবিতে অভিনয় করেনি সে। ওই সময় পড়াশোনাতেই মন দিয়েছিল ‘লাড্ডু’।
মুম্বইয়ে জন্ম কাবিশের। মু্ম্বইয়ের একটি স্কুলে পড়ার সময় থেকেই অভিনয়ের প্রতি ভালবাসা তৈরি হয় তার। তাই খুব ছোটবেলা থেকেই নাটকের দলে যোগ দেন।
অভিনয়ের মতো পড়াশোনা করতেও তিনি ভালবাসতেন। তাই দুটোকেই সমান গুরুত্ব দিতেন ছোট থেকেই। থিয়েটারের সূত্র ধরেই ‘কভি খুশি কভি গম’ ছবির সুযোগ পান তিনি।
এই ছবির জন্য দু’বার অডিশন দিতে হয়েছিল তাঁকে। প্রথম বার অডিশনে উত্তীর্ণ হওয়ার পর দ্বিতীয় অডিশন দেন কর্ণ জোহরের সামনে। ৩ মাস অপেক্ষা করার পর ডাক পান তিনি।
প্রথম ছবিতেই অমিতাভ, শাহরুখ, জয়া, কাজল সমস্ত প্রথম শ্রেণির অভিনেতাদের সঙ্গে তাল মিলিয়ে অভিনয় করে গিয়েছেন কাবিশ। পর্দায় তাঁকে পছন্দ করেছেন সকলেই।
কিন্তু এই ছবির পর লম্বা একটি বিরতি নেন। সে সময়টা পুরোপুরি পড়াশোনা এবং থিয়েটার নিয়ে থাকতে চেয়েছিলেন কাবিশ।
বাণিজ্যে স্নাতক করে কাবিশ কিছু স্বল্প দৈর্ঘ্যের ছবি করেন। ২০০৯ সালের ছবি ‘লাক’-এ সহকারী পরিচালক হিসাবে কাজও করেছেন।
২০০১-এর পর ২০১৩ সালে ফের তাঁকে পর্দায় দেখা যায়। ‘গোরি তেরে প্যায় ম্যায়’ ছবিতে তিনি অভিনয় করেন।
২০১৪ সালে ‘ম্যায় তেরা হিরো’ এবং ২০১৭ সালে ‘ব্যাঙ্ক চোর’ ছবিতেও দেখা গিয়েছে তাঁকে।
২০০১ সালের লাড্ডু এখন অনেক পরিণত। লাড্ডুর মতো চেহারাও আর নেই তাঁর। শরীরের মেদ অনেক ঝরিয়ে ফেলেছেন তিনি।
নিজের চেহারা বলিউডের সঙ্গে মানানসই করে তুলতে লাগাতার পরিশ্রমও করে চলেছেন। এখন কাবিশের মধ্যে ‘কভি খুশি কভি গম’-এর সেই লাড্ডুকে খুঁজে পাওয়া মুশকিল।