চলছে লকডাউন। তাতে কী? এই অস্থির অবস্থাতেই প্রেমিকা মিহিকা বাজাজের সঙ্গে বাগদান সেরে ফেললেন বাহুবলীর বল্লালদেব ওরফে রানা ডাগ্গুবতী। লকডাউনের মধ্যেও বাগদানের আসর জমে উঠেছিল। উপস্থিত ছিলেন বহু তারকা। দেখে নিন সেই হাইপ্রোফাইল বাগদানের ফোটো অ্যালবাম।
২১মে প্রথম বার রানার রোকা অনুষ্ঠানের কথা চাউর হতেই তাজ্জব হয়ে গিয়েছিলেন ভক্তরা। রানার বাবা সুরেশ বাবু প্রথমে বলেছিলেন বাগদান নয়, রীতি অনুযায়ী, পাকা কথা বলতেই এক হয়েছিলেন তাঁরা।
কিন্তু রানাই সমস্ত জল্পনা-গঞ্জনা থামিয়ে ইনস্টাগ্রামে মিহিকার সঙ্গে ছবি পোস্ট করে লেখেন, ‘ইটস অফিশিয়াল’।
হায়দরাবাদের রামনাইডু ফিল্ম স্টুডিয়োতে বসেছিল তাঁদের সেই বাগদানের আসর। দক্ষিণ ভারতীয় ট্র্যাডিশনাল সাজে সেজে উঠেছিলেন দু’জনেই।
রানা পরেছিলেন সাদা রঙের কুর্তা এবং ধুতি। মিহিকার পরনেও ছিল দক্ষিণী ছোঁয়া। প্লিট করা সিল্ক শাড়িতে তাঁকে দেখাচ্ছিল মোহময়ী।
খোলা চুল, হাল্কা মেকআপের টাচ আর মানানসই গয়না আর কনট্রাস্ট করে ব্লাউজের মেলবন্ধন দেখে কে বলবে হঠাৎ করেই বাগদানের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁরা!
দুই পরিবারের কাছের মানুষেরা যোগ দিয়েছিলেন অনুষ্ঠানে। উপস্থিত ছিলেন রানার তুতো ভাইবোনেরাও।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দক্ষিণী সুপারস্টার নাগা চৈতন্যও।
তেলুগু সুপারস্টার নাগার্জুনের ছেলে নাগা। তাঁর মা লক্ষ্মী ডাগ্গুবতী আবার সম্পর্কে রানার পিসি। অর্থাৎ রানা এবং নাগা দু’জনে তুতো ভাই। ভাইয়ের জীবনের এই বিশেষ দিনে নাগা উপস্থিত থাকবেন না, তা কী করে হয়? ছিলেন নাগা চৈতন্যর স্ত্রী অভিনেত্রী সামান্থা প্রভুও।
কিন্তু যাঁকে নিয়ে এত হইচই সেই মিহিকা বজাজের পরিচয় কী? কী ভাবেই বা ‘বল্লালদেব’-এর মনে বসন্ত নিয়ে এলেন তিনি?
মিহিকা পেশায় ইন্টিরিয়র ডিজাইনার। রানার সঙ্গে তাঁর পরিচয় বহু দিনের। পারিবারিক পরিচয় তো রয়েছেই। এ ছাড়াও দু’জনেই দু’জনের বেশ ভাল বন্ধু।
মিহিকার সঙ্গে ভাল যোগাযোগ বলিপাড়ারও। সোনম কপূরের খুবই কাছের বন্ধু তিনি। তাঁদের বাগদানের খবর প্রকাশ্যে আসতেই শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন সোনম। সোনমের বিয়েতেও দেখা গিয়েছিল মিহিকাকে।
মিহিকাকে বাগদানের জন্য প্রস্তাব দেওয়ার আগে গোটা এক দিন ধরে নাকি ভেবেছিলেন রানা। এ অবস্থায় আদৌ এই কাজ করা ঠিক হবে কি না, তা নিয়ে মনে জেগেছিল নানা প্রশ্ন।
বাবা-মা’কে জানাতেই প্রথমে চমকে গিয়েছিলেন তাঁরা। পরে অবশ্য ভালভাবেই গ্রহণ করেছিলেন সেই প্রস্তাব। রাজি হয়ে গিয়েছিলেন মিহিকাও।
“অদ্ভুত সময়ে এত বড় সিদ্ধান্ত নিলাম”, নিজেই বলছিলেন রানা। এর আগে দক্ষিণী অভিনেত্রী তৃষার সঙ্গে সম্পর্কে ছিলেন রানা। কিন্তু সেই সম্পর্ক স্থায়ী হয়নি।
রানা-মিহিকার এই সিদ্ধান্তে নাকি প্রাক্তনরাও শুভেচ্ছা জানিয়েছেনতাঁদের, এমনটাই জানিয়েছেন রানা। শুভেচ্ছায় ভেসেছে সোশ্যাল মিডিয়া। খুশি ভক্তরাও। শোনা যাচ্ছে, এই বছরেরই শেষে বিয়ে করার পরিকল্পনা রয়েছে তাঁদের। তবে সবটাই অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা, জানিয়েছেন তাঁরাই।
‘বাহুবলি’ ছবিতে রানারভয়ঙ্কর চেহারা ভয় পাইয়ে দিয়েছিল সিনেমাপ্রেমীদের। বাহুবলীর ওপর বল্লালদেবের নিষ্ঠুর ষড়যন্ত্রে বিতৃষ্ণায় ভরে গিয়েছিল দর্শকের মন। কিন্তু বাস্তব জীবনে রানা একেবারেই অন্যরকম, সে কথা বারেবারেই বলেন তাঁর সতীর্থরা। নতুন জীবন শুরু করতে চলেছেন তিনি। তাঁর জন্য রইল শুভেচ্ছা।