সম্প্রতি উদ্যোগপতি গৌতম কিচলুর সঙ্গে সাত পাকে বাঁধা পড়েছেন কাজল আগরওয়াল। অতিমারির আবহে আপনজনদের নিয়ে খুব ছোট অনুষ্ঠান করে মুম্বইয়ে বিয়েটা সেরেছেন তাঁরা।
আপাতত স্বামী গৌতমের সঙ্গে সময় কাটাচ্ছেন কাজল। পৌঁছে গিয়েছেন মলদ্বীপে। হনিমুনের দুর্দান্ত সব ছবি ইনস্টাগ্রামে শেয়ার করেছেন দু'জনে।
তার মধ্যে একটি ছবিতে মাথায় টুপি, চোখে সানগ্লাস এবং লাল রঙের গাউন পরে রয়েছেন কাজল। সঙ্গে ম্যাচিং কানের দুল। স্বামী গৌতমের পরনে ক্যাজুয়াল পোশাক।
অন্য একটি ছবিতে দেখা যাচ্ছে মেহেন্দি লাগানো কাজলের পা। পাশে রাখা ব্যাগ, টুপি এবং সানগ্লাস। সঙ্গে ক্যাপশন, ‘আমার দরকারি জিনিসপত্র’।
গত শনিবার গৌতম সোশ্যাল মিডিয়ায় বেড়াতে যাওয়ার কথা জানিয়েছিলেন। বিমানের ককপিটের ছবিও শেয়ার করেন তিনি।
ওই দিন কাজলও ইনস্টাগ্রামে তাঁদের পাসপোর্টের ছবি শেয়ার করেন। গুছিয়ে রাখা সুটকেসের ছবিও দেন। দু'জনেই যে হনিমুন ট্রিপটার জন্য মুখিয়ে ছিলেন, তা স্পষ্ট হয়েছিল সে দিনই।
মুম্বইয়ে এক পঞ্জাবি পরিবারে জন্ম কাজলের। তাঁর বাবা সুমন আগরওয়াল একজন উদ্যোগপতি। মা বিনয় আগরওয়াল কাজলের কাজ দেখাশোনা করেন।
কাজলের এক বোন রয়েছেন। নাম নিশা। তেলুগুতে অনেক ফিল্ম করলেও বলিউডে এখনও হাতেখড়ি হয়নি নিশার।
এ দিকে বলিউডের পাশাপাশি তেলুগু এবং তামিলেও একাধিক ফিল্ম করেছেন কাজল। তাঁর বলি ডেবিউ ২০০৪ সালে।
তাঁর প্রথম তেলুগু ফিল্ম ২০০৭-এ। ২০০৯-এর তেলুগু ফিল্ম ‘মগধীরা’ ছিল তাঁর জীবনে টার্নিং পয়েন্ট।
গৌতমের সঙ্গে কাজলের পরিচয় অনেক আগে। টানা তিন বছর তাঁরা ডেট করেছেন। তার পর ৭ বছর তাঁরা হয়ে উঠেছিলেন পরস্পরের সবচেয়ে ভাল বন্ধু।
সব জায়গায় দু'জনে একসঙ্গে যেতেন। রোজ অন্তত এক বার তাঁদের দেখা করাটা হয়ে উঠেছিল বাধ্যতামূলক।
কিন্তু লকডাউন শুরু হতেই রুটিনটা কেমন যেন ঘেঁটে যায়। পর পর কয়েক সপ্তাহ দেখা হয়নি তাঁদের। তাঁরা যে একে অন্যের জন্য কতটা অপরিহার্য হয়ে উঠেছিলেন, ওই সময়েই টের পান দু'জনে।
মাঝের দূরত্ব দূর করতে বিয়ের সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেললেন যুগল। গত জুনে তাঁদের এনগেজমেন্ট হয়েছিল এবং গত ৩০ অক্টোবর বিয়ে।