আরিয়ান-কাণ্ডে সমীরের ইস্তফা দাবি করলেন হনসল।
পদত্যাগ করুন নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো (এনসিবি)-র আধিকারিক সমীর ওয়াংখেড়ে। দাবি তুললেন হিন্দি ছবির পরিচালক হনসল মেহতা। তাঁর বক্তব্য, ‘যত দিন পর্যন্ত তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণিত না হয়, তত দিন পর্যন্ত কাজ থেকে অব্যাহতি নিন সমীর। নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করার দায় কি কেবল কারাবন্দি মানুষদেরই?’ রবিবার টুইটারে এমনই বার্তা দিয়েছেন হনসল।
রবিবার এনসিবি-র বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ এনেছেন এক সাক্ষী, প্রভাকর সেইল। নিজেকে পলাতক সাক্ষী কিরণ পি গোসাভির দেহরক্ষী বলে পরিচয় দিয়ে ওই ব্যক্তির দাবি, তদন্তকারী সংস্থা তাঁকে ফাঁকা পঞ্চনামায় সই করিয়েছে। আরিয়ানের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যের বিনিময়ে ১৮ কোটি টাকার প্রস্তাব এসেছিল সমীরের তরফে— এমনটাও দাবি করেছেন তিনি। সমীর ওয়াংখেড়়েকে নিয়ে তিনি আতঙ্কিত বলে জানিয়েছেন প্রভাকর।
প্রসঙ্গত, গোসাভি-ই সেই ব্যক্তি, যিনি এনসিবি-র হেফাজতে আরিয়ানের সঙ্গে নিজস্বী তুলেছিলেন। তিনি দফতরেরই কেউ কি না, তা নিয়ে বিতর্ক বাধলে এনসিবি অস্বীকার করে। বরং কিরণকে এই মামলার অন্যতম সাক্ষী হিসেবে তুলে ধরা হয়। ঘটনার পর থেকেই পলাতক কিরণ। তার মধ্যেই রবিবার আরও একটি ভিডিয়ো ফাঁস হয়েছে, যাতে এনসিবি-র হেফাজতে নিজের ফোন থেকে আরিয়ানকে কারও সঙ্গে কথা বলাচ্ছেন গোসাভি। যদিও এনসিবি-র পাল্টা দাবি, এই সমস্ত অভিযোগই মিথ্যা এবং তদন্তকারী সংস্থার ভাবমূর্তি নষ্ট করার চেষ্টা চলছে। সংস্থার যুক্তি, দফতরে নজরদার ক্যামেরা রয়েছে। এ সমস্ত কিছু ঘটার কোনও সম্ভাবনা নেই।
এ দিকে, সমীর ওয়াংখে়ড়ের বিরুদ্ধে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ উঠতেই আসরে শিব সেনা সাংসদ সঞ্জয় রাউত। এনসিবির ‘কার্যকলাপ’ নিয়ে প্রতিবাদ জানিয়ে টুইটে তাঁর দাবি— ‘মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধ্বব ঠাকরে বলেছিলেন, মহারাষ্ট্রের ভাবমূর্তি নষ্ট করার উদ্দেশ্যে এ সব ঘটানো হচ্ছে। এখন মনে হচ্ছে, সেই মন্তব্যই সত্যি হতে চলেছে। স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করা উচিত পুলিশের।’
সেই তালিকাতেই নতুন সংযোজন হনসল। এর আগেও আরিয়ানের গ্রেফতার নিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন তিনি। সেই টুইটে হনসল লিখেছিলেন, ‘সন্তানরা বিপদে পড়লে বাবা-মায়ের পক্ষে তা সামাল দেওয়া অত্যন্ত দুঃসহ হয়ে ওঠে। দেশের আইন ব্যবস্থা অনুযায়ী বিচারের প্রক্রিয়ার আগেই কয়েক জন মানুষ নিজেরাই নিজেদের রায়ে পৌঁছে যান। সেটা আরও সমস্যার। কোনও সন্তান এবং অভিভাবকের সঙ্গে তার সম্পর্ক-দুইয়ের প্রতিই তা অসম্মানজনক।’